
অহংকারী হওয়া মানে নিজের চারদিকে বেড়া দিয়ে মানুষকে পর করা, আর মানুষকে পর করা মানে- আনন্দকে পর করা। মানুষ-মানুষে মিলনেই আনন্দের জন্ম, বিরোধে নয়। বিরোধ আনন্দের শত্রু। তবু কিছু মানুষ বিরোধ সৃষ্টি করে। আনন্দ নষ্ট করে। কিন্তু এটা বোঝে না- জীবন কত ছোট! এই জন্য আমি সব সময় মানুষকে অনুরোধ করি- 'মানুষ হও। একজন ভালো মানুষ। মানবিক ও হৃদয়বান মানুষ। মানুষের মধ্যে কুৎসিত মানসিকতা দেখলে আমি মেনে নিতে পারি না। কারন মানুষ তো সৃষ্টির সেরা জীব।
আমাদের বাসায় দুজন অতিথি এসেছেন।
তাঁরা দুইজন আমাদের বাসায় একমাস থাকবেন। আসলে তারা আমাদের বাসায় নিজ থেকে আসেননি। আমরাই তাদের অনুরোধ করে নিয়ে এসেছি। দুজন বয়স্ক মানুষ। স্বামী স্ত্রী। তাঁরা বড় দুঃখী। তাদের এক ছেলে, এক মেয়ে। ছেলেমেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। ছেলে বাবা মায়ের খোজ খবর রাখে না। মেয়ে মোবাইলে খোজ খবর নেয়। ছেলে তার বাবা মাকে বলে দিয়েছে, তোমরা গ্রামে চলে যাও। তোমাদের ঢাকায় থাকার দরকার নেই। আমার বাসা ছোট। তাছাড়া আমার বউ তোমাদের পছন্দ করে না। মেয়ে বলেছে, আমি থাকি শ্বশুর বাড়িতে। এখানে আমার দেবর ননদ আছে। এই বাসায় তোমাদের রাখা সম্ভব না। বৃদ্ধ বয়সে এই বাবা মা বিরাট বিপদে পড়েছেন। সবচেয়ে বড় বিপদ। একা একা থাকা। ছেলেমেয়ে থাকা স্বত্তেও বাবা মা আজ অসহায়।
এ বৃদ্ধ বাবা মা রমজান মাসটা আমাদের বাসায় থাকবেন।
ঈদ করে গ্রামে চলে যাবেন হয়তো। আমাদের বাসায় পাঁচ টা ছোট বাচ্চা আছে। তাঁরা দুজনই সারাদিন বাচ্চাদের নিয়ে ব্যস্ত আছেন। বাচ্চাদের সাথে খেলছেন, মজা করছেন, আনন্দ করছেন। আমার কন্যা নানু নানু বলছে। অথচ তাদের নিজের নাতনী আছে। তাঁরা দুইজন ছেলের বাসার নিচে দাড়িয়ে ছেলেকে অনুরোধ করছিলো নাতনীকে একটু দেখা। ছেলে তাদের বাসায় ঢুকতে দেয়নি। তাঁরা বাসায় ঢুকলে তার স্ত্রী বের হয়ে যাবে। ছেলে উপর থেকে বলেছে, ঘুমাচ্ছে। ঘুম থেকে উঠলে মোবাইলে কথা বলিয়ে দিবো। প্রচন্ড দুঃখজনক ঘটনা। এই ঘটনা আমাকে খুব কষ্ট দিয়েছে। আমি চেয়েছিলাম ছেলেটার বাসায় গিয়ে তাকে দুটা থাপ্পড় দিয়ে আসি। যেসব ছেলেরা বউয়ের কথায় উঠেবসে এরা নির্বোধ। এদের আইন করে সকাল বিকাল থাপড়ানো দরকার।
দুজন বয়স্ক বাবা মায়ের কথা ভেবে দেখুন-
তাঁরা কত আদর ভালোবাসা দিয়ে ছেলেমেয়েদের বড় করেছেন। বিয়ে দিয়েছেন। এখন ছেলে বাবা মাকে বাসায় ঢুকতে দেয় না। বাসায় ঢুকলে তার বউ রাগ করবে। নাতনীকেও দেখতে দেয় না। বুড়োবুড়ি বাসার কাছে গিয়ে আকুতি মিনতি করে। তবু তাদের নাতনীকে দেখতে দেয় না। সত্য কথা বলি- আমার বউ যদি এরকম করতো- বউকে কান ধরে বাসা থেকে বের করে দিতাম। কিছুদিন আগে এই ছেলে তার মেয়ের জন্মদিনের অনুষ্ঠান করেছে ধুমধাম করে। সেখানে সে বাবা মাকে বলেছে তোমাদের অনুষ্ঠানে আসার দরকার নেই। আমি তোমাদের জন্য খাবার পাঠিয়ে দেবো। আমার খুব ইচ্ছা করে ছেলেটাকে দুটা থাপ্পড় দেই। আর ওর স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করি- এই শিক্ষা কি তোমাকে তোমার বাবা মা দিয়েছেন? অসভ্য, জংলী জানোয়ার। যাইহোক, এই প্রসঙ্গে আর লিখতে ইচ্ছা করছে না। অন্য প্রসঙ্গে যাই।
আমি সামুর মডারেটর সাহেবের দৃষ্টি আকর্ষন করতে চাই।
তার আগে বলি- রমজানের শুভেচ্ছা জানবেন। আপনি নিশ্চয়ই অবগত আছেন, বিগত কয়েক মাস ধরে সামু খুব সুন্দরভাবে চলেছে। কোথাও কোনো সমস্যা হয়নি। প্রতিটা ব্লগার শান্তিতে ব্লগিং করেছেন। কেউ কাউকে বিরক্ত করেনি। কটু কথা বলেনি। দারুন চলছিলো সামু। গত কয়েকদিন ধরে লক্ষ্য করছি কতিপয় দুষ্ট ব্লগারের আমদানি হয়েছে। এই সমস্ত দুষ্ট ব্লগার 'একজন দুইজন' বিশেষ ব্লগারকে আক্রমণ করে মন্তব্য করছে। করেই যাচ্ছে। অথচ সামু টিম চুপ করে আছে। এই সমস্ত দুষ্ট ব্লগারগন ব্লগের পরিবেশ নষ্ট করছে। এর আগেও আমি অনুরোধ করেছি, তাদের থামান। কিন্তু তাদের থামান নাই। আমি আবারও অনুরোধ করছি তাদের থামান। ব্যবস্থা নিন। এই ধরনের ক্রিমিনাল যত বার আসবে, ততবার ব্যবস্থা নেবেন। কোনো ছাড় নয়।
আপনি যদি দুষ্টব্লগারদের নাম জানতে চান-
আমি স্পষ্ট করে বলে দিতে পারি। কতিপয় ব্লগারগন ব্লগের পরিবেশ নষ্ট করে দিচ্ছে। দুই একজন পুরান ব্লগার আবার এদের লাই দিচ্ছে। আপনারা তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নিন। আমি রেগে গেলে কিন্তু গালি দেবো। কুৎসিত গালি দিবো। আমি কাউকে কোনো দিন লাথথি দেইনি, এর মানে এই না যে আমি লাথথি দিতে জানি না। কিন্তু আমি কাউকে লাথথি দিতে চাই না, কাউকে গালিও দিতে চাই না। কিন্তু সহ্যের একটা সীমা আছে। বাঁধ ভেঙ্গে গেলে কি হয়? জানেন নিশ্চয়ই। সামুতে আসি লিখতে, পড়তে। আর কিছু না। ব্যস। দয়া করে শান্তিতে লিখতে দেন, পড়তে দেন। হ্যাঁ জানি একটা নিক বন্ধ করলে দুষ্টরা আবার নতুন নিকে আসে। আসলে মন্দলোক মক্কা মদীনায়ও আছে। এদের পতিহত করতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:৪১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




