somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

মাঝে মাঝে এরকম হয়

১৯ শে মে, ২০২২ রাত ২:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছবিঃ আমার তোলা।

১। রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি। উত্তরা যাবো। সিএনজি ঠিক করেছি। সিএনজি চালক বলল, ভাইসাহেব দশ মিনিট সময় দেন। হোটেল থেকে নাস্তা খেয়ে আসি। আমি বললাম, ঠিক আছে। যান নাস্তা খেয়ে আসুন। আমি সিএনজি'র সামনে দাঁড়িয়ে আছি। তখন এক মেয়ে এসে বলল, যাবেন গ্রীন রোড? আমি প্রচন্ড অবাক হলাম। প্রচন্ড কষ্ট পেলাম। আমি দেখতে কি সিএনজি চালকের মতো! অথচ আমার ধারনা ছিলো আমি দেখতে নায়কের মতো। মেয়েটাকে বললাম, গ্রীন রোড যামু না। ওইদিকে জ্যাম।

২। একবার এক অনুষ্ঠানে গিয়েছি ছবি তুলতে। অনেকক্ষন ঘুরে ঘুরে সমানে ছবি তুলে যাচ্ছি। বেশ ক্লান্ত লাগছিলো। এক চেয়ারে গিয়ে বসলাম। চেয়ারে বসা মাত্র'ই সবাই আমার দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে আছে। আমি ভেবে পাচ্ছি না লোকজন আমার দিকে এভাবে তাকিয়ে আছে কেন? শেষে বুঝতে পারলাম আমি অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথির আসনে বসে পড়েছি। সেই বিশেষ অতিথি ছিলো এক মন্ত্রী। নিজের উপরে নিজের রাগ লাগলো। মাঝে মাঝে এত বোকামি করি!

৩। একবার এক অফিসে যাবো। ঠিকানা ঠিক আছে কিন্তু অফিসটা খুঁজে পাচ্ছি না। আঠারো তলা বিল্ডিং। প্রতিটা ফ্লোরে আমি অফিস খুঁজে বেড়াচ্ছি। এমন সময় আমার খুব বাথরুম চাপ দিলো। মারাত্মক অবস্থা। হয়েই যাবে।আটকানোর কোনো উপায় নাই। কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। এমন সময় দেখতে পাই একটা অফিসের দরজা খোলা। সবচেয়ে বড় কথা দরজার ফাক দিয়ে বাথ্রুম দেখা যাচ্ছে। আমি দিলাম এক দৌড়। কোমডে বসে পড়লাম। মনে মনে বললাম, বাচানোর মালিক আল্লাহ। প্যান্টে যদি করে দিতাম কি এক অবস্থা হতো! একটু পর দেখি, পানি নাই। এমন কি কোনো টিস্যুও নাই। এদিকে কার অফিসে ঢুকে গেছি তাও জানি না।

৪। একবার এক মেয়ের সাথে দেখা করতে গিয়েছি। মেয়েটার নাম লাবনী। লাবনীর সাথে আমার প্রথম দেখা হবে। যদি সব ঠিকঠাক থাকে তাহলে লাবনী সাথে প্রেম ভালোবাসা হয়ে যাবে। আমি আল্লাহ আল্লাহ করছি। আমার ভাগ্য খারাপ। রাস্তায় প্রচুর জ্যাম। আমি সিএনজি থেকে নেমে হাঁটা শুরু করলাম। লাবনী দাঁড়িয়ে আছে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে। ঠিক বঙ্গবন্ধুর বাড়ির কাছে। আধা ঘন্টা দেরী করলাম। লাবনীকে দেখে আমি মুগ্ধ! একদম আকাশের মতো সুন্দর একটা মেয়ে। অথচ লাবনী আমাকে বিদায় করে দিলো। কারন হাফ প্যান্ট পরে তার সাথে দেখা করতে গিয়েছি বলে। আসলে হাফ প্যান্টের উপর যে ফুল প্যান্ট পড়বো একথা আমার মনেই ছিলো না।

৫। গ্রামের বাড়ি গিয়েছি। আমাদের বাড়িতে একটা বড় পুকুর আছে। এই পুকুর সাত গিরস্তের। সুন্দর গুছানো পুকুর। চারিদিকে নানান রকম গাছ। মধ্যদুপুরেও সূর্যের আলো পুকুরে আসে না। গাছের ডালপালা দিয়ে পুরো পুকুর ঢাকা। পুকুর পাড়ে আমি একটা আম গাছে উঠলাম। আম খাবো। গাছে উঠতে উঠতে অনেক উপরে উঠে গেলাম। হঠাত নীচে তাকিয়ে দেখি এক মেয়ে গোছল করছে। তখন আমার অল্প বয়স। মেয়েটাকে দেখে দারুন লাগলো। মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছি! হঠাত মেয়েটার মা আমাকে দেখে ফেলল। ভীষন লজ্জা পেয়েছিলাম। কেউ গোছল করলে তাকিয়ে থাকা অসভ্যতা। এতই লজ্জা পেয়েছিলাম যে গাছ থেকে একদম পুকুরে পড়ে গেলাম। জানি না সাঁতার। সেদিন মেয়েটা আমাকে বাঁচিয়ে ছিলো।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মে, ২০২২ রাত ২:০১
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আসেন জুলাই/ আগস্টের মিনি পোস্ট মোর্টেম করি।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:২৪





গল্প শুনেন বলি-

আমরা পড়ালেখা গুছগাছ কইরে চাকরীতে ঢুকছি।হঠাৎ বন্ধু গো ইমেইলের গ্রুপে মেসেজ (নাম ধরেন রফিক), রফিক যে পাড়ায় (রেড লাইট এরিয়া) যাইতো সেখানের একজন সার্ভিস প্রোভাইডাররে বিয়া... ...বাকিটুকু পড়ুন

কবিতাঃ হে বলবান

লিখেছেন ইসিয়াক, ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৪০

কে আছিস বলবান!
হ্ আগুয়ান।
দে সাড়া দে ত্বরা।
ধরতে হবে হাল,বাইতে হবে তরী, অবস্থা বেসামাল।

জ্বলছে দেখ প্রাণের স্বদেশ
বিপর্যস্ত আমার প্রিয় বাংলাদেশ।
মানবিকতা, মূল্যবোধ, কৃষ্টি, সভ্যতা, সংস্কৃতির বাতিঘর।
সর্বত্র আজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

জুলাইয়ের তথাকথিত আন্দোলন পুরোটা ছিল মেটিকিউলাস ডিজাইন

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:১৬

জুলাইয়ের তথাকথিত আন্দোলনের পুরোটা ছিল মেটিকিউলাস ডিজাইন

লালবদর নীলা ইস্রাফিল এখন বলছেন ও স্বীকার করছেন যে—
জুলাইয়ের সবকিছুই ছিল মেটিকিউলাস ডিজাইন।
মুগ্ধের হত্যাও সেই ডিজাইনের অংশ।

অভিনন্দন।
এই বোধোদয় পেতে দেড় বছর লাগলো?

আমরা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

তারেক ৩০০০ কোটী টাকার লোভেই দেশে ফিরেছে

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১০



তারেক এসেছে, বলেছে, I have a plan; তারেকের প্ল্যানটা কি? এই মহুর্তে তার প্ল্যান হতে পারে, নমিনেশন বাণিজ্য করে কমপক্ষে ৩০০০ কোটি টাকা আয়। ৩০০ সীটে গড়ে ১০... ...বাকিটুকু পড়ুন

বই : টক অব দ্য টাউন

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:০৮

বই : টক অব দ্য টাউন



একটি বই হঠাৎ করে এতটা আলোচনায় আসবে আমরা কি ভাবতে পেরেছি ?
বাংলাদেশের মানুষ অতি আবেগপ্রবন , বর্তমান রাজনৈতিক অস্হিরতার মধ্যে ও
বাঙালীর স্বভাবসুলভ অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×