somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

ঢাকা শহরে নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য আপনার পরামর্শ কী?

২৭ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছবিঃ আমার তোলা।

এই শহরে আপনি কিছুতেই সুস্থ থাকতে পারবেন না।
একটা অসভ্য শহর। একটা ভয়ঙ্কর দুষিত শহর। ডাক্তাররা বলেন, ধুলো ময়লায় যাবেন না। হ্যাঁ ঢাকা শহরের কিছু এলাকায় না যাওয়াই মঙ্গল। যেমন গুলিস্তান, সায়দাবাদ, গাবতলী, যাত্রাবাড়ি, মিরপুর-১০, গোড়ান। এই এলাকা গুলো খুবই নোংরা। আসলে পুরো ঢাকা শহরটাই নোংরা। লোকাল বাসে একেবারেই চলাফেরা করবেন না। টেম্পু'তে উঠবেন না। ফুটপাত থেকে কেনাকাটা করবেন না। ফুটপাতের কোনো খাবার খাবেন না। যতক্ষন রাস্তায় থাকবেন মাস্ক ব্যবহার করবেন। স্বপ্ন, আগোরা এখান থেকে বাজার সদাই করবেন। বাজারে যাবেন না। ঢাকা শহরের সব গুলো বাজারই খুব বেশি নোংরা।

রমনা পার্কে যাবেন, তবে ভোরবেলা।
দুপুরে বা বিকেলে কখনই না। প্রয়োজনীয় কেনাকাটা অনলাইন থেকেই করাই ভালো। হয়তো টাকা কিছুটা বেশি লাগবে, তা লাগুক। তবু দুষিত পরিবেশে যাওয়া উচিৎ হবে না। এই শহর শুধু নয়, এই শহরের সমস্ত মানুষ গুলোও দুষিত হয়ে গেছে। কাজেই সব মানুষের সাথে চলাফেরা করার দরকার নেই। কোথাও চলাফেরা করার সময় গাড়ির জানালা খোলা রাখবেন না। তাহলে ভিক্ষুক এসে গাড়ির ভেতর হাত ঢুকিয়ে দেবে। এমনকি বখাটেরা মুহুর্তের মধ্যে আপনার মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে চলে যাবে। ভিক্ষুক গুলো অনেক বেশি বদ হয়ে গেছে। রাস্তায় সিগনালে গাড়ি থামলেই ভিক্ষুক এসে গাড়ির উপর হামলে পড়ে। মনে হয় যেন গাড়ির কাচ ভেঙ্গে ফেলবে। কাচে মুখ লাগিয়ে ভিক্ষা চাইতেই থাকে। একজনকে ভিক্ষা দিলেও শান্তি নাই, আরো দশজন এসে হাজির হবে।

সবচেয়ে ভালো হয়- এই শহর ছেড়ে চলে যেতে পারলে।
অবশ্য গ্রামে গিয়েও শান্তি নেই। গ্রামে জটিলতা কুটিলতা আরো বেশি। তাই উচিৎ সুযোগ সুবিধা থাকলে উন্নত কোনো দেশে চলে যাওয়া। এই পোড়া দেশে, এই দুষিত দেশে না থাকাই ভালো। দেশের এলিট শ্রেনীরা বিদেশে বাড়ি গাড়ি করে ফেলেছে। তাদের এক পা উন্নত দেশে। তাদের ছেলেমেয়েরা উন্নত জীবনযাপন করেছে। সহজ সরল সত্য কথা হলো- আমাদের দেশটা জাহান্নাম। কোথাও শান্তি নাই। এই শহরের প্রতিটা মানুষ অমানুষে পরিনত হয়েছে। সামান্য ট্রেড লাইসেন্স করাতে গেলেও ঘুষ দিতে হয়। একজন সাংসারিক মানুষও যখন ঘর থেকে বাইরে বের হয়, সে-ও অমানুষে পরিনত হয়। অথচ সে একজন মমতাবান পিতা। মানবিক স্বামী। পৃথিবীর সমস্ত দরিদ্র দেশ গুলোর মানুষ, পরিবেশ এরকমই হয়ে থাকে। মসজিদ, কোরআন, হাদীস মানুষকে ভালো বানাতে পারছে না।

বিশেষ বিশেষ দিন গুলোতে ঘর থেকে একদম বের হবেন না।
যেমন পহেলা বৈশাখ, পহেলা ফালগুণ, হ্যাপি নিউ ইয়ার ইত্যাদি। ঢাকা শহরে কোথাও না কোথাও সারা বছরই মেলা লেগেই আছে। এই সমস্ত মেলা গুলোতে যাবেন না। হাজার হাজার মানুষ, ধুলো আর ধুলো। হোক সেটা বানিজ্য মেলা অথবা বইমেলা। ভিড়ের জায়াগা গুলো একদম এড়িয়ে যাবেন। রাস্তায় বের হলেই জ্যামে আটকে যাবেন। তাই খুব প্রয়োজন না হলে রাস্তায় বের না হওয়াই ভালো। সামান্য ফার্মেসী থেকে ওষুধও কিনতে যাবেন না। অনলাইন থেকে কিনুন। ভোগান্তি কম হবে তাহলে। অবশ্য অনলাইন থেকে কেনাকাটা করে শান্তি পাবেন না। তাঁরা আপনাকে ভোগাবে। আজ আমি কন্যার জন্য ৯শ' টাকা দিয়ে এক প্যাকেট দুধ অর্ডার করেছি। তাঁরা আমাকে দুটা নাপা সিরাপ দিয়ে গেছে। এই হলো আমাদের দেশের অনলাইন সার্ভিসের নমুনা।

সহজ সরল সত্য কথা হলো- এই দেশে কোথাও শান্তি নেই।
রাস্তাঘাট, মানুষজন সমস্ত কিছু দুষিত হয়ে গেছে। সামান্য ফুটপাত দিয়েও আপনি শান্তিতে হাঁটতে পারবেন না। ফুটপাতে নানান রকম দোকানপাট, তাদের কিছু বললে, তাঁরা বলে নিয়মিত টাকা দেই পুলিশকে এবং স্থানীয় নেতাকে। এরপর একপাল বদমাশ ফুটপাতে বাইক উঠিয়ে দেয়। বাজারে যাবেন, সেখানে কিছু কিনতে গেলেই তাঁরা আপনাকে ঠকাবে। মোটকথা এই দেশের কোথাও শান্তি নেই। ঘরে বাইরে, অফিস আদালতে শান্তি নেই,। রাজনীতিতে শান্তি নেই, প্রেম ভালোবাসায় শান্তি নেই, খাদ্যদ্রব্যে শান্তি নেই। রাজনীতিবিদদের ছত্রছায়ায় থাকা লোকজন টাকার পাহাড় গড়েছে। তাঁরা এখন এমপি হতে চায়। তাঁরা বলে মানুষের সেবা করতে চাই। আসল কথা হচ্ছে- সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকার জন্য আপনাকে এই দেশ থেকে পালাতে হবে। নইলে কপালে দুঃখ আছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:১০
১২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসলামপন্থী রাজনীতির বয়ান এবং জামাতের গাজওয়াতুল হিন্দ-এর প্রস্তুতি

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২০


গোরা উপন্যাসে রবীন্দ্রনাথ নিজে ব্রাহ্ম হয়েও, ব্রাহ্ম সমাজের আদর্শের বিপরীতে "গোরা" নামে একটি চরিত্র তৈরি করেন। গোরা খুব কট্টরপন্থী হিন্দু যুবক। হিন্দু পরিচয়ে বড় হলেও, আসলে সে আইরিশ পিতা-মাতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তুমি নেই, তাই শূন্য লাগে

লিখেছেন রানার ব্লগ, ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪৬

তোমার চলে যাওয়ার পর
ঘরে আর আলো জ্বালাই না,
অন্ধকারে নিজের মতো করে
সবকিছু চিনে নেই।

জানো, আজ সকালে চা বানাতে গিয়ে দেখলাম
চিনি শেষ,
ভাবলাম ঠিক আছে,
মিষ্টি না থাকলেও চা হয়।

রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ
তোমার মতো... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫ আগস্টের পর তো কিছুই বদলায়নি

লিখেছেন মুনতাসির, ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৯

অনেকেই বলেন, ৫ আগস্টের পর তো কিছুই বদলায়নি। এই কথাটার সূত্র ধরেই এগোনো যায়। ৫ আগস্টের পর আমাদের কোন কোন পরিবর্তন এসেছে, সেটাই আগে দেখা দরকার। হিসাব করে দেখলাম, বলার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আদর্শের রাজনীতি না কোটি টাকার হাতছানি...

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:২৫



১. আমি অনেক আগে ব্লগে লিখেছিলাম, বাংলাদেশে ছোট দলগুলো নিষিদ্ধ করা উচিত। উন্নত দেশের মত ২/৩ টিতে থাকাই উত্তম। কারণ, ছোট দলের নেতাদের টকশো-তে গলাবাজি করা ছাড়া আর কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণে উড়ে গেল মাদ্রাসার দেয়াল, বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৯



ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় একটি মাদ্রাসায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী, শিশুসহ চারজন আহত হয়েছেন।

বিস্ফোরণে মাদ্রাসার একতলা ভবনের পশ্চিম পাশের দুটি কক্ষের দেয়াল উড়ে গেছে। ঘটনাস্থলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×