
ছেলে মেয়ে যখন বড় হয়ে যায় এবং
পিতামাতার যখন বয়স হয়ে যায়, তখন ছেলেমেয়ের দ্বায়িত্ব পিতামাতাকে খুশি রাখা। তাদের বাচিয়ে রাখা। তাদের দেখভাল করা। যত্ন করা। বাড়ির বউরা বুঝে না- শ্বাশুড়ি কে খুশি করা খুব কঠিন কিছু না। ঘরে ঘরে আজ অশান্তি, বউ শ্বাশুড়ির দ্বন্দ। পাড়াপ্রতিবেশি কান পেতে ঝগড়া শুনে। আড়ালে হাসে। বউ শ্বাশুড়ির ঝগড়া যে কত কুৎসিত, সেটা আমি নিজের চোখে দেখেছি। একবার দেখলাম, বউ শ্বাশুড়িকে মারার জন্য হাতে ঝাড়ু নিয়েছে। আর শ্বাশুড়ির হাতে স্যান্ডেল।
মানুষ মানুষকে ক্ষমা করে দিতে পারে।
কিন্তু প্রকৃতি কাউকে ক্ষমা করে না। অন্যায়ের শাস্তি প্রকৃতি যথাযথ সময়ে দিয়ে দেয়। প্রকৃতি বুঝে না কে শ্বাশুড়ি আর কে বউ। সে শুধু বুঝে অন্যায়ের শাস্তি দিতেই হবে। যাইহোক, বয়স হয়ে গেলে, মানুষ একটু শান্তি চায়। আরাম আয়েশ চায়। আপনি শ্বাশুড়ির সাথে সহজ সরল সুন্দর আচরণ করুন। তাকে সময় দিন। প্রয়োজন না হলেও তার কাছ থেকে বুদ্ধি পরামর্শ নিন। জোর করে তার কাছ থেকে অতীত দিনের গল্প শুনুন। তাতে শ্বাশুড়ি খুশি হবেন। ভাববেন তাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
ইহা সত্য যে কিছু শ্বাশুড়ি ডেঞ্জারাস হয়।
শ্বাশুড়ির কারনে তালাক পর্যন্ত হয়ে যায়। সংসারে ভয়াবহ অশান্তি। কত মেয়ে যে শ্বাশুড়ির কারনে রাগ করে বাপের বাড়ি চলে যায় তার হিসাব নাই। আমি নিজের চোখেই দেখেছি, এক শ্বাশুড়ি তার ছেলের বউকে চুলের মুঠি ধরে মারছে। পেট ভরে খেতে দিচ্ছে না। সুযোগ পেলেই কটু কথা বলে। এমনকি ঘরের সমস্ত কাজ করায়। ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠিয়ে ছেলের বউকে দিয়ে কাজ করানো শুরু করে। আহারে। অথচ শ্বাশুড়ি বুঝে না তার ছেলের বউ তার বাবা মায়ের আদরের কন্যা। কলিজার টুকরা।
বউ বনাম শ্বাশুড়ি। এই ক্ষেত্রে ছেলে পড়ে যায় বিপদে।
মাকে সাপোর্ট করবে না স্ত্রীকে? হ্যা একথাও সত্য সমাজে অনেক ভালো শ্বাশুড়ি আছে। আমার মা একজন ভালো শ্বাশুড়ি। আমার মা চিন্তা চেতনায় একজন আধুনিক মানুষ। আমরা চার ভাই। আমাদের বাসায় চার অঞ্চলের চারটা মেয়ে এসেছে। আমাদের একান্নবর্তী পরিবার। কিন্তু কোনোদিন কোনো বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয় নাই। পাড়াপ্রতিবেশিরা আমাদের বাসায় এসে বলে, তোমাদের বাড়িতে এলে শান্তি পাই। কত আনন্দ তোমাদের বাসায়। ঝগড়া নাই, সবাই মিলে মিশে আছো।
আপনি আপনার স্বামীর যত্ন নেবেন এবং তাতেই আপনার শ্বাশুড়ি খুশি হয়ে যাবেন।
বিকেলে তাকে চা নাস্তা করে দিবেন। শ্বাশুড়ির চুলে তেল দিয়ে দিবেন। তার প্রিয় খাবার রান্না করে দিবেন। বয়স হয়ে গেলে মানুষ কাছের মানুষদের কাছে 'সময়' চায়। আপনি শ্বাশুড়ি কে সময় দেবেন, তার সাথে গল্প করবেন। তাতেই উনি অনেক খুশি হবেন। শ্বাশুড়ি কে নিয়ে মুভি দেখবেন। তাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাবেন। বেড়াতে যাবেন। এমনকি শপিং করে দিবেন। এসব করে দেখুন। ভালো হবে। সংসারে শান্তি থাকবে। আপনিও আনন্দ নিয়ে জীবন যাপন করতে পারবেন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


