
১। রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি। উত্তরা যাবো। সিএনজি ঠিক করেছি। সিএনজি চালক বলল, ভাইসাহেব দশ মিনিট সময় দেন। হোটেল থেকে নাস্তা খেয়ে আসি। আমি বললাম, ঠিক আছে। যান নাস্তা খেয়ে আসুন। আমি সিএনজি'র সামনে দাঁড়িয়ে আছি। তখন এক মেয়ে এসে বলল, যাবেন গ্রীন রোড? আমি প্রচন্ড অবাক হলাম। প্রচন্ড কষ্ট পেলাম। আমি দেখতে কি সিএনজি চালকের মতো! অথচ আমার ধারনা ছিলো আমি দেখতে নায়কের মতো। মেয়েটাকে বললাম, গ্রীন রোড যামু না। ওইদিকে জ্যাম।
২। একবার এক অনুষ্ঠানে গিয়েছি ছবি তুলতে। অনেকক্ষন ঘুরে ঘুরে সমানে ছবি তুলে যাচ্ছি। বেশ ক্লান্ত লাগছিলো। এক চেয়ারে গিয়ে বসলাম। চেয়ারে বসা মাত্র'ই সবাই আমার দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে আছে। আমি ভেবে পাচ্ছি না লোকজন আমার দিকে এভাবে তাকিয়ে আছে কেন? শেষে বুঝতে পারলাম আমি অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথির আসনে বসে পড়েছি। সেই বিশেষ অতিথি ছিলো এক মন্ত্রী। নিজের উপরে নিজের রাগ লাগলো। মাঝে মাঝে এত বোকামি করি!
৩। একবার এক অফিসে যাবো। ঠিকানা ঠিক আছে কিন্তু অফিসটা খুঁজে পাচ্ছি না। আঠারো তলা বিল্ডিং। প্রতিটা ফ্লোরে আমি অফিস খুঁজে বেড়াচ্ছি। এমন সময় আমার খুব বাথরুম চাপ দিলো। মারাত্মক অবস্থা। হয়েই যাবে।আটকানোর কোনো উপায় নাই। কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। এমন সময় দেখতে পাই একটা অফিসের দরজা খোলা। সবচেয়ে বড় কথা দরজার ফাক দিয়ে বাথ্রুম দেখা যাচ্ছে। আমি দিলাম এক দৌড়। কোমডে বসে পড়লাম। মনে মনে বললাম, বাচানোর মালিক আল্লাহ। প্যান্টে যদি করে দিতাম কি এক অবস্থা হতো! একটু পর দেখি, পানি নাই। এমন কি কোনো টিস্যুও নাই। এদিকে কার অফিসে ঢুকে গেছি তাও জানি না।
৪। একবার এক মেয়ের সাথে দেখা করতে গিয়েছি। মেয়েটার নাম লাবনী। লাবনীর সাথে আমার প্রথম দেখা হবে। যদি সব ঠিকঠাক থাকে তাহলে লাবনী সাথে প্রেম ভালোবাসা হয়ে যাবে। আমি আল্লাহ আল্লাহ করছি। আমার ভাগ্য খারাপ। রাস্তায় প্রচুর জ্যাম। আমি সিএনজি থেকে নেমে হাঁটা শুরু করলাম। লাবনী দাঁড়িয়ে আছে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে। ঠিক বঙ্গবন্ধুর বাড়ির কাছে। আধা ঘন্টা দেরী করলাম। লাবনীকে দেখে আমি মুগ্ধ! একদম আকাশের মতো সুন্দর একটা মেয়ে। অথচ লাবনী আমাকে বিদায় করে দিলো। কারন হাফ প্যান্ট পরে তার সাথে দেখা করতে গিয়েছি বলে। আসলে হাফ প্যান্টের উপর যে ফুল প্যান্ট পড়বো একথা আমার মনেই ছিলো না।
৫। গ্রামের বাড়ি গিয়েছি। আমাদের বাড়িতে একটা বড় পুকুর আছে। এই পুকুর সাত গিরস্তের। সুন্দর গুছানো পুকুর। চারিদিকে নানান রকম গাছ। মধ্যদুপুরেও সূর্যের আলো পুকুরে আসে না। গাছের ডালপালা দিয়ে পুরো পুকুর ঢাকা। পুকুর পাড়ে আমি একটা আম গাছে উঠলাম। আম খাবো। গাছে উঠতে উঠতে অনেক উপরে উঠে গেলাম। হঠাত নীচে তাকিয়ে দেখি এক মেয়ে গোছল করছে। তখন আমার অল্প বয়স। মেয়েটাকে দেখে দারুন লাগলো। মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছি! হঠাত মেয়েটার মা আমাকে দেখে ফেলল। ভীষন লজ্জা পেয়েছিলাম। কেউ গোছল করলে তাকিয়ে থাকা অসভ্যতা। এতই লজ্জা পেয়েছিলাম যে গাছ থেকে একদম পুকুরে পড়ে গেলাম। জানি না সাঁতার। সেদিন মেয়েটা আমাকে বাঁচিয়ে ছিলো।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


