somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

এই সমাজ- ৫৮

১৭ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছবিঃ আমার তোলা।

টানা চার বছর আমাকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রাইভেট পড়াতে হয়েছে।
টিউশনিতে কোনো সম্মান নেই। আছে অপমান আর অবহেলা। আমি ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেই ঢাকায় চলে আসি। একটা মেসে উঠি। জগন্নাথে ভরতি হই, বাংলাভাষা ও সাহিত্যে। অনার্স করি, মাস্টার্স করি। যাইহোক, ঢাকা আমি নতুন এসেছি। এর আগে কখনও ঢাকা আসি নাই। রাস্তাঘাট কিছুই চিনি না। বলতে লজ্জা নেই, আমার দরিদ্র পরিবারের জন্ম। ঢাকা এসেই আমি মনে মনে ভেবে রেখেছি- বাবার কাছ থেকে কোনো টাকা নিবো না। নিজের লেখাপড়ার খরচ আমি নিজেই চালাবো। পারলে বাবা মাকে টাকা পাঠাবো।

আমি চারটা টিউশনি পেয়ে গেলাম।
মনে মনে ভাবছি আরো দুটা টিউশনি পেলে খুব ভালো হতো। ভীষন ব্যস্ততা আমার। আমার মধ্যে ফাঁকিবাজি নেই। ছাত্র ছাত্রীদের মন দিয়ে পড়াই। নিজেও মন দিয়ে পড়ি। নিজের পড়াশোনা, ক্লাশ আবার টিউশনি। দম ফেলার সময় নেই আমার। আমার মেস থেকে জগন্নাথ কলেজ অনেক দূর। জ্যামের রাস্তা। সব কিছু মিলিয়ে অনেক কষ্ট আমার। আমি গরীবের সন্তান। চিন্তা একটাই কোনো রকমে পাশ করে বেড়িয়ে আমাকে একটা চাকরি পেতে হবে। সংসারের দায়িত্ব নিতে হবে। আব্বার অনেক বয়স হয়েছে। প্রেম, ভালোবাসা এবং কোনো প্রকার বিলাসিতা আমার জন্য নয়। এটা আমাকে কেউ বলেনি, কেউ শিখিয়ে দেয়নি। বাস্তবতা থেকেই নিজে নিজেই শিখে নিয়েছি। এবং আমি সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি।

কিন্তু একদিন এক ছাত্রের মা আমার দিকে যেন কেমন-কেমন করে তাকায়।
তার তাকানোর স্টাইলটা সহজ সরল না। মহিলার বয়স ৩৫ হবে। স্বাস্থ্য বেশ ভালো। দেখতে সুন্দর চেহারা। মিথ্যা বলব না, আমি দেখতে সুন্দর। আমার স্বাস্থ্য ভালো। সব সময় আমি পরিপাটি থাকি। শহরের মানুষেরা যাকে স্মার্ট বলে। মহিলার স্বামী দুবাই থাকেন। মহিলা আমাকে ডেকে তার শোয়ার ঘরে নিয়ে গেলো। আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো। জোর করে আমার ঠোঁটে চুমু খাচ্ছে। মনে হচ্ছে মহিলা আমার ঠোঁট ছিড়ে ফেলবে। মহিলার বিশাল বক্ষ আমার শরীরের সাথে লেগে আছে। আমি মহিলার সাথে শক্তিতে পারছি না। এই মহিলার চেয়ে বয়সে আমি কমপক্ষে ১২ বছরের ছোট হবো। মহিলা আদুরে গলায় বলল- তুমি একটা বোকা ছেলে। কত দিন ধরে তোমাকে কত রকম ইশারা করছি, তুমি কিছুই বুঝ না। আজ তোমাকে ছাড়বো না।

আরেকটা ঘটনা বলি- ঝিগাতলা একটা প্রাইভেট পড়াই।
ক্লাস ফোরের এক ছেলেকে। ছেলেটা লেখাপড়ায় ভালো। আমাকে খুব খাটতে হয় না। অল্পতেই ছেলেটা সব বুঝে যায়। এই ছেলের এক খালা আছে। নাম রুবা। বয়স আমার সমনাই হবে। নানান উছিলায় রুবা বেশ কয়েকবার এসে আমার সাথে খাতির জমাতে চেষ্টা করে। একদিন পড়াচ্ছি। তখন রুবা এসে বলল- আজ বাসায় কেউ নেই। রুবা আমার পাশে এসে বসলো। বুকে ওড়না নেই। তার বুক দিয়ে আমার বাহুতে বারবার ঘসা দিচ্ছে। তার পা দিয়ে আমার পা জড়িয়ে ধরতে চেষ্টা করছে। আমি আমার ছাত্রকে বললাম, তুমি আমার জন্য এক গ্লাস পানি নিয়ে আসো। প্লীজ। তারপর ছাত্র চলে গেলে রুবাকে বললাম, রুবা আমি গরীবের সন্তান। আমাকে নিজের খরচ নিজে চালাতে হয়। আপনি এরকম করলে এই প্রাইভেটটা আমাকে ছেড়ে দিতে হবে। কথা শেষ হওয়ার আগেই রুবা আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল- তুমি আমাকে বিয়ে করবে? আমার নামে ঢাকায় দুটা ফ্লাট আছে। সেটা দিয়ে আমাদের হয়ে যাবে।

আরেকটা ঘটনা বলে লেখাটা শেষ করছি।
একটা মেয়েকে পড়াই। মেয়েটার বাবা হুজুর। মেয়েটা এসএসসি পরীক্ষার্থী। মেয়েটার মা আমাকে অনেক স্নেহ করেন। প্রায়ই বলেন, মেসে কি খাও, না খাও। আজ আমাদের এখানে খেয়ে যাও। দেশী মুরগী রান্না করেছি। কেউ কেউ অনেক ভালোবাসা নিয়ে অনুরোধ করেন, আমি মানা করতে পারি না। যাইহোক, একদিন পড়াচ্ছি। আমার ছাত্রী বললো পড়তে ভালো লাগে না স্যার। আমি বললাম, কি ভালো লাগে? ছাত্রী বলল, প্রেম করতে ভালো লাগে। আমি বললাম, দুষ্টমি বাদ দিয়ে পড়ায় মন দাও। তিন মাস পর তোমার পরীক্ষা। ছাত্রী করলো কি- হঠাত আমার কোলে এসে বসলো। তারপর আমার একটা হাত নিয়ে তার বুকের উপর রাখলো। এই ঘটনার পর আমি এই মেয়েটাকে আর পড়াতে যাইনি।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:১৫
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পেচ্ছাপ করি আপনাদের মূর্খ চেতনায়

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩৮

আপনারা হাদি হতে চেয়েছিলেন, অথচ হয়ে গেলেন নিরীহ হিন্দু গার্মেন্টস কর্মীর হত্যাকারী।
আপনারা আবাবিল হয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাড়াতে চেয়েছিলেন, অথচ রাক্ষস হয়ে বিএনপি নেতার ফুটফুটে মেয়েটাকে পুড়িয়ে মারলেন!
আপনারা ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০১



প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির আসল হত্যাকারি জামাত শিবির কেন আলোচনার বাহিরে?

লিখেছেন এ আর ১৫, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৪


গত মাসের শেষের দিকে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ারের ছেলে সালমান, উসমান হাদির সঙ্গে খু*নি ফয়সালের পরিচয় করিয়ে দেন। সেই সময় হাদিকে আশ্বস্ত করা হয়—নির্বাচন পরিচালনা ও ক্যাম্পেইনে তারা... ...বাকিটুকু পড়ুন

দিপুকে হত্যা ও পোড়ানো বনাম তৌহিদী জনতা!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫


পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড (Pioneer Knitwears (BD) Ltd.) হলো বাদশা গ্রুপের (Badsha Group) একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। বাদশা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান কর্ণধার হলেন জনাব বাদশা মিয়া, যিনি একইসাথে এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাজানো ভোটে বিএনপিকে সেনাবাহিনী আর আমলারা ক্ষমতায় আনতেছে। ভোট তো কেবল লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।

লিখেছেন তানভির জুমার, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২২



১০০% নিশ্চিত বিএনপি ক্ষমতায় আসছে, এবং আওয়ামী স্টাইলে ক্ষমতা চালাবে। সন্ত্রাসী লীগকে এই বিএনপিই আবার ফিরিয়ে আনবে।সেনাবাহিনী আর আমলাদের সাথে ডিল কমপ্লিট। সহসাই এই দেশে ন্যায়-ইনসাফ ফিরবে না। লুটপাট... ...বাকিটুকু পড়ুন

×