somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

বাংলাদেশের মানুষ সবাই সবাইকে ঠকাচ্ছে

২০ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ঢাকা শহরে কিছু হাসপাতাল আছে।
জাস্ট টাকা কামানোর জন্য হাসপাতাল খুলেছে। এই হাসপাতাল গুলো আগে বাসা-বাড়ি ছিলো। পুরোনো বাড়ি। সেই বাড়ি সস্তায় ভাড়া নিয়ে রঙ করে হাসপাতাল করা হয়েছে। ডাক্তারের চেম্বার গুলো চিপা চিপা। এই চিপায় বসে রোগী দেখে কোটি কোটি টাকা ইনকাম করছে। রোগীর সংখ্যা অনেক তাই হাসপাতাল কতৃপক্ষ ফি বাড়িয়ে দিয়েছে। নিজেরাই এখন সব রকম টেস্ট ফেস্ট করে। টেস্ট করতে গেলে বলে, ৩৫% কম নিচ্ছি। আসলে কোনো কম নেয় না। হাসপাতাল মানে টাকার খেলা। কোনো দরিদ্র মানুষের টাকা না থাকলে চিকিৎসা পাবে না। হাসপাতালে কেউ মানবতা দেখায় না। টাকাই সব। মানবতা এখন দেয়ালে এসে ঠেকেছে। অর্থ্যাৎ পুরোনো কাপড় দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখা হয়। যার প্রয়োজন সে এসে নিয়ে যাবে। ঢাকা শহরের অনেক এলাকায় মানবতার দেয়াল দেখা যায়। মানুষের মনে কোনো মানবতা নেই।

আমার বাসার কাছেই আল বারাকাহ হাসপাতাল।
অতি জঘন্য ওদের সার্ভিস। একটা পুরোনো বিল্ডিং রঙ করে হাসপাতাল বানিয়ে দারুণ ব্যবসা করছে। এই হাসপাতালে একবার আমি মধ্যরাতে যাই। আমার মায়ের বুকে খুব ব্যথা করছিলো। গেলাম হাসপাতালে। ইমার্জেন্সি বিভাগে। রাত তখন দুটা বাজে। ওয়ার্ড বয় খুব বিরক্ত। সে ডাক্তারকে ফোন দিলো। ওয়ার্ড বয়ের চেয়ে ডাক্তার আরো বেশি বিরক্ত। এদিকে মা ব্যথায় ছটফট করছে। ডাক্তার বলল, অন্য হাসপাতালে চলে যেতে। আমার খুব রাগ লাগলো। তাহলে এই হাসপাতালের কাজ কি? তাছাড়া ডাক্তারের কি উচিত ছিলো না নিচে নেমে এসে রোগীকে দেখা? প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া? যতবার এই হাসপাতালে গিয়েছি ভালো সার্ভিস পাইনি।

শেষে মাকে নিয়ে অন্য হাসপাতালে গেলাম।
সাথে সাথে ডাক্তার নার্স ছুটে এলো। মাকে একটা ইনজেকশন দিলো। মায়ের ব্যথা নাই হয়ে গেলো। মাকে নিয়ে বাসায় ফিরে এলাম। কি সুন্দর সার্ভিস। আল বারাকাহ হাসপাতালে মধ্য রাত্রে রোগী গেলে কেন অবহেলা করে? একটা হাসপাতালে রোগী তো যে কোনো সময় আসতে পারে। মূলত যে হাসপাতাল গুলোর নিজস্ব বিল্ডিং নেই, যারা ভাড়া বাড়িতে হাসপাতাল করে তাদের সার্ভিস ভালো হয় না। আমি বেশ কয়েকবার মধ্যরাতে বারাকা হাসপাতালে গিয়ে সেবা পাইনি। এই কিছুদিন আগে ছোট ভাইকে নিয়ে বারাকা হাসপাতালে গেলাম। ওয়ার্ড বয় ডাক্তারকে ফোন দিলো। ডাক্তার যথেষ্ট বিরক্ত। ডাক্তার ফোনে বলে দিলো। অন্য হাসপাতালে যেতে। আমি বললাম- আপনারা চিকিৎসা করান। ওয়ার্ড বয় বলল- সিনিয়র ডাক্তার নেই। কারণ শুক্রবার ডাক্তার থাকে না। একটা হাসপাতালে কেন ডাক্তার থাকবে না? বারাকাহ সম্ভবত জামাতের হাসপাতাল। ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালের শাখা। যাইহোক, আমি চাই সেবা। তারা তো টাকা কম নেয় না। স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের উচিত তদারকি করা।

ঢাকায় ভালো কিছু হাসপাতাল আছে।
স্কয়ার, ল্যাব এইড, ইউনাইটেড ইত্যাদি। সেখানে ভালো চিকিৎসা হয়। কিন্তু অনেক খরচ। খুব বেশি খরচ। এমন অবস্থা জমানো টাকা না থাকলে, চিকিৎসা করাতে হলে জায়গা জমি বিক্রি করতে হবে। আর জায়গা জমি না থাকলে বিনা চিকিৎসায় মরতে হবে। সরকারি হাসপাতাল আরেক দুর্ভোগ। আজ পর্যন্ত কোনো সরকার সরকারি হাসপাতাল থেকে দালাল দূর করতে পারলো না। ঢাকার দুই মেয়র যেমন পারেননি ফুটপাত দখলমুক্ত করতে। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পেতে হলে উপর মহল থেকে ফোন করাতে হয়। নইলে চিকিৎসা পেতে, অপারেশনের টাইম পেতে মাস পেরিয়ে যাবে।
সরকারের নিয়মিত তদারকি থাকলে জনগণ ভালো চিকিৎসা সেবা পেতো। সমস্যা হলো আমাদের দেশের রাজনীতিবিদ ও সরকারি আমলাদের জবাবদিহিতা নেই। এজন্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ জনগণ। টাকা না থাকলে এই দেশে চিকিৎসা নাই। অর্থাৎ হায়াত থাকতে মানুষ মরে যাবে। দরিদ্র দেশে জন্মগ্রহণ করাটা আসলে পাপ।

বাংলাদেশের মানুষ সবাই সবাইকে ঠকাচ্ছে।
ওষুধ কোম্পানি গুলো জনগনকে ঠকাচ্ছে। তারা সীমাহীন টাকার মালিক হচ্ছে। ফার্মেসীওলারা নীতিহীন ভাবে ব্যবসা করছে। প্রতিটা ঘরে ঘরে ওষুধ লাগেই। সন্ধ্যার পর ফার্মেসী গুলোতে লম্বা ভিড় থাকে। একটা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে ক্লাশ ওয়ান এর বাচ্চার বেতন ২৩ হাজার টাকা। এত টাকা কেন হবে? ঢাকা শহরে বেশ কিছু স্কুলের সামনে মোড়া ভাড়া পাওয়া যায়। এক ঘন্টা দশ টাকা করে। ছেলেমেয়ে স্কুলে ক্লাশ করে। মা রাস্তায় দাড়িয়ে থাকে। কতক্ষণ আর দাড়িয়ে থাকবে। স্কুল ছুটি হবে সেই চার টায়। তখন মোড়া ভাড়া নেওয়া ছাড়া গতি নাই। সব গার্জেনরা মোড়া ভাড়া নিয়ে বসে গল্প করেন। কেউ কেউ কাথা সেলাই করেন। চলতে থাকে ননস্টপ গীবত।
হুজুরেরা শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে গলা ফাটায় ইজরাইলের বিরুদ্ধে। তাতে ফিলিস্তিনবাসীর কোনো উপকার হয় না। এই হুজুরেরা নিজ দেশের সমস্যা নিয়ে কথা বলে না। দূর্নীতি, শিক্ষা, বাজার দর এইসব নিয়ে হুজুরদের কোনো কথা নেই। আরে হুজুর ভাই আগে নিজের দেশ সামলা তারপর বর্হিবিশ্বের কথা ভাব।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:১৬
৯টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বই : টক অব দ্য টাউন

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:০৮

বই : টক অব দ্য টাউন



একটি বই হঠাৎ করে এতটা আলোচনায় আসবে আমরা কি ভাবতে পেরেছি ?
বাংলাদেশের মানুষ অতি আবেগপ্রবন , বর্তমান রাজনৈতিক অস্হিরতার মধ্যে ও
বাঙালীর স্বভাবসুলভ অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

মাদ্রাসা শিক্ষা, বৈশ্বিক রাজনীতি, সহিংসতা ও জঙ্গিবাদ

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৫


লেখাটির শুরুতে একটি ভূমিকা দেওয়া যাক। সর্বশেষ দেশে গিয়ে কয়েকদিন গ্রামের বাড়িতে ছিলাম। উত্তরবঙ্গে, নিতান্ত অনুন্নত আমাদের সেই গ্রামে এতগুলো কওমি মাদ্রাসা হয়েছে দেখে অবাক হয়েছিলাম। আগে গ্রামে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকার মানুষের জীবন

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪


ঢাকাতে মানুষ বড় বিচিত্র ভাবে বেঁচে থাকে। নিয়মিত ঢাকার রাস্তার ঘুরে বেড়ানোর কারণে এই রকম অনেক কিছু আমার চোখে পড়ে। সেগুলো দেখে মনে হয় মানুষ কত ভাবেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

পৃথিবীর কিছু অঞ্চলে প্রায় সারা বছর বৃষ্টিপাতের কারণ কী?

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯

পৃথিবীর কিছু অঞ্চলে প্রায় সারা বছর বৃষ্টিপাতের কারণ কী?



পৃথিবীর কিছু অঞ্চলে প্রায় সারা বছরই বৃষ্টিপাত হয়। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, আফ্রিকার কিছু দেশ এবং দক্ষিন আমেরিকার কিছু দেশ ও অঞ্চলে বছরের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশ কখনো এমন করে বলতে পেরেছে কি?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫


ভারতে গরু ও গোমাংস নিয়ে হত্যা বা সহিংসতার নির্দিষ্ট সংখ্যা বলা কঠিন কারণ এটি রাজ্য, সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং 'গরু রক্ষা' বাহিনী ইত্যাদীর কারণে একেক যায়গাতে একেক রকম। ভারত গোমাংস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×