
কত-যে গিরি কত-যে নদী -তীরে
বেড়ালে বহি ছোটো এ বাঁশিটিরে,
কত-যে তান বাজালে ফিরে ফিরে
কাহারে তাহা কব।
একটা পার্টি দেওয়া উচিৎ।
আমাদের ব্লগের প্রান চাঁদগাজী/সোনাগাজী কমেন্ট ব্যান থেকে মুক্ত হয়েছেন। পার্টি ব্লগারদের নিয়েই দেওয়া উচিত। সমস্যা হলো- আমার আশেপাশে কোনো ব্লগার নেই। কারো সাথে যোগাযোগও নেই। তবে উনি ঢাকায় এলে একটা পার্টির ব্যবস্থা করবো। যাইহোক, আমার ওস্তাদের কমেন্ট ব্যান থেকে মুক্ত হওয়ার খুশিতে আজ আমি সকালে একজন দরিদ্র মানুষকে নাস্তা করিয়েছি। সন্ধ্যায় আরেক জনকে খাওয়ানো হবে। এটা আমি শিখেছি আমাদের ব্লগার শ্যাইয়ান ভাইয়ের কাছ থেকে।
পোষ্টটা আরো আগেই দেওয়া উচিৎ ছিলো।
কিন্তু ব্যস্ততার কারনে পোস্ট দিতে দেরী করে ফেললাম। এজন্য ক্ষমাপ্রার্থী। দীর্ঘ ছয় মাস পর তাকে কমেন্ট ব্যান থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু আমি মডারেটরকে ধন্যবাদ দিবো না। কারন, আমি মনে করি- তাঁরা অন্যায়ভাবে ওস্তাদকে কমেন্ট ব্যান করে রেখেছিলেন। চাঁদগাজী/সোনাগাজীকে কমেন্ট ব্যান থেকে মুক্ত করার পর ব্লগে কেমন একটা ঝলমলে ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এবং ব্লগে কমেন্টের বন্যা বয়ে যাচ্ছে সমস্ত পোস্ট গুলোতে। ইহা ভালো লক্ষন। একজন মানুষের কমেন্ট ব্যান থেকে মুক্তি- পুরো সামু যেন জেগে উঠেছে।
চাঁদগাজী/সোনাগাজী কমেন্ট ব্যান মুক্ত হওয়ায় আজ সমস্ত ব্লগার খুশি।
ব্লগার কলাবাগানকে আমি ধন্যবাদ জানাই। সেই সাথে ব্লগার শ্যাইয়ান ভাইকেও ধন্যবাদ জানাই। উনি সোনাগাজীর মুক্তির জন্য বেশ কয়েকটা পোষ্ট দিয়েছেন। গোফরান ভাইকেও ধন্যবাদ জানাই। ব্লগার মহাজাগতিক সাহেবও সোনাগাজীকে নিয়ে পোস্ট দিয়েছেন। আমার তো মনে হয়- আমি সামুতে টিকে আছি চাদ্গাজী/সোনাগাজীর জন্য। যাইহোক, সবাই ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। আনন্দ নিয়ে ব্লগিং করুণ। নিন্দুকরা অন্যের সমালোচনা করবে এটা তাদের কাজ। তারা অন্যের ভালো দেখতে পারে না। তাই নিন্দা কথায় কান না দিয়ে নিজের পথেই চলতে হবে।
আমার ইচ্ছা ছিলো- আজ কিছু পাখি আকাশে উড়িয়ে দিব।
কিন্তু হাতের কাছে পাখির ব্যবস্থা নেই। আর কাটাবন যাওয়া আজকে সম্ভব না। আমার স্বীকার করতে লজ্জা নেই, আমি ব্লগিং শিখেছি উনার কাছ থেকেই। উনি সামুতে না থাকলে আমি এত লম্বা সময় ধরে সামুতে থাকতাম না। আমি সামুতে এসেই আগে উনার লেখা পড়ি। খুঁজে খুঁজে উনার মন্তব্য গুলো পড়ি। আমি উনার প্রচুর মন্তব্য সংগ্রহ করে রেখেছি। হাতে গোনা তিন/চারজন ব্লগারের আজ মন খারাপ। তাঁরা চাঁদগাজী/সোনাগাজীর কমেন্ট ব্যান মুক্ত হওয়াটা মেনে নিতে পারছেন না। তাদের অনেক কষ্ট!
বাংলাদেশ নিয়ে চাঁদগাজীর অনেক চিন্তা।
হয়তো উনি দেশের বাইরে থাকেন বলেই- দেশ নিয়ে এত চিন্তা করেন। আর আমরা দেশে থেকেও দেশ নিয়ে ভাবি না। আমি খেয়াল করে দেখেছি- দেশে কোনো সমস্যা হলে উনি অস্থির হয়ে পড়েন। ঠিক তেমনি কোনো ব্লগার অসুস্থ হলেও উনি বিচলিত হয়ে পড়েন। ব্লগার নুরু মোহাম্মদ নুরু ভাইয়ের মৃত্যুতে চাঁদগাজী প্রচন্ড কষ্ট পেয়েছেন। সোনাগাজীর মন্তব্য গুলো ভালো করে খেয়াল করলে দেখবেন- উনি ব্লগারদের ভালো ভালো পরামর্শ দিচ্ছেন। কার কি লেখা দরকার, কোন বিষয়ে লিখলে ভালো হবে, কোথায় চাকরি করলে ভালো হবে অথবা কোন ব্যবসা করলে সফল হওয়া যাবে। এই রকম আর কোনো ব্লগার করেন না।
আসুন আমরা নিন্দুকের কাছ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করি।
কারণ সবার পক্ষে মানসিক দৃঢ়তা দিয়ে নিন্দা-সমালোচনাকে উপেক্ষা করা সম্ভব হয় না। পৃথিবীতে যদি নিন্দা বলে কিছু না থাকতো তবে ভালো কাজের স্বীকৃতি আসতো কি করে! সমাজের প্রতিটি কোণায় পরনিন্দা আছে বলেই সমাজ ঠিক মতো চলছে। চাঁদগাজী/সোনাগাজী মূলত হীরার টুকরা। কিন্তু কতিপয় ব্লগার তাকে কাঁচের টুকরা ভেবে ভুল করেছেন। তিনি রসিকতা করে মানুষের ভুল গুলো ধরিয়ে দেন। উক্ত ভুল শুধরে নেওয়া মানে নিজের উপকার করা। আর যারা ভুল শুধরে নেয় না, তাঁরা পেছনে পড়ে রয়। যারা বিচক্ষণ এবং মানবিক তাঁরা সোনাগাজীর বিপক্ষে যাবে না কখনো।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


