
বরিশাল গিয়েছিলাম।
চলার পথে কয়েকটা ছবি তুলেছি মোবাইল দিয়ে। আবার অনেক সুন্দর কিছু দৃশ্য দেখেছি, সেগুলোর ছবি তুলি নাই। কারন কিছু সৌন্দর্য মোবাইলে ধারন করা সম্ভব নয়। যেমন- রাস্তার ধারে একটা তাল গাছ দেখলাম। তাল পেকে মাটিতে পড়ে গেছে। কিছু পড়ে আছে খালের পানিতে। চারপাশ পাকা তাদের গন্ধে ভরে গেছে। ঢাকা শহরে আমরা তাল কিনে পিঠা বানিয়ে খাই। অথচ গ্রামে রাস্তায় চলার পথে তাল পড়ে থাকে, কেউ নেয় না। অনেক বাড়িতে দেখলাম, পেয়ারা গাছে পেকে আছে তবু কেউ পেয়ারা খায় না। পাখি এসে ঠুকরে ঠুকরে করে খাচ্ছে। পাকা পেপেরও একই অবস্থা। কিছু পাখি দেখলাম মাঠের খুব নিচ দিয়ে দিয়ে উড়ে যাছে। তাল গাছে দেখলাম বাবুই পাখির বাসা। প্রতিটা বাসা দেখতে একই রকম। এত সুন্দর করে বাসা বানাতে আর কোনো পাখি পারে না। অনেক বড় বড় জমি দেখলাম- খালি পড়ে আছে। চাষবাস হচ্ছে না। আর বক বক করবো না। ছবি গুলো দেখুন।
১।

মসজিদের পাশে কলা গাছ। নিশ্চয়ই মসজিদের হুজুর এই কলা গুলো খাবেন। অবশ্য যারা মসজিদে নামাজ পড়তে আসেন, তাদেরও এই কলার ভাগ দেওয়া উচিৎ।
২।

এটা একটা পারবারিক কবরস্থান। এখানে শায়িত আছেন সুরভির মা।
৩।

প্রতিটা বাড়িতেই পেয়ারা গাছ দেখেছি। আমি এই গ্রামে থাকলে পেয়ারা গুলোর সঠিক ব্যবস্থা করতে পারতাম।
৪।

স্কুলের মাঠের পাশে কিছু সুপারি গাছ আছে। সুপারি গাছের ফাঁক দিয়ে আকাশ দেখা যায়।
৫।

দূর্গাসাগর। বলা হয়ে থাকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দীঘি। আমার কাছে আহামরি কিছু মনে হয়নি। ২০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে এই দীঘি দেখতে হয়।
৬।

দূর্গাসাগর দীঘি। প্রতিদিন অনেক মানুষ আসে এখানে নিরিবিলি সময় কাটাতে। প্রেমিক প্রেমিকারা আসে সবচেয়ে বেশি।
৭।

কবুতর গুলো আমাকে দেখে তাদের ঘরে ডুকে গেলো। যেন তাঁরা পরপুরুষের সামনে আসতে চায় না। ধর্মীয় বাঁধা নিষেধ। পাপ হবে।
৮।

চায়ের দোকানের বেঞ্চে একটা অসুস্থ বিড়ালের বাচ্চা।
৯।

এই ছবিটা যে কোন জায়গা থেকে তুলেছি মনে করতে পারছি না।
১০।

প্রাইমারী স্কুলের মাঠের পাশে একটা ছোট ফুলের বাগান আছে।
১১।

সময় তখন মধ্যদুপুর। আশেপাশে কোনো মানুষ নেই, বাড়িঘর নেই। নানান রকম পাখি ডাকছে।
১২।

রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, তালগাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে। সব গাছই তো এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকে।
১৩।

একটা বাচ্চা মসজিদের দেয়ালে উঠে খেলা করছে। ৫ফিট সমান উচু দেয়াল। বাচ্চাটা পড়ে গেলে ব্যথা পাবে। বাচ্চাটার বাবা মা কই?
১৪।

ভর সন্ধ্যায় এই ছবিটা তুলি।
১৫।

সুরভিদের বাসার নিজস্ব পুকুর। কেউ ব্যবহার করে না। এই পুকুরে কি সুরভি কখনও স্নান করেছে?
১৬।

এই বটগাছ টা আমার খুব ভালো লেগেছে। আমি আধা ঘন্টা এই বটগাছের বেদিতে বসে ছিলাম। নিজেকে সন্ন্যাসী বলে মনে হয়েছিলো।
১৭।

সুগন্ধা নদী। এখানে অনেকক্ষন ছিলাম। নদীর পাড়ের ঠান্ডা বাতাস আমাকে আনন্দ দিয়েছে। এখানে যখন আমরা অবস্থান করছিলাম, তখন এক বাড়ি থেকে আমাদের চা খেতে দিয়েছিলো।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:০২