কিছু দিনের মধ্যেই আমাদের দেশে ভ্যাকসিন আসছে।
খুবই আনন্দের সংবাদ। সারা দেশের মানুষ ভ্যাকসিনের অপেক্ষায় রয়েছে। বহু প্রতীক্ষিত ভ্যাকসিন। সরকারী হিসাবে আমাদের দেশে প্রায় আট হাজার মানুষ মারা গেছেন করোনায়। ভ্যাকসিন আরো আগে হাতে পেয়ে গেলে হয়তো মৃতের সংখ্যা এত বাড়তো না। যাই হোক, ভ্যাকসিন আসছে এতেই আমরা খুশী। এই খুশীতে একটা আনন্দ মিছিল করা যেতে পারে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান আতশবাজি ফুটানো যেতে পারে।
এখন জরুরী কথা হলো-
ভ্যাকসিন আগে কে পাবে? মন্ত্রী, এমপিরা? বস্তির লোকেরা? ডাক্তার, নার্সরা? সরকারী চাকরীজীবিরা? বয়স্ক লোকেরা? নাকি গনমাধ্যম কর্মীরা? সবার মনের মধ্যেই এখন এই প্রশ্ন। অনেকেই অনেক রকম বক্তব্য দিচ্ছেন। সংবাদ কর্মীরা বলছেন, আগে আমাদের'ই দেওয়া উচিত। ডাক্তাররা বলছেন, সবার আগে আমাদের পাওয়া উচিত। মসজিদের ইমামরা বলছেন, ভ্যাকসিন আমাদের জন্য সবচেয়ে বেশী জরুরী। সবারই আগে চাই।
সরকার থেকে এখনও স্পষ্ট করে কিচ্ছু বলছে না।
অপেক্ষা করি আর দেখি সরকার কাদের ভ্যাকসিন আগে দেয়। সারা দেশের মানুষ সেই অপেক্ষাতেই আছে। সরকার কি ভ্যাকসিন ফ্রি দেবে না টাকা নেবে বিষয়টা আমি জানি না। টাকা নিলে নিক, তবু মানুষ বাচুক। আচ্ছা, ভ্যাকসিন নিয়ে দূর্নীতি হবে না তো? লকডাউন এর সময় সামান্য তেল চাল নিয়ে দুর্নীতি হয়েছিলো। সুষ্ঠু ভাবে ভ্যাকসিন বিতরণ কি সম্ভব আমাদের দেশে?
আমার মতে, সবার আগে ভ্যাকসিন দিতে হবে দূর্নীতিবাজদের।
কারন তারা বাঁচলে অনেক মানুষ বাঁচবে। দূর্নীতিবাজদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অভাব নেই। সেই সব প্রতিষ্ঠানে অসংখ্য মানুষ কাজ করে। কাজেই আগে দূর্নীতিবাজদের বাঁচাতে হবে। তারা বাঁচলে অনেক মানুষ বাঁচবে। তারা না বাঁচলে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে। বহু লোক বেকার হয়ে পড়বে।
ভোটের সময় বাড়ি বাড়ি এসে ভোটের স্লিপ দিয়ে যায়।
যেন ভোটারদের ভোট দিতে কোনো সমস্যা না হয়। অনেক সময় রিকশা করেও ভোট কেন্দ্রে নিয়ে যায় কর্মীরা। এখন সরকারের উচিত বাড়ি বাড়ি এসে ভোটের স্লিপ এর মতো ভ্যাকসিন দিয়ে যাওয়া। দেশের মানুষ ভোট দিয়ে তাদের ক্ষমতায় বসিয়েছে। কাজেই সরকারের উচিত বাড়ি বাড়ি ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া। তাহলে আওয়ামীলীগ সরকারকে মানুষ সারা জীবন মনে রাখবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:২৭