নবীজি (সাঃ) জন্মের আগে আরবের নারীদের গজব অবস্থা ছিলো।
নবীজি জন্মের পর আমরা কোরআন পেলাম। পেলাম অনেক কিছুর সমাধান। নবীজির উছিলায় আরবে মেয়েরা অনেক স্বাধীনতা পেলো। নারীর স্বাধীনতা নিয়ে কোরআনে একটা সূরা অবতীর্ন হলো। সূরার নাম- নিসা। নিসা মানে মহিলা বা নারী। নবীজি জন্মের আগে মেয়ে কন্যা জন্ম হলে জ্যান্ত কবর দিয়ে দেওয়া হতো। বাজারে নারী কেনাবেচা হতো। বুঝুন অবস্থা! কতটা অমানবিক। নবীজি স্পষ্ট বলে দিয়েছেন- যার প্রথম সন্তান মেয়ে হবে তার ভাগ্য খুলে যাবে। এবং পরপর তিনটা কন্যা হলে বেহেশত নিশ্চিত। এমনকি নবীজি বলে দিয়েছেন, মায়ের পায়ে সন্তানের বেহেশত। এরপর আর কোনো কথা থাকে না। মন্ত্রী দিয়ে রাজা চেক। দাবা খেলা শেষ। সকল ধর্মকে পেছনে ফেলে ইসলাম জয়ী হয়ে গেলো।
নারী নিজে পছন্দ করে বিয়ে করতে পারবে।
স্বামী মরে গেলে আবার বিয়ে করতে পারবে। স্বামী যদি দুষ্টলোক হয় তাহলে স্বামীকে তালাক পর্যন্ত দিতে পারবে। ইসলাম সব সময় নারীদের পক্ষে। বাপের সম্পত্তির ভাগও মেয়ে পাবে। বিয়ের সময় দেনমোহর পাবে। কোরআনে স্পষ্ট বলা আছে- পিরিয়ড হলে স্বামী সহবাস করতে পারবে না। ইসলাম নারীদের অর্থ উপার্জন করতে বলেছে। নবীজি চাইতেন নারীরা বিজনেস করুক। নিজের পায়ে দাড়াক। নবীজি তার সাহাবীদের সব সময় বলতেন মেয়েদের সাথে কঠিন আচরন করবে না। তাদের প্রতি নমনীয় ও সুন্দর আচরন করবে। নবীজি কোনোদিন স্ত্রী জাতির গায়ে হাত তুলেন নি। এবং তার কন্যাদেরও বকাজকা দেননি। এমনকি নবীজি মৃত্যুর কয়েকদিন আগে বলেছেন, দাসদাসীদের সাথে (কাজের লোক) ভালো ব্যবহার করবে। তোমরা যা খাবে, ওদেরও তা খাওয়াবে।
একবার নবীজি একলোক কে ডেকে পাঠালেন।
সেই লোক এলো না। কারন তার স্ত্রী অসুস্থ। স্ত্রীর সেবা যত্ন করছিলেন। নবীজি খুশি হলেন ঐ লোকের উপর। আরেকবার একলোককে নবীজি ডাকলেন। সেই লোক এলো না। কারন তার মা অসুস্থ। মায়ের সেবা যত্ন করছেন। এই ঘটনায় নবীজি অনেক খুশি হলেন। নিজের গলার মাফলার খুলে দিয়ে বললেন, দিয়ে আসো। এটা আমার পক্ষ থেকে তাকে সামান্য উপহার। নারী অধিকার বলতে পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক তথা সকল ক্ষেত্রে নারীর যথার্থ মূল্যায়নকেই বুঝানো হয়। যা ইসলাম নারীদের দিয়েছে। ইসলাম সব সময় নারীদের পক্ষে। ইসলাম নারীকে কখনোই বন্দি করেনি। বরং নারীকে দিয়েছে নির্মল স্বাধীনতা। নবীজির স্ত্রী বিজনেস করতেন। কিছু দুষ্ট হুজুর ভুলভাল ফতোয়া দিয়ে ইসলামকে ছোট করে দিয়েছে। তাই আমাদের জানতে হবে আসল ও সত্য ইতিহাস। সঠিক পথে চলতে হবে।
একজন পুরুষ হালাল পন্থায় যেসব ব্যবসা করতে পারবে।
নারীও সে ধরনের ব্যবসা করতে পারবে। সে বিবাহিত হোক কিংবা অবিবাহিত হোক। তবে নারীদের খোলামেলা পোশাক পরা ইসলাম পছন্দ করে না। খোলামেলা পোশাক পড়লে বিপদআপদ আসতে পারে। তবে চাকরির বিষয়ে নারীর অবাধ স্বাধীনতা রয়েছে। ইচ্ছা করলে একজন নারী চাকরি করতে পারে, ইচ্ছা করলে নাও করতে পারে। কেউ জোর করে তার ঘাড়ে চাকরির বোঝা চাপিয়ে দিতে পারে না। উপার্জনকারী নারী তার ইচ্ছামতো খরচের অধিকার রাখে। এটাই ইসলামের বিধান। নারীর সাথে সাথে পুরুষের জন্যও ধর্মীয় আইনের সীমা টেনে দেওয়া হয়েছে। নারীকে জান্নাত লাভের জন্য কী করতে হবে? পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, রমজানের রোজা আর স্বামীর আনুগত্য। ব্যস সোজা বেহেশত। সহজ জিনিসকে কিছু লোক প্যাচিয়ে জটিল করে দেয়।
আমি আমার স্ত্রীর কথা বলি-
আমি কখনো স্বামীগিরি ফলাই না। নিজের ইচ্ছা স্ত্রীর উপর জোর করে চাপিয়ে দেই না। স্ত্রী বাইরে যেতে চাইলে মানা করি না। এমনকি বাপের বাড়ি যেতে চাইলেও মানা করি না। তিন দিনের কথা বলে সাত দিন থেকে এলেও আমি কিছু বলি না। স্ত্রী যা খেতে চায়, কিনে নিয়ে আসি। স্ত্রী ভুলভাল করলেও ঝগড়া করি না। সে আমার কছে পরামর্শ চাইলে আমি তাকে সঠিক পরামর্শ দেই। আমার স্ত্রী মাস্টার্স পাশ করেছে। আমি তাকে বলেছি, তুমি চাইলে চাকরী করতে পারো। আমার কোনো আপত্তি নেই। আমি তাকে অবাধ স্বাধীনতা দেই। আমার স্ত্রী বলেছে, আমি একজন ভালো মানুষ। নবীজি বলেছেন, যাকে তার স্ত্রী ভালো বলবে সে আসলেই ভালো। কারন স্ত্রীরা জানেন তাদের স্বামী ভালো লোক, না মন্দ লোক।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৩