
আপনি ধূমপান করবেন, না ছাড়বেন সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনার উপর।
আপনাকে যদি হাজার কথা বলি, হাজার যুক্তি দেখাই, সেগুলো কোনো কাজে আসবে না। আপনি এখন থেকে বলুন সিগারেট আর খাবো না। ব্যস খাবেন না। আর কোনো উপায়ের দরকার নেই। নিজেকে বলুন ধূমপানের মায়রে বাপ। আজ এখন থেকেই ধূমপান করবো না। ব্যস হয়ে গেলো। আর যদি না পারেন সেটা আপনার ব্যর্থতা। সিগারেট না খেলে আপনার কোনো ক্ষতি হবে না।
আপনি তো ছয় বছর ধূমপান করেছেন,
এমন লোকও দেখেছি টানা ৩০ বছর ধূমপান করেছে। তারপর ছেড়ে দিয়েছে। এরপর সে আর কোন দিন ধূমপান করেনি। অর্থাৎ সে চেয়েছে আমি আর ধূমপান করবো না। সে তার ইচ্ছা শক্তি দিয়ে ধূমপান ছেড়ে সবাইকে দেখিয়ে দিয়েছে। আমার কথা বলি, আমি নিজেই ধূমপান করা ছেড়ে দিয়েছি। তীব্র নেশা ছিলো আমার। অথচ মুহুর্তের মধ্যে ধূমপান করা ছেড়ে দিলাম। এখন কেউ আমার সামনে সিগারেট খেলে বিরক্ত লাগে। ধোয়া নাকে এলে বমি পায়।
ধূমপানের কোনো ভালো দিক নেই।
তাহলে সেই জিনিস কেন খাবেন? মাস শেষে দেখবেন আপনার কমপক্ষে ৩/৪ হাজার টাকা বেচে গেছে। এক বছরে ৩৬ হাজার টাকা বেচে যাবে। যদি আপনি পুরুষ হয়ে থাকেন, আপনার ব্যাক্তিত্ব থাকে, তেজ থাকে তাহলে এই মুহুর্তেই ধূমপান ছেড়ে দিন। মানুষ সুস্থ ও ভালো থাকার জন্য কত কিছু করছে। আর আপনি সেধে সেধে কেন নিজের ক্ষতি করবেন? কাজেই আর সিগারেট নয়। নো নেভার। আপনার বাবা মায়ের কথা ভাবুন।
আমার নিজের কথা বলি,
এসএসসি পরীক্ষার পর মনে হলো অনেক বড় হয়ে গেছি। সেয়ানা হয়ে গেছি। নিজের এলাকা বাদ দিয়ে পাশের এলাকায় গিয়ে সিগারেট খাই। মুখ ভরতি করে ধোয়া ছাড়ি। কায়দা করে সিগারেটের ছাই ফেলি। নিজেকে বাংলা সিনেমার নায়ক বলে মনে হতো। ধীরে ধীরে সিগারেট খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিলাম। টানা ২৫ বছর সিগারেট খেলাম। তারপর একদিন হুট করে মনে হলো, আরেহ আমি তো গাধার মতো কাজ করছি। সিগারেটের তো কোনো ভালো দিক নেই। তাহলে এই জিনিস আমি খাচ্ছি কেন!! এরপর সিগারেট ছেড়ে দিলাম।
আপনি সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিলে, আমার উপকার হবে না। আপনার বন্ধুর উপকার হবে না। আত্মীয় স্বজন, পাড়া প্রতিবেশী কারো উপকার হবে না। উপকার হবে আপনার। নিজের বুঝ তো পাগলেও বুঝে। তাহলে আপনি কেন বোকামি করবেন? ৬ বছর তো বোকামি করলেন, আর কত? জেগে উঠুন। জীবন সুন্দর। জীবন উপভোগ করুন। নিজে ভা

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


