
১। ফাঁসির আগে দাদা আশুতোষ জেলে দেখা করতে গিয়ে ভাইকে বললেন ‘তোর চশমাটা দে।
একটা কিছু তো আমার কাছে রাখি। শুনে ভাইটি জবাব দিলেন ‘দাদা, চশমাটা আমি এখন দিতে পারব না। চোখে হাইপাওয়ার তো। ফাঁসির মঞ্চে যদি হোঁচট খাই, এরা ভাববে বাঙালির ছেলে আমি মৃত্যুর আগে ভয় পাচ্ছি। চশমাটা আমার মৃত্যুর পরে নিও।’ এই হলেন মৃত্যুঞ্জয়ী কানাইলাল দত্ত।
২। কয়েকদিন আগে একটি ফেসবুকীয় ইসলাম দেখেছিলাম, আজকে আরেকটা দেখা গেলো।
ফেসবুকে এই কাহিনী ঘোরাঘুরি করে। জান্নাতে আল্লাহ নিজে কোরআন পড়ে শোনাবেন। সেটা শুনে জান্নাতবাসীরা মোহিত হয়ে যাবে। -আল্লাহ সুরা আর-রহমান পড়ে শোনাবেন। জান্নাতের জাতিয় সঙ্গীত হবে সুরা আর-রহমান। এমন ফেসবুকীয় আবেগী ইসলামিক কেচ্ছা দেখে লোকজন লাইক আর শেয়ার করে অস্থির। সেই সাথে আমিন লিখতে লিখতে ভরিয়ে ফেলে।
৩। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর দিবারাত্রির কাব্য অনেকেরই পড়া। তারই বিশেষ একটা লাইন পড়ে মনে হয়েছিল - প্রচণ্ড বৃষ্টির এ রকম তুলনা কি করে কেউ ভাবতে পারে? চিন্তাই করতে পারি না!
মালতির খুব সরল মনের মেয়ে আনন্দ! আনন্দ সমুদ্রে প্রবল বৃষ্টি দেখে বলেছিল 'কি বৃষ্টি নেমেছে! সমুদ্রটা পর্যন্ত ভিজে যাবে'। যে সমুদ্র সীমাহীন জলের আধার- সেটা ভিজে যাবে!!
৪। উত্তর কোরিয়ার প্রধান কিম জং উন একটি সাংবাদিক সম্মেলনে ঘোষনা করলেন,
উত্তর কোরিয়া সূর্যে মানুষ পাঠাবে আগামী দশ বছরের মধ্যে। এক সাহসী সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করলেন ," কিন্তু সূর্য তো প্রচন্ড গরম৷ কী করে আপনি মানুষ পাঠাবেন স্যার?'' কিছুক্ষন পিনপতন নৈশঃব্দের পর কিম জং উন ধীরে ধীরে উত্তর দিলেন, ''আমরা রাত্রে মানুষ নামাব ৷''হল ভেঙ্গে পরল হাততালিতে । অল্প হেসে কিম প্রশংসা কুড়োলেন।
হোয়াইট হাউসে কমলা হ্যারিস ও তাঁর সহকর্মীরা এতক্ষন সাংবাদিক সম্মেলনটি TV তে লক্ষ করছিলেন ।কিমের উত্তরের পর তিনি কপালে চাঁটি মেরে বললেন , '' কী রকম ইডিয়ট , রাতে তো সূর্যই থাকে না , নামবে কোথায়?" তাঁর ক্যাবিনেট হাততালিতে ভেঙ্গে পরল।
৫। আমরা সুখে আছি তার অর্থ হলো অন্যরা দুঃখে আছে।
আমরা ধনী তার অর্থ হল অন্যরা গরীব। অর্থাৎ আমাদের সমস্ত ভোগ-বিলাস আর আনন্দ সবই স্বার্থপরতা। আমরা অন্যকে পরাজিত, অসহায় আর ব্যর্থ করে আজ সফল হয়েছি। কিংবা আমরা পরাজিত, অসহায় আর ব্যর্থ হয়ে অন্যদের জয়ী অর্থাৎ সফল করেছি।
৬। শুন্যে লাফাচ্ছে হরিণ। এক লাফে তেইশ হাত। আর বাঘ যায় এক লাফে বাাইশ হাত। তাহলে অঙ্কের হিসেবে বাঘ কখনও হরিণকে ধরার কথা নয়। কিন্তু বাস্তবে ঘটছে উল্টোটা। বাঘের হাতে হরিণকে কাবু হতে হয়। কারণটা কি?
কারণ হল হরিণ লাফাতে লাফাতে কখনও কখনও পেছন ফিরে তাঁকায়। বাঘের চাইতে সে কতোটা এগিয়ে আছে বুঝার জন্য। আর এটাই হয় সর্বনাশের কারণ। পেছন ফিরতে গিয়ে এক লাফ কমলেই তেইশ হাত পিছনে চলে আসে। শুন্যে লাফাচ্ছে হরিণ। এক লাফে তেইশ হাত। আর বাঘ যায় এক লাফে বাাইশ হাত। তাহলে অঙ্কের হিসেবে বাঘ কখনও হরিণকে ধরার কথা নয়। কিন্তু বাস্তবে ঘটছে উল্টোটা। বাঘের হাতে হরিণকে কাবু হতে হয়।
(সংগৃহীত)

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


