
আমরা যখন আমাদের দায়িত্ব গুলো সঠিক ভাবে পালন করবো,
তখনই দেশে শান্তি ফিরে আসবে। দেশের উন্নতি হবে। ধরুন, একটা কোম্পানীতে ১০০ শ' জন লোক কাজ করে। সেই কোম্পানির উন্নতির জন্য এই ১০০ শ জন লোককেই তাদের দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করতে হবে। যখন কোনো প্রতিষ্ঠানের আয় উন্নতি হয় না, তখন বুঝে নিতে হবে উক্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা তাদের দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করছে না। আমরা দেশের জনগণ আমাদের দায়িত্ব ভাবে পালন করছি না। আমরা রাস্তায় নিয়ম মেনে গাড়ি চালাই না, আমরা ঘুষ দেই, আমরা রাস্তায় ময়লা ফেলি, আমরা গীবত করি, আমরা মানুষের দোষ খুজে বেড়াই, আমরা স্কুল বাদ দিয়ে মাদ্রাসার গুনগান গাই, আমরা অযোগ্য অদক্ষদের ক্ষমতায় বসাই, আমরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করি না। আসলে আমাদের দেশের ক্ষতি আমরা নিজেরাই করেছি। আমরা বেঈমান জাতি।
আমাদের দেশে শান্তি ফিরে আসা প্রায় অসম্ভব।
কারণ আমাদের দেশের মানুষ গুলো সৎ না। দেশের কোনো মানুষের মধ্যে সততা নেই। মানবতা নেই। সবাই সবাইকে ঠকাচ্ছে। কেউ কাউকে ঠকাতে পারলেই ভাবে জিতে গেলাম। ফল কিনতে যাবেন ফল বিক্রেতা আপনাকে ঠকাবে। মাছ কিনতে যাবেন, ওজনে কম দিবে। ওষুধ কিনতে যাবেন, দাম বেশি রাখবে। দেশে সুশাসনের বড় অভাব। বিষয়টা এই রকম, আমি আপনাকে ঠকাচ্ছি, আপনি আরেকজনকে ঠকাচ্ছেন। আমরা ভালো নই, বলেই আমাদের মন্ত্রী এমপিরা ভালো না। শেখ মুজিবের মতো মানুষকে আমরা হত্যা করেছি। আর রাজাকারদের লাল গালিচা সংবর্ধনা দিয়েছি। খুনি সন্ত্রাসীদের দেশে রেখে দেই, একজন লেখিকাকে দেশ থেকে বের করে দেই। দিনেদুপুরে ছাত্রলীগ মানুষ কুপিয়ে মারে, আমরা দূর থেকে তাকিয়ে দেখি, ভিডিও করি। আর চিৎকার করে বলি, দেশে রুচির দুর্ভিক্ষ। জামাত শিবির ৩২ নম্বরে আগুন লাগালো, শেখ মুজিবের ভাস্কর্যে মুতে দিলো, থানাতে আগুন দিলো, আসামীদের চলে যেতে দিলো। আমরা জামাত শিবিরকে থামালাম না।
আমাদের দেশে গোড়ায় গন্ডগোল।
যারা দেশ পরিচালনা করেন তারা অযোগ্য অদক্ষ। সীমাহীন টাকা তারা দূর্নীতি করেন। যে লোকটা সীমাহীন টাকা দূর্নীতি করেছেন, সেই টাকা শেষ করে মরতে পারবেন না। বিএনপির আমলের এক দূর্নীতিবাজ এখন বিশাল ব্যবসায়ী হয়েছেন। এখন সে দুবাইতে অফিস করেন। ঢাকায় তার বাড়িতে ৯ টা দাড়োয়ান। তার ড্রাইভার ১৩ টা। সেই লোক সীমাহীন টাকা দূর্নীতি করে তার ভাই বোন সকলকে উন্নত জীবন দিয়েছেন। আসলে দেশের সম্পদ অল্প কি মানুষ দখল করে নিয়েছে। আমরা গাধা জনগণ শুধু পারি ফেসবুক আর ব্লগে চ্যাটাং চ্যাটাং কথা বলতে। আমরা দরকারি কাজ বাদ দিয়ে অদরকারী কাজ করি। আমরা ময়লার ডাস্টবিনে শেখ হাসিনার ছবি দিয়ে বর্হিবিশ্বে নিজেদের বদনাম কুড়াই। দেশে প্রায় এক কোটি বেকার আমরা তাদের কথা ভাবি না। তাদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করি না। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম টিকটক করে সময় অপচয় করছে। মেয়ে ভাড়া করে নৌকায় ফুর্তি করছে। সেদিকে আমাদের নজর নেই। কিশোর গ্যাং লেখাপড়া বাদ দিয়ে সন্ত্রাসী করে বেড়াচ্ছে সেদিকে আমাদের নজর নেই।
বর্তমানে যেসব উপদেষ্টারা দেশ পরিচালনা করছেন তারা কি সৎ?
সত্য কথা হলো- তারা আরো দেশের বারোটা বাজাচ্ছেন। কারাগার থেকে সমস্ত আসামীদের ছেড়ে দিচ্ছেন। বিদেশে পালিয়ে থাকা আসামীরা বুক ফুলিয়ে দেশে এসেছে। মেনে নিলাম আওয়ামী লীগ খারাপ। তাই বলে শেখ মুজিবের ভাস্কর্যে ভেঙে দিতে হবে? মুতে দিতে হবে? ৩২ নম্বরে আগুন দিতে হবে? বইমেলার মতো একটা জায়গায় ডাস্টবিনে শেখ হাসিনার ছবি দিতে হবে? এ কেমন মানসিকতা? গত ছয় মাসে উপদেষ্টারা একটা ভালো কাজ করে দেখাতে পারে নাই। শান্তি এক জিনিস যা আমাদের দেশে নেই। যাদের আর্থিক অবস্থা ভালো তারা দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে। দেশ পরিচালনা করার জন্য দরকার শেখ মুজিব, ভাসানী আর শেরে বাংলার মতো মানুষ। একজন মাহাথির পুরো মালোশিয়া বদলে দিয়েছেন। ভারত বাংলাদেশ আর পাকিস্তানের কোনো পরিইনেই। এই দেশ গুলো দিন দিন অধপতনে যাচ্ছে। সত্যিকার অর্থে আমাদের দেশে প্রতিটা সেক্টরে গজব অবস্থা।
যদি আল্লাহ উপর থেকে একজন মসীহ পাঠান আমাদের দেশে তাহলেই আমাদের দেশ ঠিক হয়ে যাবে।
নইলে কোনো দিন সম্ভব না। আল্লাহ ছাড়া এই দেশে কেউ শান্তি ফিরিয়ে আনতে পারবে না। নো নেভার। হাসিনা পারবে না, খালেদা পারবে, জামাত পারবে না, ইউনূস পারবে না। একমাত্র আল্লাহ যদি অলৌকিক ভাবে কিছু করেন তাহলে দেশে শান্তি ফিরে আসবে। সহজ সরল সত্য কথা হলো এই দেশের মানুষ গুলো ইতর। জাস্ট ইতর। কোথাও একটা ভালো মানুষ নেই। ভিয়েতনাম অল্প সময়ের মধ্যে বদলে গেলো। গত ৫৪ বছরে আমাদের ভাগ্য পরিবর্তন হলো না। সরকার লুটেপুটে আমাদের দেশটাকে শেষ করে দিয়েছে। শিক্ষ প্রতিষ্ঠান হয়ে গেছে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। টাকা থাকলে শিক্ষা পাবে, না থাকলে শিক্ষা পাবে না। ১৯৭২ শেখ মুজিব শিক্ষাকে সম্পূর্ণ ফ্রি করে দিলে আজ দেশের এই অবস্থা হতো না। আমাদের দেশ স্বাধীন। অথচ আজও মানুষ রাস্তায় ঘুমায়। আজও মানুষ না খেয়ে থাকে। আজও মানুষ চিকিৎসার অভাবে মারা যাচ্ছে, লেখাপড়া শিখে ছেলেমেয়েরা বেকার। মার্বেলে টাইলস করা মসজিদ, এসিও আছে অথচ সেই মসজিদ তালা বন্ধ। মসজিদের সামনে ফুটপাতে মানুষ আর কুকুর শুয়ে আছে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


