somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

বছর তো শেষ হতে চললো, এবার তোরা ভালো হ

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ছবিঃ আমার তোলা।

ধর্মান্ধ মানুষ থেকে দূরে থাকতে হবে।
এদের বুদ্ধি কম। এরা কুসংস্কার বিশ্বাসী। যতই লেখাপড়া করুক এদের কুসংস্কার দূর হবার নয়। এরা মানবতা থেকে ধর্মকে মূল্যায়ন করতে গিয়ে সব কিছু আউলায়ে ফেলে। ধর্ম মানতে গেলে জীবনকে উপভোগ করা থেকে বঞ্চিত হবেন। দুনিয়াতে একবারই এসেছেন। তাই যত পারেন দুনিয়ার মজা উপভোগ করে নিন। এটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। কোনো এক নামাজের ওয়াক্তে যেকোনো সরকারি অফিসের মসজিদে যান। দেখবেন, সবাই নামাজ পড়ছে। ঐ অফিসেই একটি কাজ করাতে যান। কি ঘুষ ছাড়া কাজ করাতে পারবেন না। এই হলো ধার্মিকদের আসল চেহারা। সমাজে ধার্মিক মানসিকতার লোকজন মন্দ কাজ বেশি করে।

দেশে ধার্মিকতা নয় কি বেড়েছে জানেন?
ভন্ডামি। সবাই চায় অন্যের সামনে ভালো সাজতে। অন্তরে যা আছে থাক। সেটা তো কেউ দেখবে না। শর্টকাট উপায়ে জান্নাত পেতে হবে। হুর পেতে হবে। ধার্মিকদের মনে কোনো শুদ্ধতা থাকে না। বাংলাদেশের মানুষেরা সামাজিক চাপ আর মানসিক স্বস্তির জন্য ধর্ম পালন করছে। তারা ধর্মের নৈতিক শিক্ষাকে গ্রহণ করছে না। তাই বলা যায় বাংলাদেশের মানুষেরা প্রকৃত ধার্মিক বা ধর্ম ভীরু না হয়ে ধর্মের আনুষ্ঠানিকতার দিকে ঝুকে পড়ছে বুঝে না বুঝে। ধর্মে গল্পকথা অনেক আছে। সেসব গল্পের ইতিহাস খোঁজা একদম মস্ত বোকামি। নীতিবাক্য শিখাবার জন্য ঈশপের গল্পে কচ্ছপ আর খরগোসের কিসসা যথেষ্ঠ।

ধর্ম জিনিসটাকেই আমি ঘৃণা করি।
ধার্মিকদের কর্মকান্ড আমি ঘৃণা করি। আমার প্রাচ্যের দার্শনিক মতবাদ গুলি বেশি পছন্দের। বিশেষ করে, বৌদ্ধ মতবাদ আর কনফুসীয় মতবাদ। একসময় বাংলার মেজরিটি মানুষ বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী ছিল। একটানা ৪ শত বছর বৌদ্ধরা বাংলা শাসন করেছিল। আজ পর্যন্ত তো ধর্ম নিয়ে মারামারি ছাড়া খুব ভালো তো আর কিছুই দেখলাম না। বাংলাদেশে মানুষের মুখে মিথ্যা কথা, তবে ফেসবুকে সবাই মহৎ সাজতে চায়। মানুষ গরীবকে সাহায্য করে না, তবে ফেসবুক পোস্টে কমেন্ট করে আসে 'আমিন'। বাংলাদেশে ইসলামিক কট্টরপন্থীদের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। ওহাবী ইসলামের প্রচারের কারণে ধার্মিক গোড়ামীর প্রচলনটা বাড়তির দিকে দেখা যাচ্ছে। পাকিস্তানের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। তাই এখানে ইসলামি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ফুলে ফেঁপে ওঠছে। ধর্ম মানুষকে শেখায় হাজার বা তার বেশী বছরের পুরানো বইয়ের মধ্যে বিজ্ঞান খুঁজতে।

হুজুররা টাকার লোভে বেশি বেশি মাদ্রাসা খোলে।
শুধু তাই নয় রাস্তার মোড়ে মোড়ে ব্রেইনওয়াশ করতে থাকে যে আপনার তিন বাচ্চা হলে যেকোন একজনকে বা দুই বাচ্চা হলেও যেকোন একজনকে আলেম বানাতে পারলে আপনি সহ আরো ৪০ জনকে কেয়ামতের ময়দানে দোযখ থেকে বাচিয়ে বেহেশতে নিতে পারবে।মানুষকে তার কাজ দ্বারা বিচার করা উচিত, ধর্ম দিয়ে নয়। আমাজনের জঙ্গলের ভিতর নাকি এরকম জংলী হিংস্র উপজাতি আছে যাদের আধুনিক জীবনের কথা বললে ক্ষেপে যায়। কোন ধর্মই শ্রেষ্ঠ না। সবই হল সরল মানুষকে বোকা বানিয়ে এক শ্রেনির মানুষের হিনস্বার্থ চরিতার্থ করা। সবই ভুয়া ও কাল্পনিক চরিত্র।


আচার-আচরণে মানুষের খারাপ স্বভাবগুলো ফুটে উঠে।
পরনিন্দা একটি খারাপ স্বভাব। এটা খারাপ মানুষের লক্ষণ। কোনো মার্জিত ভদ্র মানুষ অপর মানুষের নিন্দা করতে পারে না। অপরের দোষ নিয়ে ঘাটাঘাটি না করে সংশোধনের উদ্দেশ্যে ব্যক্তির সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করা ভালো মানুষের লক্ষণ। কিছু মানুষের স্বভাবই এমন যে, অপর মানুষকে নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করেই তাদের সময় কাটে। সক্রেটিস বলেছেন “নো দ্যাইসেলফ” এই কথাটি জীবন চলার চাবিকাঠি। বিষয়টি নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে কী বলতে চেয়েছিলেন সক্রেটিস তার এই কথাটিতে! কেন যেন মনে হচ্ছে একজন ভালো মানুষ হতে হলে প্রথমেই নিজেকে জানতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৩১
৩১টি মন্তব্য ২৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×