
আপনি কি কখনও একাএকা দাবা খেলেছেন?
আমি জানি, খেলেন নাই। খেলেন নাই।
যাইহোক, সারাদিন প্রচুর গরম, রাতেও একই অবস্থা
তারমাত্রা ৩৯ ডিগ্রী। গায়ে ঘামাচি উঠে গেছে!!
আমি আমার এক বন্ধুর অফিসে বসে থাকি,
বন্ধুর অফিসে এসি আছে, এসি টা বেশ ভালো
খুব ঠান্ডা হয়, একদম শীত ধরে যায়;
বাইরের গরম আমাকে স্পর্শ করে না।
বন্ধু কাজ করে, আমি চুপ করে বসে থাকি- পত্রিকা পড়ি
মোবাইলে গেমস খেলি। শরীর যেন ঠাণ্ডায় জমে যায়।
আমি চেয়ারে বসে, আরেক চেয়ারে পা দুটো তুলে দিয়ে-
বন্ধুর পিয়ন রহমতকে বলি- কফি দিতে,
আমি আরাম করে কফি খাই।
মাঝে মাঝে জানালা দিয়ে বাইরে দেখি-
কড়া রোদে মানুষের কত কষ্ট হচ্ছে!
রিকশাচালকদের অনেক কষ্ট, পথচারীদের অনেক কষ্ট।
বাসে উঠার জন্য লোকজন রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে;
তাদের শরীর ঘামে ভেজা, হয়তো কটু গন্ধও আছে!
আমার মধ্যে এক ধরনের অপরাধ বোধ কাজ করে
আমি ঠান্ডায় বসে আরাম করে কফি খাচ্ছি
আর রাস্তায় থাকা মানুষদের কত কষ্ট!
এই কষ্টের জন্য দায়ী কে? রাষ্ট্র? সমাজ? সরকার?
নাকি ঈশ্বর!
(আমাকে ক্ষমা করবেন। আমি কবিতা লিখতে পারি না। তবু মাঝে মাঝে আমার কবিতার মতোণ করে কিছু লিখতে ইচ্ছা করে। লিখিও। এটা আমার দীর্ঘদিনের অভ্যাস। আমাদের বংশে কেউ কোনোদিন কবিতা লিখে নাই। কবিতা লিখা সহজ কর্ম নয়। আমাদের এলাকায় একটা ছেলে আছে। ছেলেটা প্রতিদিন একটা করে কবিতা লিখে। এবং আমাকে পড়তে দেয়। আজও সে কবিতা লিখেছে এবং আমাকে পড়তে দিয়েছে। তার আজকের কবিতার একটি লাইন এইরকম ছিলো- 'খাটের চিপায় আমার মোবাইল ফোনটি পড়ে গেছে। খাট সরিয়ে মোবাইলটি তুলতে ইচ্ছে যায় না'। এই ছেলের আরেকটা কবিতার লাইন এমন- 'আমার মোবাইল নম্বর আমার মুখস্ত নেই রঞ্জনা, হায় কি পোড়া কপাল আমার। প্রভু পথ দেখাও'।)
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুন, ২০২৩ রাত ১২:০২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




