
মানব জীবনটা নানা সমস্যায় কন্টকিত।
নানা ভাবনায় মন আক্রান্ত। সকলের মনে বড় অশান্তি। চারিদিকে কি যে হচ্ছে সব! একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে, এই ভাবনায় মনটা কিছুটা শান্ত হয়। এদিকে বর্ষাকাল শেষ। শরৎ আসি আসি করছে। শরৎ ঋতু আমাদের খুব পছন্দ। কাশফুল দিয়ে ভরে যাবে চারপাশ। নদীর পাড়ে অতি মনোরম পরিবেশ তৈরি হয়। এই সময় ভোরের দিকে কিছুটা শিশির পড়ে। কাশফুল গুলো শিশির খেয়ে নেয় ইচ্ছে মতো। পূজো হবে। মন্দিরে মন্দিরে ঢাকঢোল বাজবে। চারিদিকে উৎসবের আমেজ। পুজোর সময় মন্দিরে মন্দিরে ঘুরে বেড়াতে বেশ লাগে।
এই যে বেচে আছি, একদিন মরে যাবো- এই বিষয়টাই বুঝি না।
কেন জন্ম হলো, কেন এই বেচে থাকা, কেনই না একদিন হুট করে মরে যাওয়া! বাচা এবং মরে যাওয়ার একটা অর্থ থাকবে তো! ভালোবাসাও কি এই রকম যুক্তিহীন? ডাক্তার বলেছিলো, সহ্যশক্তি বাড়াও। মনটা ঝরঝরে করো। প্রেমে না পড়লে মন ঝরঝরে হয় না। স্বপ্ন দেখা, হাত ধরাধরি, চুমু খাওয়া, আঙুলে আঙুল, রাত জাগা, কত কথা! প্রেম মানুষকে বাচিয়ে রাখে। নারী প্রেম আর দেশপ্রেম কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ? জরুরী দেশপ্রেম। দেশপ্রেম থাকলেই নারী প্রেম চলে আসে। দেশপ্রেম না থাকলে নারীপ্রেম দীর্ঘস্থায়ী হয় না।
পৃথিবীর ঘটনাবলী কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না।
যা ঘটবার ঘটবেই। আমরা শুধু চোখ বুঝে আয়ুটা পার করে যেতে চাই। তারপর যা হয় হোক। যদিও গোপন ইচ্ছা আছে হেলমেট পড়ে হাতে লাঠি নিয়ে রাস্তায় নামবো। যেখানে অন্যায় দেখবো লাগাবো দুই ঘা করে। প্রাচীন মিশরে এক রাজা ছিলেন। তিনি ঘোড়ায় চড়ে চাবুক হাতে ঘুরে বেড়াতেন। তিনি একেকদিন একেক এলাকা ঘুরে বেড়াতেন। যেখানেই অন্যায় দেখতেন লাগাতেন দুই ঘা করে চাবুক। আমিও সমাজের দুষ্ট লোকদের দুই ঘা করে লাঠির আঘাত করতে চাই। যেটাকে বলে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া।
শরীর না মন বেশি গুরুত্বপূর্ণ?
শরীরের কোনো দোষ হয় না। শরীর তো একটা নিরপেক্ষ জিনিস। মন যেভাবে চালায় সে সেভাবে চলে। শরীর আনন্দ পেলে, সেই আনন্দের ভাগ মনও পায়। আবার মন আনন্দ পেলে শরীর খুশি হয়। ধর্ম বলে, শরীর ও মন ক্ষেত্র বিশেষ অপবিত্র হয়। ভুল কথা। শরীর হলো অমৃত। তবে বিগড়ে যায়, আবার পবিত্র ভালোবাসায় মন সেরে ওঠে। এই যুগে একজন মেয়ের পুরুষের উপর নির্ভরশীল হওয়া ঠিক না। দরকার স্বাধীনতা আর নিজের উপর বিশ্বাস স্থাপন। দায়বদ্ধতার ঝামেলা না থাকাই ভালো। নারী এগিয় গেলেই দেশ এগিয়ে যাবে।
একটা অদ্ভুত ব্যাপার ঘটেছে।
বাসায় কেউ নেই। আমি একা। তখন ভোর প্রায় চারটা। হঠাত ঘুম ভেঙ্গে গেছে। আর ঘুম আসছে না। আমি বিছানায় এপাশ-ওপাশ করছি। হঠাত দরজায় নক নক শব্দ। আমি দরজা খুললাম। দেখি অপরিচিত একটা মেয়ে। আমার একটুও ভয় করলো না। যেন এটাই স্বাভাবিক। মেয়েটার চুলের খোঁপায় বেলিফুল। চারপাশ মিষ্টি গন্ধে ভরে গেছে। মেয়েটা বলল, আমি তোমাকে ঘুম পাড়িয়ে দিচ্ছি। তুমি আরাম করে ঘুমাও। মেয়েটা আমার মাথায় হাত রাখতেই আমি গভীর ঘুমে তলিয়ে গেলাম। হ্যাঁ, জানি এটা বাস্তবে সম্ভব না। এটা আমার কল্পনা। কিন্তু সমস্যা হলো সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি- আমার বালিশের কাছে বেলিফুলের মালা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


