সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু হয়। কাজেই নবীজি সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়ার প্রশ্নই আসে না। হাদিস গুলোকে ধ্রুব সত্য বলে ধরা ঠিক হবে না। তাই যারা হাদিস সংগ্রহ করেছেন, তারা নিজের মনের মাধুরী মিশিয়ে নবীকে মহান বানাতে চেস্টা করেছেন। অথচ নবীজি স্বমহিমায় উজ্জ্বল।
ইসলাম ধর্মে বিড়াল পালন নিয়ে কোনো বিধিনিষেধ নেই।
বরং বিড়ালের যত্ন নিতে বলা হয়েছে। সময় মতো খাবার দিতে বলা হয়েছে। হাদিসে স্পষ্ট বলা হয়েছে, বিড়ালকে কষ্ট দিলে গুনাহ হবে। এক মহিলা একটি বিড়ালকে আটকে রাখে। খাবার খেতে দেওয়া হয় নাই। দিনের পর দিন বিড়ালটি না খেয়ে মারা যায়। আল্লাহ ওই মহিলাকে সরাসরি জাহান্নামে পাঠিয়ে দেন। আল্লাহ বলেছ্য, যে কোনো পশুপাখি কে দয়া দেখাতে হবে।
নবীজি বলেছেন বিড়াল অপবি নয়।
একবার নবীজি ওজু করছিলেন। তখন এক বিড়াল আসে নবীজির কাছে। নবীজি ওজুর পানি থেকে বিড়ালকে পানি পান করতে দেন। ইসলামে বলা হয়েছে যে প্রানী ক্ষতি কর সেটাকে ধারালো ছুরি দি জবাই করা উত্তম। কুকুর এবং বিড়াল কেনাবেচা করতে নবীজি নিষেধ করেছেন। সারা বিশ্বে ৮ আগষ্ট বিড়াল দিবস পালন করা হয়। নবীজির প্রিয় সাহাবী আব্দুর রহমান জামার ভেতর বিড়াল নিয়ে ঘুরাঘুরি করতেন।
মক্কা মদীনার মসজিদে বিড়াল প্রবেশে নিষেধ নেই।
জায়নামাজেও বিড়াল বসলে প্রবলেম নেই। তবে আমি মনে করি, বাসা বাড়িতে বিড়াল লালন পালন করা ঠিক না। বিড়ালের আচড় বা কামড়ে জলাতঙ্ক ছড়ায়। আমার বন্ধুর ফার্মেসী আছে। সেখানে আমি মাঝে মাঝে বসি। প্রতিদিন অনেকে আসে শুধুমাত্র বিড়ালের আচড় আর কামড়ের ইনজেকশন নিতে। কাউকে বিড়াল আচড় দিয়েছে, রক্ত বের হয়ে গেছে। বিড়ালের আচড় বা কামড়ে ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রথম টিকা দিতে হয়। সর্বমোট পাচ টা ইনজেকশন।