
শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ফিরে এলে ভালো হবে।
জামাত শিবির আর বিএনপি ছাড়া দেশের সকল মানুষ এটাই চাচ্ছে। অলরেডি দেশের মানুষ বলতে শুরু করেছে আগেই ভালো ছিলাম। চাদাবাজি আর দূর্নীতি বেড়েছে দ্বিগুণ। গত এক বছরের ঘটনা প্রবাহ দেখলে এবং চিন্তা করলে সকলেই চাইবে আওয়ামীলীগের ফিরে আসা উচিৎ। দেশ তো এখন জামাত শিবিরের দখলে। শেখ হাসিনা ছাড়া জামাত শিবিরকে কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না। শেখের বেটির তেজ আছে, সাহস আছে। শেখ হাসিনা একজন মানুষ, তারও কিছু ভুল থাকতে পারে। সেই সভ ভুল গুলো খুজে বের করতে হবে।
শেখ হাসিনা ফিরে এলে দারুণ সব ঘটনা ঘটবে।
আমি বলব শেখ হাসিনা চলে যাবার পর যত অন্যায় হয়েছে তার বিচার করা। সবার আগে ৩২ নম্বর গুড়িয়ে দেওয়ার বিচার করতে হবে। তারপর যারা শেখ মুজিবের ভাস্কর্য ভেঙেছে তাদের বিচার করতে হবে। তারপর এনসিপির সারজিসকে সাইজ করতে হবে। সারজিস হারামজাদা ছোট মুখে অনেক বড় কথা বলে ফেলেছে। হারামজাদা বেঈমান। ভালো সেজে ছাত্রলীগে ঢুকেছে। দলের সর্বনাশ করেছে। আসলে জামাত শিবির তলে তলে সব সেক্টরে তাদের লোক ঢুকিয়েছে। শেখ মুজিবের মতো শেখ হাসিনাও সবাইকে বিশ্বাস করেছে। এই বিশ্বাস করাটাই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
যারা ১৫ আগস্ট শোক দিবসে ৩২ নম্বরের সামনে গান বাজনা করেছে তাদের বিচার করতে হবে।
আজ শেখ হাসিনার জন্মদিন গেলো। অথচ অনেকে কেক কেটে কুকুরকে খাইয়েছে, শেখ হাসিনার ছবিতে জুতো নিক্ষেপ করেছে, ডিম ছুড়ে মেরেছে তাদের বিচার করতে হবে। ইউনুস ক্ষমতা নেওয়ার পর দেশে অন্যায়ের বন্যা বসে গেছে। আওয়ামী লীগারদের বাড়িঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। লুটপাট করা হয়েছে এবং আওয়ামী সাপোর্টারদের মারধোর করা হয়েছে, কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই অন্যায়ের বিচার অবশ্যই করতে হবে। আওয়ামিলীগে বেশ কয়েকজন দূর্নীতিবাজ ছিলো। কথা সত্য। কয়েকজন দূর্নীতিবাজের জন্য পুরো আওয়ামীলীগকে দোষ দেওয়া অন্যায় হবে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দেশে যত উন্নয়ন হয়েছে, তার ৮৫% করেছে আওয়ামী লীগ। বিএনপি উন্নয়ন বুঝে না। তারা দেশকে করেছে দূর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন। অতীত ভুলে গেলে চলবে না।
কিছু কিছু অন্যায়ের প্রতিশোধ না নেওয়াটাই অন্যায়।
অন্যায়ের প্রতিশোধ নেওয়ার রেকর্ড আওয়ামীলীগের আছে। তারা স্বাধীনতার অনেক বছর পর, রাজাকার এবং শেখ মুজিবের হর্যাকারীদের বিচার করেছে। ঠিক সেভাবেই জুলাইয়ে পর থেকে যারা অন্যায় করেছে তাদের বিচার হবেই। জামাত শিবির গোপালগঞ্জ গিয়ে চিৎকার করে বলেছে, মুজিব মুর্দাবাদ। কত বড় সাহস!! যারা অন্যায়কারী এখন তারা ভয়ে আছে। আমি তো ভয়ে নাই। মূলত কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জামাত শিবির আওয়ামী লীগের সাথে প্রতারণা করেছে। দেশবাসীর সাথে প্রতারণা করেছে। তবে আওয়ামী অতীতে যে ভুল গুলো করেছে, সেসব ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে। লোভী স্বার্থপরদের দলে নেওয়া যাবে না। এখন দেখা যাচ্ছে, যারা আওয়ামী লীগকে করেছে, সারাদিন শেখ হাসিনা শেখ হাসিনা করেছে, শেখ মুজিব শেখ মুজিব করেছে, তারা বিএনপির সাথে চাটুকারিতা শুরু করেছে।
জুলাই মাসে কত গুলো পুলিশকে হত্যা করা হলো।
থানায় আগুন দেওয়া হলো। অস্ত্র লুট করা হলো। জামাত শিবির পুলিশের পোশাক পড়ে সাধারণত ছাত্রদের হত্যা করলো। মেট্রোরেল ভাংচুর করা হলো। সরকারি অফিস আদালত আর গাড়ি ভাংচুর করা হলো। আগুন দেওয়া হলো। পুরো দেশে অরাজকতা করা জলো। গনভবন লুটপাট করা হলো। মায়ের বয়সী শেখ হাসিনার অন্তবাস নিয়েও জামাত শিবির নোংরামি করেছে। এদের বিচার না করার জন্য সবার আগে আইনের মুখোমুখি হবে ইউনুস। দেশের আইনে অপরাধীদের বিচার হবে। আওয়ামী লীগ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। টানা ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকা মুখের কথা নয়। শেখ হাসিনা রাজনীতি শিখেছেন ইন্দিরা গান্ধীর কাছ থেকে। বুদ্ধিমতি ইন্দিরা শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেছিলেন। ইন্দিরা গান্ধী বুঝতে পেরেছিলেন হাসিনা দেশে না ফিরলে সেনাবাহিনী আর জামাত শিবির দেশটাকে খেয়ে ফেলবে।
যাইহোক, শেখ হাসিনা চলে যাওয়ার পর দেশে শুধু অন্যায় আর অন্যায় হয়েছে।
সেনাবাহিনীও অন্যায় করেছে। সেনাবাহিনী ঢাকা শহরের অর্ধেক দখল করে আরাম আয়েশে আছে। উন্নত জীবন যাপন করছে। কি তাদের ভাব, কি তাদের গড়িমা। আসলে জামাত শিবির কঠিন এক নীল নকশা একেছে। সেই নীল নকশায় ধরা খেয়েছে আওয়ামী লীগ। জামাত শিবির ৭১ এ দেশের জন্য ক্ষতিকর ছিলো, আজও ক্ষতিকর। কিন্তু দাবার গুটি উলটে যাবে। শেখ হাসিনা আসবে বাংলাদেশ হাসবে। অলরেডি আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল গুলো দিন দিন বড় হচ্ছে। আওয়ামী লীগের মিছিল দেখে এনসিপি আর জামাত শিবিরের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। কারণ এরাই সবচেয়ে বেশি অন্যায়কারী। এজন্য এদের ভয়টা সবচেয়ে বেশি। কথিত অন্তবর্তী সরকার বেছে বেছে আওয়ামী লীগ সাপোর্টারদের গ্রেফতার করেছে। আর দাগি আসামিদের ছেড়ে দিয়েছে। জংগীদের ছেড়ে দিয়েছে। কোনো অন্যায়কারী রেহাই পাবে না। জয় বাংলা। আমি রাজনীতি করি না। কোনো দলও করি না। খালি চোখে যা দেখি, সেটাই বলি।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:২১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



