somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

নবীজির কিছু অলৌকিক ঘটনা

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



১। মহানবী (সা.)-এর দেহ নূরের তৈরি বলে তাঁর শরীরের কোন ছায়া ছিল না। মানুষের ছায়া কত ময়লা-আবর্জনার ওপর পতিত হয়, কত পশু-পাখী অথবা মানুষের পায়ের তলায় পতিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পবিত্র দেহের ছায়া এভাবে অপদস্থ হওয়া আল্লাহ তা’আলার অভিপ্রেত নয়। এজন্য আল্লাহ তাআলা তাঁর দেহ ছায়াহীন করে তৈরি করেছেন।

২। রাসূল (সা.) যখন পথ দিয়ে চলতেন, তখন এক খণ্ড মেঘ তাঁর মাথার ওপর ছায়া বিস্তার করে তাঁর সঙ্গে সঙ্গে ভেসে বেড়াত।

৩। হযরত হালিমা বর্ণনা করেন, ”শিশু মুহাম্মদ (সা.)-কে আমার গৃহে আনার সাথে সাথেই রহমত বরকত প্রকাশ হতে লাগল। এতো পরিমাণ দুধ নির্গত হলো যে, হযরত (সা.) এবং তাঁর দুধ ভাই একান্ত তৃপ্তির সাথেই দুধ পান করে ঘুমিয়ে পড়তেন।” আর উটনীর দিকে চেয়ে দেখতে পাই, সেগুলোর স্তন দুধে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে।

৪। হযরত হালিমা বর্ণনা করেছেন, তিনি কখনও শিশু মুহাম্মদ (সা.)-কে উলঙ্গ অবস্থায় রাখতে পারতেন না। সেরূপ করলেই তিনি চিৎকার করতেন, যতক্ষণ পর্যন্ত তার শরীরের উপর চাদর টেনে দেয়া না হতো ততক্ষণ তিনি ক্রন্দন থামাতেন না।
হালিমা বলেন, যেদিন হতে আমি জানতে পারলাম, শিশু মুহাম্মদ (সা.) উলঙ্গ থাকতে পছন্দ করেন না, সেদিন হতে আর কখনও তাঁকে উলঙ্গ রাখিনি। তাঁর দেহ আবৃত করে রাখার জন্য সর্বদা সজাগ দৃষ্টি রাখতাম।

৫। যে ভোর বেলায় মহানবী (সা.) জন্ম নেন, সেদিন বিশ্বের সবগুলো মূর্তি মাটির দিকে নত হয়ে পড়ে।

৬। বিশ্বনবীর মাতা মা আমিনা (রা.) বলেছেন, আল্লাহর কসম, আমার পুত্র জন্ম নিয়েই তাঁর হাত গুলোকে মাটিতে রেখে মাথা আকাশের দিকে তোলে এবং চারদিকে তাকায়। এরপর তার থেকে একটি নূর বা আলো ছড়িয়ে পড়ে ও সে আলোয় সব কিছু দৃশ্যমান হয়। সেই আলোয় সিরিয়ার (রোমানদের) প্রাসাদ গুলো দেখলাম এবং সেই আলোর মধ্যে একটি শব্দ শুনলাম, যাতে বলা হয়েছে, সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষকে জন্ম দিয়েছ, তাই তাঁর নাম রাখ ‘মুহাম্মাদ’।

৭। বিশ্ব নবীর অলৌকিক ঘটনা বইয়ের ৪৭ পৃষ্ঠায় বর্ণিত হয়েছে, হযরত হালিমা (রাঃ) এর স্তন পান করার সময় রাসুল (সা.) শুধু তাঁর একটিমাত্র স্তন থেকে দুধ পান করতেন এবং অন্যটি তাঁর দুধ ভাইয়ের জন্য রেখে দিতেন। এমনকি হযরত হালিমা রা: জোর করেও দ্বিতীয় স্তন থেকে দুধ পান করাতে পারতেন না। বিশ্বের ইতিহাসে এমন ইনসাফপূর্ণ আচরণের শিক্ষা আর কোথায়ও পাওয়া যাবে না। এটাও রাসুল (সা.) এর সর্বশ্রেষ্ঠ মো’জেযার অন্তর্ভুক্ত।

৮। মোট ৪ বার বিভিন্ন সময়ে বুক বিদারণ করা হয় অর্থাৎ নবীজির বুক কেটে নাড়ীভুঁড়ি বের করে ধৌত করিয়া আবার স্থাপন করা হয় ।

৯। বনের ভেতর একটি মা হরিণকে শিকারীগন গাছে বেধে রাখে। বাচ্চাদের জন্য হরিনটি কাদছিল। নবীজির খুব মায়া হল তাই বাঁধন খুলে দিয়ে নিজেকে বেধে হরিণকে ফিরে আসতে বলেন। বাচ্চা সহ মা হরিণটি তিন দিন পরে ফিরে আসল। নবীজির কান্না দেখে বনের সকল পশুপাখি তিন দিন খাবার খাওয়া ছেড়ে দিয়েছিল। হরিনের মুখ থেকে কৃতজ্ঞতা সহ মানুষের কথা বের হল।

১০। রাসুল না থাকলে আমরা জানতেই পারতাম না আমাদের স্রষ্টা কে! তিনি আমাদের সাথে অন্যান্য নবী রাসুলদের সাথেও পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। তিনি ইচ্ছা করলে অন্যান্য নবী রাসুলদের সাথে পরিচয় না করিয়ে দিয়েও মুসলিমদের রাসুল থাকতে পারতেন, কিন্তু তা করেননি।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:২০
৩৪টি মন্তব্য ২৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×