somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

আজকের ডায়েরী- ৮৭

১২ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ছবিঃ আমার তোলা।

কয়েকদিন ধরে শরীরটা ভালো নেই।
টানা তিন দিন জ্বর ছিলো। বেশ ঠান্ডাও লেগেছে। জ্বর থেকে উঠার পর শরীরটা দুর্বল লাগছে। আমি হলাম সব সময়ের মাথা গরম মানুষ। একটু কিছু হলেই রাগের চোটে হেঁটে রওনা দিতাম এয়ারপোর্ট। খিলগাও থেকে একটানা হেঁটে এয়ারপোর্ট চলে যেতাম। এখন আমি সেই মানুষ দশ মিনিটের পথও হাঁটতে ইচ্ছা করে না। রিকশা নিয়ে নিই। বয়স মানুষকে দুর্বল করে দেয়। অবশ্য আমার খুব বেশি বয়স হয়নি। এই তো সেদিন ৩৫ পার করলাম। চল্লিশ পার করতে দেরী আছে। আমি অনুভব করি, আমার মন দুর্ভল হয়ে গেছে। অথচ মনের জোর'ই আসল। সেটাই জীবনের চালিকা শক্তি।

আজ অক্টোবরের ১২ তারিখ।
দশ তারিখ ছিলো আমার জন্মদিন। আমাদের বাসার একটা অলিখিত নিয়ম হলো- সবার জন্মদিন পালন করা হয়। আমাকে কেক কাটতে হয়েছে। এই বয়সে কেক কাটতে ইচ্ছা করে না। তবু হাসিমুখে কেক কাটলাম। সুরভি অনেক খাবারের আয়োজন করেছে। সবাই মিলে খেলাম। যতই কেক কাটি, যতই মজাদার খাবার খাই। আমার মন ভালো নেই। গত একমাসে কন্যাকে নিয়ে চার বার ডাক্তারের কাছে যেতে হয়েছে। মেয়েটার ঠান্ডা ভালোই হচ্ছে না। ফারাজা ঠান্ডায় বেশ কষ্ট পাচ্ছে। মাত্র দশ মাস বয়স। মেয়েটার কষ্ট আমাকে প্রচন্ড মর্মাহত করে। এই কারনে ইদানিং ব্লগেও কম আসছি।

ফারাজাকে নিয়ে সেদিন বের হয়েছিলাম।
ডাক্তার বলেছেন, সারাক্ষণ মেয়েটাকে ঘরের মধ্যে বন্ধী করে রাখবেন না। ফারাজা বাইরে বের হলেই মুগ্ধ হয়ে যায়। দারুন খুশি হয়। গ্রাম থেকে প্রথম শহরে আসা মানুষের মতো চারপাশ মুগ্ধ হয়ে দেখে! তখন তার চোখে আমি আনন্দ ঝলমল করতে দেখি। আমি ঠিক করেছি প্রতিদিন মেয়েটাকে নিয়ে আধা ঘন্টা বাইরে ঘুরে বেড়াবো। সুরভিকে সাথে নিবো না। আমি এবং আমার কন্য। মেয়ের খুশির চেয়ে বড় আর কিছু নাই আমার কাছে। বিবাহিত জীবনে আল্লাহর অনেক বড় নেয়ামত পুত্র কন্যা। সব বাবা মায়ের পুত্র কন্যার প্রতি যথাযথ দায়িত্ব পালন করা উচিত।

আমার এক বন্ধু ধর্মের কারনে অধপতনে গিয়েছে।
অতি ধার্মিকতা খুব খারাপ। এমনতেই ধর্ম খারাপ জিনিস। বন্ধু তার স্ত্রীকে হিজাব পড়তে বাধ্য করেছে। নামাজ পড়তে বাধ্য করেছে। এমন কি মধ্যরাত্রে ঘুম থেকে উঠে তাহাজ্জুত পড়তে বাধ্য করে। অথচ বন্ধু কোনো কাম কাজ করে না। সে নিজেও নামাজ পাঁচ ওয়াক্ত পড়ে না। বউয়ের টাকায় চলে। এমন কি বন্ধুর বাবা মা-ও বউ এর টাকায় চলে। আমার বন্ধুকে তার স্ত্রী অতি ধার্মিকতার কারনে শেষমেষ তালাক দিয়ে দিয়েছে। বন্ধুর ধারনা 'তালাক' আল্লাহর ইচ্ছায় হয়েছে। এর ফল শুভ হবে। গতকাল বন্ধুর সাথে দেখা। রাস্তায় দেখলাম খোলা মাঠে পূজা হচ্ছে। ডাকঢোল বাজছে। কি সুন্দর করে পূজামন্ডপ সাজিয়েছে। দারুন লাইটিং করেছে। বন্ধুকে বললাম, চল পূজা দেখে আসি। আমার ধার্মিক বন্ধু কিছুতে যাবে না। গেলে নাকি গুনাহ হবে।

বাজারে হঠাত করে সব জিনিসের দাম বেড়ে গেছে।
খুব বেশি বেড়ে গেছে। করোনা, লকডাউন এর মধ্যে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। সেই দাম এখনও কমে নি। যদিও দেশে এখন লকডাউন নেই। চাল, ডাল তেলসহ সব কিছুর দাম খুব বেশি বেড়ে গেছে। অথচ কেউ কোনো আন্দোলন করছে না। প্রতিবাদ করছে না। মানববন্ধনব করছে না। বিরোধী দলও চুপ আছে। সরকার মনে করছে, যেহেতু দেশে কোনো হরতাল হচ্ছে না, আন্দোলন হচ্ছে না, মানবুন্ধন হচ্ছে না। তার মানে দেশ সুন্দর এগিয়ে যাচ্ছে। দেশে কোনো সমস্যা নেই। সবাই ভালো আছে। সত্যিকার অর্থে দেশের মানুষ ভালো নেই। কেউ ভালো নেই।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:০৪
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×