দরিদ্র দূরীকরণে যাকাতের কোনো ভূমিকা নেই।
যাকাত দিয়ে দারিদ্রতা দূর করা যায় না। যাকাত বহু বছর আগের সিস্টেম। এই সিস্টেম আজকের আধুনিক যুগে কাজ করবে না। বিশ্ব অনেক এগিয়ে গেছে। আমাদের দেশ তো কোরআন হাদিসের নিয়মে চলে না। দেশ চলে সংবিধান অনুযায়ী। মুসলমানরা বছরে একবার রমজান মাসে যাকাত ফেতরা দেয়। একটা কমদামি শাড়ি আর লুংগি। যা তিন মাস ব্যবহার করা যায় না। একটা শাড়ি বা লুংগী দিয়ে মানুষের কি হয়?
ইসলাম ধর্মের নিয়ম কানুন দিয়ে দেশ থেকে গরীবি দূর করা যাবে না।
দারিদ্রতা দূর করতে হবে আধুনিক নিয়মে। দারিদ্রতা দূর করার জন্য সবার আগে নিশ্চিত করতে হবে শিক্ষা। সবার জন্য শিক্ষা। শিক্ষা ছাড়া অভাব দূর হবে না। দরিদ্রদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ। আমাদের পুরো জাতিকে টেকনোলজিতে এগিয়ে থাকতে হবে। উন্নত দেশ গুলোর দিকে তাকালে সব টের পাওয়া যায়। আমাদের দেশে দরিদ্র দূর করার জন্য ১৯৭২ সালেই শিক্ষা ফ্রি করে দেওয়ার প্রয়োজন ছিলো। শেখ মুজিব এই কাজ করেন নাই। এবং তার কন্যা শেখ হাদিনাও এই কাজ করেন নাই।
আজ জাতীয় পথশিশু দিবস।
পথশিশুরা বড় অবহেলিত। মানুষের তো কিছু করার কথা নয়, এদের জন্য খোদাও কিছু করেনি। সমস্যা কে ঠিকমতো বুঝে নিয়ে সেটার সমাধানের চেষ্টা সরকারের নেই, তবে সমস্যা উদযাপনের ব্যাপক উৎসাহ আছে।সব মন্দেরও কিছু ভালো দিক থাকে। সরকার এত সুন্দর সুন্দর পথ বানাচ্ছে আর সেখানে পথশিশু না থাকলে কেমন হবে! পথশিশু না থাকলে সভা সেমিনার কিভাবে করবে আমাদের আমলারা।
মগজহীন সরকার ও প্রশাসন।
কয় লাখ শিশু রাস্তায় ঘুমায়? সমস্যা না দেখলে সমাধান আসেনা। আপনারা কি চোখ বুজে সমস্যা নেই 'ওল ইজ ওয়েল' বলে থাকতে চান? টিআইবি'র মতে বাংলাদেশে একদম ছোটখাটো দূর্নীতি হয় ছয় হাজার কোটি টাকা। এ টাকা দিয়ে পথশিশুদের জন্য কয়েক হাজার আশ্রয় কেন্দ্র ও স্কুল তৈরি করা সম্ভব।
নবীজি যখন যাকাতের নিয়ম করলেন, তখনকার বিশ্ব আর আজকের বিশ্ব এক নয়।
তখন বিশ্বে লোকসংখ্যা ছিলো কম। সেই সময় আরব জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত ছিলো না। কুসংস্কারে আচ্ছন্ন ছিলো। আইনস্টাইন, এরিস্টটলের মতো জ্ঞান নবীজির ছিল না। নিজে যা ভালো বুঝতেন সেটাই বলতেন, সেটাই করতেন। নবীজির চিন্তা ভাবনা আজকের বিশ্বে অচল। কাজেই বছরে একবার জাকাত ফেতরা দিয়ে দরিদ্রতা দূর করা যাবে না।
মানুষের দরকার কাজ। চাকরি সৃষ্টি করতে হয়।
আমাদের দেশের মন্ত্রী এমপিরা চাকরি সৃষ্টি করতে জানেন না। দেশে বেকারের অভাব নেই। যার জমিজমা আছে অথবা নগদ টাকা আছে সে বিদেশ চলে যাচ্ছে। একটা চাকরির জন্য তিন হাজার সিভি জমা পড়ে। অভাব দূর করার জন্য সমবায়ের মাধ্যমে স্বল্প ঋন দিয়ে বেকারদের উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। মানুষের দরকার কাজ। যেসব দেশে চাকরি নেই, সেসব দেশই দরিদ্র। তাই শিক্ষাকে সম্পূর্ণ ফ্রি করে দিতে হবে। শিক্ষিত জনগোষ্ঠী পারবে জাতিকে দারিদ্রতা থেকে মুক্তি দিতে।