
আগামী নির্বাচনে বিএনপির ক্ষমতায় আসার কোনো সম্ভবনা নেই।
একজন সভ্য মানুষ, একজন দেশপ্রেমিক এবং একজন সুনাগরিক কেউ চাইবে না- বিএনপি ক্ষমতায় আসুক। বিএনপি তো ক্ষমতায় ছিলো অনেকদিন। কিন্তু তাঁরা দেশের জন্য কিছুই করে নাই। আবার যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে তাহলে আমাদের দেশটি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকলে সমস্যা কি? তাঁরা তো অনেকে ভালো ভালো কাজ করছে। চতুর্দিকে দেশের ভালো উন্নয়ন হচ্ছে। হ্যাঁ কিছুটা দূর্নীতি হচ্ছে। তবে দেশ তো আর বিএনপির আমলের মতো বারবার দূর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হচ্ছে না। বিএনপিতে দক্ষ ও যোগ্য লোক নেই।
সহজ সরল সত্য কথা হলো- আওয়ামীলীগ অদৃশ্য ভাবে বিএনপির কোমর ভেঙ্গে দিয়েছে।
বিএনপি আর কোনোদিন কোমর সোজা করে দাঁড়াতে পারবে না। তাদের উচিৎ শিক্ষা দিয়েছে আওয়ামীলীগ। এজন্য আমি আওয়ামী লীগকে মন থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিলো- তাঁরা দেশের উন্নয়ন বাদ দিয়ে লুটপাতে মেতে ছিলো। ফালু থেকে শুরু করে মির্জা আব্বাস। ইচ্ছা মতো লুটপাট করেছে। লুৎফুজ্জামান বাবর এর মতো অযোগ্য ও অদক্ষ লোকদের বড় বড় পদে বসিয়েছে। তাঁরা দেশের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে। দেশ পরিচালনা করার মতো মেধা ও গুণ খালেদা জিয়ার কোনো কালেই ছিলো না। হুমায়ূন আজাদ বলেছিলেন, খালেদা জিয়ার প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষিকা হবার যোগ্যতা নেই। সে কিভাবে একটি দেশ পরিচালনা করবে!
আমাকে গালি দিবেন না। আমি রাজনীতি করি না।
আমার বংশে কেউ রাজনীতি করে না। আমি দেশের একজন অতি সাধারন নাগরিক। ভালো মন্দ যা দেখি- তা-ই বলি। হ্যাঁ আওয়ামী লীগ ধোয়া তুলসী পাতা নয়। তাদের অনেক দোষ আছে। দেশে লেখাপড়ার মান কমেছে। বেশ দূর্নীতিও হচ্ছে। নব্য ধনীদের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। বাজারে আগুন। রাজনীতিবিদদের ছাত্রছায়ায় থাকা লোকজন সীমাহীন টাকার মালিক হয়ে গেছে। ছাত্রলীগ তো আধুনিক জল্লাদ। তারাও বেশ দূর্নীতি করছে। সরকারি হাসপাতালে দালাল দিয়ে ভরা। সরকারি আমলা থেকে শুরু করে অনেক নেতা- লন্ডন, আমেরিকা আর কানাডাতে সেকেন্ড হোম বানিয়ে রেখেছেন। তাদের ছেলেমেয়েদের উন্নত জীবনের জন্য সেখানে পাঠিয়ে দিয়েছে। এই সমস্যা গুলো আওয়ামীলীগ কাটিয়ে উঠতে পারলে- আমরা এক মহান জাতিতে পরিনত হতে পারবো।
পনের বছর ধরে আওয়ামীলীগ।
ক্ষমতায় বিএনপির লোকজনের হাতে এখন টাকা নেই। তাদের কর্মীরা অসহায় জীবনযাপন করছে। বিএনপি পনের বছর তাঁরা কোনো লুটপাট করতে পারছে না। ডাল ভাত খেয়ে কোনো রকমে বেঁচে আছে। তাঁরা এখন নিজদের পরিবর্তন চায়। যে করেই হোক ক্ষমতায় আসতে হবে। তাহলে নিজেদের অবস্থার পরিবর্তন হবে। এজন্য বিএনপি আগামী নির্বাচনে মরন কামড় দেবে। অনেক নেতা বিদেশীদের ধরেছে। দেশে একটা অরাজকতা তৈরির জন্য বিএনপি মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের সমস্ত 'চাল' কোনো প্রকার কাজে আসবে না। বিএনপি শেষ। বিএনপির দুইজন প্রধান ব্যাক্তি। খালেদা জিয়া মৃত্যু শয়্যায়। আর তারেক রহমান লন্ডনে। পুরো বিএনপি বড় বেকায়দায় আছে। এদিকে মির্জা ফখরুল একা গলা ফাটাচ্ছেন। ফলাফল শূন্য। এদিকে শেখ হাসিনা রাজাকারদের বিচার করেছেন। বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিচার করেছেন। শাবাস।
শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে। থাকুক।
তিনি অনেক ভালো ভালো কাজ করছেন। দেশ ধীরে ধীরে ভালোর দিকেই যাচ্ছে। স্বাধীনতার ৩৫ বছরে যে উন্নয়ন হয় নাই। গত ১৫ বছরে তারচেয়ে দ্বিগুন উন্নয়ন করে শেখ হাসিনা দেখিয়ে দিয়েছেন। আমরা সাধারন নাগরিক। আমাদের কাজ করে ভাত খেতে হবে। হাসিনা বা খালেদা আমাদের ঘরে বাজার পাঠিয়ে দিবেন না। কিন্তু দেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের দেখতে হবে সত্যিকারভাবে দেশের জন্য কাজ করছেন কে? যে কাজ করছেন তাকে সাপোর্ট করতে হবে। তার পাশে থাকতে হবে। আমাদের দেশটা দরিদ্র। মানুষ বেশি। দেশে সমস্যার শেষ নেই। তবু ধীরে ধীরে আমাদের দেশটা এগিয়ে যাচ্ছে। অসহায় লাখ লাখ রোহিঙ্গাদের শেখ হাসিনা জায়গা দিয়েছেন। তিনি একজন মানবিক ও হৃদয়বান প্রধানমন্ত্রী। সবদিকে তার নজর আছে। যোগ্য বাবার যোগ্য কন্যা।
আমার ধারনা আগামী নির্বাচনের পর শেখ হাসিনা দেশের দূর্নীতিবাজদের ধরবেন।
দেশের লেখাপড়ার মান বাড়ানোর জন্য ব্যবস্থা নেবেন। ছাত্রলীগকে লাইনে আনবেন। অথবা তাদের একেবারে অফ করে দিবেন। বাজার নিয়ন্ত্রণ করবেন। একা মানুষ উনি আর কত করবেন? তারপরও উনি যা করেছেন- তা অনেক করেছেন। এতটা মেজর জিয়া করেনি, এরশাদ করেননি এমনকি খালেদা জিয়াও করেননি। আওয়ামীলীগে কিছু অযোগ্য অদক্ষ নেতা আছেন- তাদের দ্বারা জাতি উপকৃত হবে না। বরং এরা দূর্নীতি করছেন। অনেক চোর বাটপার আগামী নির্বাচনে এমপি হওয়ার জন্য দেনদরবার শুরু করেছে। এদের থামাতে হবে। এদের দল থেকে বহিস্কার করতে হবে। তাতেই দেশের মঙ্গল। দেশের মঙ্গল মানে আমাদের মঙ্গল। জয় বাংলা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


