
এই মুহূর্তে বিশ্বে পরিস্থিতি যা তাতে বিনা দ্বিধায় বলায় যেতে পারে-
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ অস্বাভাবিক নয়। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের একটা অদৃশ্য হুমকি যে তৈরি হয়েছে, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। আমাদের পৃথিবীর অবস্থা ভালো না। উন্নত দেশ গুলো চায় দরিদ্র দেশ গুলোকে শাসন করতে। চায় আধিপত্য। এই যে আমেরিকা আমাদের শেখ হাসিনাকে চাপ দিচ্ছে। অথচ শেখ হাসিনা হাসিমুখে সত্যিই দেশের জন্য ভালো ভালো কাজ করছেন। কিন্তু বর্হিবিশ্ব তাকে থামিয়ে দিতে চায়। আসলে দুষ্টলোকেরা যেমন কারো ভালো দেখতে পারে না, তেমনি বিশ্বের বড় বড় নেতারা দরিদ্র দেশ গুলির উন্নতি সহ্য করতে পারে না। এদিকে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের এক বছর পূর্তিতে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট যে ভাষণ দিয়েছেন, সেই ভাষণই এই সংঘাতকে বিশ্বযুদ্ধের দিকে নিয়ে গেছে।
পুরো বিশ্বে একটা হানাহানি শুরু হয়ে যাবে খুব শ্রীঘই।
লেগে যাবে যুদ্ধ। যার নাম তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। এই যুদ্ধ খুব ভয়ংকর হবে। কমপক্ষে বিশ্বের এক কোটি লোক মারা যাবে। বলা যায় দরিদ্র দেশ গুলো ধ্বংস হয়ে যাবে। দেখা দিদবে দুর্ভিক্ষ। তৃতীয় বিশ্বের দেশ গুলো- কোনোদিনই মাথা উচু করে দাড়াতে পারবে না। বিশ্বের বড় বড় নেতারা যদি ভালো হতো, তাহলে আফ্রিকা বদলে যেত। বিশ্ব মোড়লরাই বিশ্বের বারোটা বাজিয়ে দেবে। আগামী দিন গুলোতে চীন ভয়ংকর হয়ে উঠবে। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিউজিল্যান্ডের কোনো ক্ষতিই হবে না। তাঁরা নিরাপদ থাকবে। এদিকে ব্রিটেন সুরক্ষিত থাকলে আয়ারল্যান্ডও রক্ষা পেয়ে যাবে। কানাডাও তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নিরাপদ থাকতে পারে।
কিম জং আর পুতিন ভয়ংকর কিছু করবে।
জাতিসংঘ পৃথিবীর আসন্ন বিপদ টের পাচ্ছে না। যুদ্ধ সব কিছু ধ্বংস করে দেয়। এই যে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ করছে, এজন্য বিশ্বের প্রতিটি দেশের বেগ পেতে হচ্ছে। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লেগে গেলে দরিদ্র দেশ গুলোর মানুষ না খেয়ে মরবে। বিশ্বের অনেক দেশ আমেরিকাকে মোড়ল মানতে চায় না। সামনের দিন গুলোতে আমেরিকার অনেক বিপদে পড়বে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ষাটের দশক অবধি বিশ্বজুড়ে ছিল মূল্যস্ফীতির ব্যপক সংকট। ইরানের হাতে আধুনিক রকেট ও মিসাইল আছে। কিন্তু এসব অস্ত্র যদি তারা মার্কিন বাহিনীর ওপর প্রতিশোধমূলক হামলার জন্য ব্যবহার করে তাহলে পরিস্থিতি বরং খারাপ হতে পারে। সামনের দিন গুলোতে যা ঘটবে, সব মন্দ ঘটবে।
ভারতের সাথে আমাদের সুসম্পর্ক থাকুক এটা আমেরিকার চায় না।
আমেরিকা যদি আমাদের বন্ধুই হতো তাহলে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসতো। মায়ানমার খারাপ জাতি। মায়ানমার ভবিষ্যতে আমাদের উপর হামলা করবে। ভারত পাকিস্তান তো বহু বছর ধরে লেগেই আছে। চীন তাইওয়ান যুদ্ধ হবে নিশ্চিত। ইউক্রেন যুদ্ধ থামলেই আমেরিকা রাশিয়া লেগে যাবে। আফগানিস্তান আর ইজরাইল যুদ্ধ হবে। কেয়ামতের আগেই যুদ্ধে যুদ্ধে পৃথিবীটা শেষ হয়ে যাবে। ইউক্রেন তো অলরেডি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের মধ্যেই রয়েছে। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কেন হবে আর কোন কোন দেশগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকবে, কিংবা কোথায় কিভাবে সংঘটিত হতে পারে এ মহাযুদ্ধ, সেসব নিয়ে কি কখনো ভেবেছেন আপনি?
পৃথিবী থেকে যদি অস্ত্র বিলুপ্তি করা যেত তাহলে যুদ্ধ বন্ধ হতো।
অস্ত্র বেচা কেনা, ডলার আর মানুষের লোভ পৃথিবীকে দিন দিন ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। যখন কোনো দেশে সম্মেলন হয়, তখন ধনী দেশের নেতারা সেখানে যান না। এটা খুবই অশুভ সংকেত। ভিতরে ভিতরে তারা খারাপ কিছু পরিকল্পনা আটছে নিশ্চয়ই। বিশ্বে এখন মহান প্রভুর ইচ্ছেতে পরিচালিত হয় না। ঈশ্বরের দিন শেষ। দুষ্ট লোকেরা সব ক্ষমতার মালিক হয়ে গেছে। ৭১ সালে আমরা যুদ্ধ করেছিলাম, তারপর কোমর সোজা করে দাড়াতে আমাদের অনেক সময় লেগেছে। বিশ্বযুদ্ধ যে বিপর্যয়কর পরিণতি বয়ে আনবে তার পরিপ্রেক্ষিতে, কূটনীতি, আলোচনা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে শান্তি ও সংঘাত সমাধানের দিকে কাজ করা জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


