somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

আজকের ডায়েরী- ১৬০

২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



কয়েকদিন ধরে বেগুন ভাজা খেতে মন চাচ্ছে!
শুনেছি মৃত্যুর আগে অনেক কিছু খেতে মন চায়। আমি কি শ্রীঘই মারা যাচ্ছি! সেদিন খেতে ইচ্ছা করলো লালশাক। এখন ইচ্ছা করছে- বেগুন ভাজা। বড় গোল বেগুন ভাজা। অবাক ব্যাপার হচ্ছে সুরভি ফোন দিয়ে বলল- বাসায় ফেরার পথে গোল বেগুন নিয়ে আসো। কাকতালীয় ব্যাপার। মাঝে মাঝে মানুষের জীবনে কাকতালীয় ব্যাপার গুলো ঘটে বলেই জীবন সুন্দর। যাইহোক, বেগুন কিনতে গিয়ে দেখি- গোল বেগুনের কেজি ২৪০ টাকা। জানি, বর্ষাকাল বলে সবজির দাম বেড়েছে। তাই বলে ২৪০ টাকা বেগুনের কেজি! রমজান মাসে বেগুনের দাম বাড়ে। তখন ১০০ থেকে ১২০ টাকা হয়। যাইহোক, এক কেজি বেগুন কিনলাম দরদাম করে ২২০ টাকা দিয়ে। মাত্র দুই পিছ। লম্বা বেগুনের দাম কম। ১৪০ টাকা কেজি। দাম নিয়ে আমার সমস্যা নেই। বেগুনের কেজি এক হাজার টাকা হলেও আমার সমস্যা নেই। আমি চিন্তা করি দেশের সাধারন মানুষের কথা।

গাজার অবস্থা ভালো না।
সেখানে শিশুরা না খেয়ে আছে। চিন্তা করে দেখুন- একটা মুসলিম দেশের কি গজব অবস্থা! শিশুরা না খেয়ে আছে। খাবার নেই। পানি নেই। বিশ্বের কোনো দেশ ফিরেও তাকাচ্ছে না। আমাদের দেশের হুজুরেরাও চুপ। তারা নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। কিছুদিন আগেও তারা বাটার দোকানে লুটপাট চালিয়েছে। কোক এর বোতল ভেঙ্গেছে। গাজাগার শিশুরা এখন মরে যেতে চাচ্ছে। তাদের ধারনা তারা মারা গেলে তারা বেহেশতে যাবে। বেহেশতে গেলে অন্তত তিনবেলা খাবার পাবে। কি করুন অবস্থা! আহারে! গাজার এই অবস্থার জন্য দায়ী হামাস। খাদ্মুযের অভাব, পানির অভাব! সলিম দেশ গুলো আজ গাজার জন্য মায়াকান্নাও করছে না। যেন সবাই গাজাবাসীর জন্য হাত ধুয়ে ফেলেছে। মনে হচ্ছে স্বয়ং আল্লাহ চোখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। তার যেন কিছু যায় আসে না।

সেদিন এক অদ্ভুত ব্যাপার ঘটেছে!
সময় তখন মধ্যরাত। আমরা সবাই ঘুমে। গভীর ঘুমে। হঠাত সুরভি আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তুললো। সে অনেক ভয় পেয়েছে। ভয়ে সে কাঁপছে। সুরভি বলল- ফারাজা কই? ঘুম ভাঙ্গার পর অনেকক্ষন আমার মাথা কাজ করে না। আমি বললাম- কি হয়েছে? সুরভি বলল- ফাজ্জা কই? ফারাজা তো আমার পাশেই ছিলো, ঘুমাচ্ছিলো। ঘরে হালকা আলো। ডিম লাইট জ্বলছে। বিছানায় চারপাশ খুজে দেখি ফারাজা নেই। আমি ভীষন ভয় পেয়ে গেলাম। ঘরের দরজা ফারাজা খুলতে পারবে না। আর পারলেও এত রাতে সে দরজা খুলে কোথায় যাবে? আমার গলা বুক শুকিয়ে গেছে! ফাজ্জা কই গেলো! ওয়াশ রুমে যেতে হলে, ফারাজা আমাদের ঘুম থেকে ডেকে তোলে। সে কখনও একাএকা ওয়াশ রুমে যায় না। রাতের বেলা তো প্রশ্নই আসে না। আমার স্ট্রোক হবার আগেই ফাজ্জাকে পেয়ে গেলাম। মেয়ে একাই ওয়াশরুমে গিয়েছিলো।

এই মুহুর্তে আকাশে মেঘ জমেছে।
মেঘ জমলেই সব সময় বৃষ্টি হয় না। দেখা যাবে একটু পর কড়া রোদ উঠেছে। আবহাওয়ার ঠিক-ঠিকানা নেই। গত কয়েকদিন ধরে এমনই হচ্ছে। এজন্যই কবি বলেছেন, মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয়, আড়ালে তার সূর্য হাসে। সকাল থেকে দুকাপ চা খেয়েছি। মেশিনে ক্লিক করলেই চা আসে। ফালতু চা। আজ দুপুরে মোজাফফর ভাই হাঁসের মাংস খাওয়াবেন। উনি ভাটারাতে একটা রেস্টুরেন্টের সন্ধান পেয়েছেন। মোজাফফর ভাইয়ের ধারনা তাদের মতো হাঁসের মাংস এই বাংলাদেশে আর কেউ রান্না করতে পারে না। আমার পছন্দের কোনো খাবার নেই। ক্ষুধা পেলে সামনে যা আছে, সামান্য খেলেই হলো। মোজাফফর ভাই অনুরোধ করেছেন, তাই রাজী হয়েছি। যদিও এই রেস্টুরেন্টে হাঁসের মাংস আমি অনেক আগেই খেয়েছি। চালের আটার রুটি দিয়ে হাঁসের মাংস খেতে খারাপ লাগে না।

আজকাল মনে হচ্ছে আমি একজন সুখী মানুষ।
আমার কোথাও কোনো সমস্যা নেই। বেশ সুন্দর দিন যাচ্ছে কেটে। তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছি। মেয়েকে ভালো স্কুলে ভরতি করিয়েছি। সে নিয়মিত স্কুলে যাচ্ছে। তাকে স্কুলে টিফিন দেওয়া হচ্ছে। সেই টিফিন সে স্কুলে অর্ধেক খায়। বাকি অর্ধেক স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পথে গাড়িতে বসে খায়। আমি কাজ করছি, বই পড়ছি, মুভি দেখছি, মেয়ের সাথে গল্প করছি। ঘুমাচ্ছি। বিছানায় মাথা রাখা মাত্র ঘুমিয়ে যাচ্ছি। আমার কোনো পাওনাদার নেই। কোনো দিন কারো কাছে টাকা ধারধেনা করিনি। বরং মানুষকে টাকা ধার দেই। চারিদিকে মানুষের এত এত, এত রকমের সমস্যা, এত এত অভাব, জটিলতা-কুজটিলতা- সেই তুলনায় আমি বেশ ভালো আছি। সহজ সরল ভাবে আনন্দ নিয়ে দিন কেটে যাচ্ছে। এজন্য আমি মাঝে মাঝে বলেই ফেলি- লাইফ ইজ বিউটিফুল।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৩:১৮
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুহূর্ত কথাঃ সময়

লিখেছেন ফাহমিদা বারী, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৭



সামুতে সবসময় দেখেছি, কেমন জানি ভালো ব্লগাররা ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়! যারা নিয়মিত লেখে, তাদের মধ্যে কেউ কেউ প্রচণ্ড নেগেটিভ স্বভাবের মানুষ। অন্যকে ক্রমাগত খোঁচাচ্ছে, গারবেজ গারবেজ বলে মুখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিশ্চিত থাকেন জামায়েত ইসলাম এবার সরকার গঠন করবে

লিখেছেন সূচরিতা সেন, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪২


আমাদের বুঝ হওয়ার পর থেকেই শুনে এসেছি জামায়েত ইসলাম,রাজাকার আলবদর ছিল,এবং সেই সূত্র ধরে বিগত সরকারদের আমলে
জামায়েত ইসলামের উপরে নানান ধরনের বিচার কার্য এমন কি জামায়েতের অনেক নেতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×