
মানুষের জীবনে সবচেয়ে দামী বা মূল্যবান বিষয় হচ্ছে- ভালোবাসা।
ভালোবাসা আসলে এক ধরনের অস্ত্র। আপনি যদি একজন দুষ্ট মানুষকে দিনের পর দিন ভালোবাসেন। তাহলে সেই দুষ্টলোক একদিন না একদিন আপনার কাছে এসে নতি স্বীকার করবে। এটাই হচ্ছে ভালোবাসার পাওয়ার। ভালোবাসা মানুষকে মহৎ করে। স্বপ্ন দেখায়। বেচে থাকতে শেখায়। ভালোবাসা দিয়ে সব কিছু জয় করা যায়। যেখানে ভালোবাসা নেই, সেখানেই যুদ্ধ, ঝগড়া ফ্যাসাদ। যেখানে ভালোবাসা আছে, সেখানেই আনন্দ। সেখানেই আনন্দ নিয়ে জীবনযাপন করা যায়।
একবার এক মেয়েকে আমার ভালো লেগে গেলো।
মনে হলো মেয়েটাকে ভালোবাসা দরকার। তখন আমি চেষ্টা করলাম নিজেকে বদলে নিতে। মনে হলো, আমার ভালো হওয়া দরকার। মনের সব ক্ষুদ্রতা দূর করা দরকার। হওয়া দরকার একজন মানবিক ও হৃদয়বান মানুষ। জীবনে ভালোবাসা পাওয়ার চেয়ে কাউকে পবিত্র ভাবে ভালোবাসাটা বেশি জরুরী। মাদার তেরেসা মানুষকে সত্যিকার ভাবে ভালোবাসতে পেরেছিলেন। আজকাল মানুষ ভালোবাসে না। শুধু ভালোবাসার ভান করে। ভান করতে-করতে একসময় মানুষ নিজের সাথে ভান করে।
স্বচ্ছ পবিত্র ভালোবাসা সব মানুষ পায় না।
আমি প্রথম ভালোবাসা ফিল করি, ক্লাশ ওয়ানে। ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল ছিলো। মেয়েটার নাম ছিলো সুকন্যা। দারুন সুন্দরী মেয়ে। স্কুলে গিয়েই আমি সুকন্যার পাশে গিয়ে বসতাম। নিজেকে রাজা বাদশা বলে মনে হতো। সাহস পেতাম না, সুকন্যার সাথে কথা বলার। সুকন্যার জন্য এক আকাশ ভালোবাসা ফিল করতাম। সুকন্যার জন্য বুকে সুখের মতো ব্যথা করতো। একদিন স্কুলে গিয়ে জানতে পারি, সুকন্যা আর স্কুলে আসবে না। তার বাবার ট্র্যান্সফার হয়েছে খাগড়াছড়ি। সুকন্যারর জন্য আমি কান্না করেছিলাম।
এখন আমার সমস্ত ভালোবাসা শুধু আমার কন্যার জন্য।
কন্যার জন্য সীমাহীন ভালোবাসা অনুভব করি। কন্যার নাম ফারাজা। সাড়ে তিন বছর বয়স। মেয়েটার জন্য বুকের ভেতর যেন কেমন করে। যতক্ষণ বাইরে থাকি, অস্থির হয়ে থাকি। কখন বাসায় যাবো। মেয়েটাকে দেখিব। মেয়েটা আমাকে দেখা মাত্রই 'বাবা' 'বাবা' বলে চিৎকার করে আমার কাছে ছুটে আসে। বড় ভালো লাগে। ফারাজা আপেল পছন্দ করে। এজন্য ফ্রিজে সব সময় আপেল থাকেই। মেয়ে ফোন করে বলে, বাবা আমার জন্য খেলনা নিয়ে এসো।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


