বাঙ্গালী মেয়েরা মূলত দুঃখী। তাঁরা আজীবন দুঃখী।
ভাতে দুঃখী, কাপড়ে দুঃখী, প্রেম ভালোবাসায় দুঃখী। এজন্য অবশ্য দায়ী পুরুষেরা। যদিও পুরুষের চেয়ে নারীরা চিন্তা ভাবনায় উন্নত ও মানবিক। প্রথম কথা হচ্ছে- প্রতিটা পুরুষের উচিৎ নারীদের সম্মান করা। কিন্তু পুরুষ নারীদের সম্মান করে না। বরং কুৎসিত ভাবে তাকিয়ে থাকে। যা অত্যন্ত দৃষ্টি কটু লাগে। মেয়েরা হচ্ছে ফুলের বাগান। মেয়েরা হচ্ছে এক আকাশ আনন্দ। মেয়েরা হচ্ছে- স্বচ্ছ, পবিত্র ও দেবী। তাদের যত্ন নিন। সম্মান করুণ। হোক একজন নারী আপনার পরিবারের সদস্য বা অন্য কোনো পরিবাদের সদস্য।
একজন নারী স্বামী হিসেবে এরকম পুরুষ চায়ঃ
শিক্ষিত, সাহসী, রুচিশীল, ভদ্র, স্বচ্ছ, মানবিক, সত্যবাদী, হৃদয়বান, চাকরিজীবী বা ব্যবসায়ী। সর্বোপরি একজন ভালো মানুষ। একজন সফল মানুষ। যে মিথ্যা বলে না। যে সহজ সরল জীবনযাপন করে, যে ভান বা ভনিতা করে না, যে পরিশ্রমী ও দায়িত্বশীল। অর্থ্যাত যাকে বিনা দ্বিধায় বিশ্বাস করা যায়, যার উপর ভরসা করা যায়। যার উপর আস্থা করা যায়। যে ভালোবাসতে জানে। মন খারাপ হলে যার বুকে মাথা রেখে কান্না করা যায়। যে বট গাছের মতো ছায়া দিতে পারে। এরকম পুরুষ প্রতিটা নারী চায়। অথচ বাঙ্গালী এরকম পুরুষ খুব একটা নেই। বাঙ্গালী পুরুষরা মূলত স্বার্থপর।
একজন স্বামীর এরকম হওয়া উচিৎ-
যেন স্ত্রী যদি মৃত্যুর পর আবার দুনিয়াতে আসে, যেন সে আবার তার স্বামীকেই চায়। মূলত বিয়ের সময় পুরুষদের একরকম চেহারা থাকে। বিয়ের পর সেই চেহারা বদলে যেতে থাকে। ফলাফল কেউ কেউ সহ্য করে যায়, কেউ কেউ ডির্ভোস নিয়ে নেয়। গত ৫০ বছরের চেয়ে ইদানিং সবচেয়ে বেশি তালাকের ঘটনা ঘটছে। কারন নারী এখন চুপ থাকে না। তাঁরা প্রতিবাদ করতে শিখেছে। জীবনে চলার পথে সাধারণত পুরুষরাই অসৎ হয় বেশি। এজন্য নারী যত প্রতিবাদ করবে, পুরুষ তত লাইনে আসবে। কারন পুরুষের স্বভাব ভালো না। পুরুষের হলো কুকুরের স্বভাব। ঘরে যত ভালো খাবারই থাকুক বাইরে গু'তে মুখ দিবেই। মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় অস্ত্রই হচ্ছে ভালোবাসা। কাজেই ভালোবেসে যান।
আমার নিজের কথা বলি-
আমি বিয়ে করেছি অনেক বছর হয়ে গেছে। আমার স্ত্রীকে অনেক ভালোবাসি। আমাদের মধ্যে সহজ সরল সম্পর্ক। আমরা ঝগড়া করি না। কারন, আমরা দুজন দুজনকে খুব ভালো বুঝি। আমার স্ত্রীকে বলতে হয় না, আমাকে চা দাও। সে নিজ থেকেই বুঝে আমি এখন চা খাবো কিনা। আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে বেড়াতে যাই। ঘরের কাজে তাকে সাহায্য করি। রাতে ঘুম না এলে ব্যলকনিতে বসে গল্প করি। বেড়াতে যাই। শপিং করি। একসাথে মুভি দেখি। এসব করে আমিও খুশি। আমার স্ত্রীও খুশি। মেয়েদের খুশি করতে বেশী কিছু লাগে না। ইচ্ছাটাই যথেষ্ঠ। স্বামীর উচিৎ স্ত্রীকে বুঝা। তার মানসিকতা জানা, তার পছন্দ-অপছন্দ সম্পর্কে জানা। সেই মতে জীবনযাপন করা। তাহলে সংসার জীবনে আনন্দ আসবে।
শ্বাশুড়ীর কটুক্তি, গঞ্জনা ও অপমানজনক আচরণের সময় স্বামীকে পাশে পাওয়া যায় না। স্বামীর মাতৃভক্তির মূল্য চোকাতে স্ত্রীকে কষ্ট সহ্য করতে হবে, এটাই প্রকৃতির নিয়ম। স্ত্রী নিরপরাধ হলে মায়ের অন্যায় আচরণের প্রতিবাদ করা পুরুষের কর্তব্য নয়। এটা পুরুষতান্ত্রিক সমাজের নিয়ম। মাতৃতান্ত্রিক সমাজের মানুষ মঙ্গল গ্রহে বাস করে না। পৃথিবীতেই বাস করে। আর মায়ের অন্যায় আচরনের প্রতিবাদ করা পুরুষের জন্যে কঠিন। তারচেয়ে বরং মাতৃতান্ত্রিক সমাজই ভালো। শ্বাশুড়ির বিরুদ্ধে গেলে- স্বামীকে পাশে পাবেন না। কারন মায়ের অন্যায়ের প্রতিবাদ করা বুদ্ধিমান ছেলের কাজ নয়।
আমাদের জীবনে পরিস্থিতির সাথে সংগ্রাম করার চেয়ে আমাদের উচিত পরিস্থিতিকে মেনে নেওয়া। কথার স্টাইল দেখে বুঝতে হবে আপনার শ্বাশুড়ি উজাইছে কিনা? উজালে থেমে যেতে হবে আপনাকে। কারন, আপনি যদি না থামেন তাহলে সে আরো বেশী উজাবে। তার মানে আপনার থেকেই সে উজানোর ফুয়েল পাচ্ছে। আপনি ফাইট করে পারবেন না। এটা পুরুষতান্ত্রিক সমাজের সমস্যা। আর বিবর্তনের ব্যপারও আছে। শ্বাশুড়ি পূত্রবধুকে দেখতে পারবে না। এভাবেই বিবর্তন হয়েছে। এই সমাজে ছেলেকে বিয়ে দিয়ে মা ছেলের বউকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে। শুরু হয় সংসারে অশান্তি। স্বামী বেচারা পড়ে যায় বিপদে। সে কাকে সাপোর্ট করবে!
অবশ্য সমাজে যে সব নারীই ভালো- সেটা সঠিক কথা নয়। সমাজে অনেকে দুষ্ট নারী আছে। এরা বিয়ের আগে খারাপ, বিয়ের পরও খারাপ। এদের থেকে দূরে থাকাই ভালো। যাইহোক, পুরুষদের এরকম করে ভাবা উচিৎ- একজন বাবা মা কন্যা সন্তান জন্ম দেয়। তাকে সীমাহীন ভালোবাসা দিয়ে বড় করে। লেখাপড়া শেখায়। বড় করে তোলে। সেই মেয়েকে আপনি বিয়ে করে অনাদর করলে- মেয়ের কষ্ট, মেয়ের বাবা মায়েরও কষ্ট। মানুষের জীবন অনেক ছোট। এই ছোট জীবনে কাউকে কষ্ট কেন দিবেন? চেষ্টা করে দেখুন না দুজন মিলে আনন্দ নিয়ে জীবনযাপন করা যায় কিনা।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:২৭