
আয়াতুল কুরসী হচ্ছে কুরআনের দ্বিতীয় সূরা আল বাকারার ২৫৫ নম্বর আয়াত।
এই আয়াতে আল্লাহপাক পুরো মহাবিশ্বের উপর তার ক্ষমতা ঘোষণা করেছেন। এই আয়াতটি সবচেয়ে বেশি বার পড়া হয় এবং খাটি মুসলমানরা মূখস্ত করে রেখেছেন। খাটি ধার্মিকদের দাবী আয়াতুল কুরসী কুরআনের সর্বশ্রেষ্ঠ আয়াত। তারা বিশ্বাস করে আয়াতুল কুরসী পাঠ করলে, অনেক সোয়াব। খারাপ জ্বিন ও খারাপ আত্মাকে দূর করতে আয়াতুল কুরসীর বিকল্প নেই।
নবীজিকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আপনার উপর নাজিল হয়েছে সেরা আয়াত কোনটি?
নবীজি বলেছেন, আয়াতুল কুরসী। নবীজি স্পষ্ট বলেছেন, যে ব্যাক্তি রাতে আয়াতুল কুরসী পড়বে, আল্লাহ তার জন্য একজন রক্ষক নিযুক্ত করবেন এবং সকাল পর্যন্ত শয়তান তার কাছে আসতে পারবে না। লোকজন ঘুমের জন্য নানান রকম ঘুমের ওষুধ খায়। তবু তাদের ঘুম আসে না। আয়াতুল কুরসী সবচেয়ে ভালো ঘুমের ওষুধ। বালা মসিবত দূর করে দেয়, আয়াতুল কুরসী। জান্নাত পেতে হলে আয়াতুল কুরসী পাঠ করতেই হবে।
উবাই নামে এক লোক খেজুর বিক্রি করতো।
সেই লোক একদিন দেখলো, কে যেন তার খেজুর চুরী করছে। চোরকে সে হাতেনাতে ধরে ফেলল। উবাই বুঝলো এটা আসলে একটা জ্বীন। দুষ্ট জ্বিন। তার গায়ে কুকুরের মতো পশম। উবাই বলল, তুই আমার খেজুর চুরী করতে চাস? জ্বীন বলল, জ্বী। তবে আপনি যদি আয়াতুল কুরসী পাঠ করেন, তাহলে কেউ আপনার খেজুর চুরী করতে পারবে না। উবাই বলল, হ্যা আমি জানি খুবই পাওয়ার ফুল আয়াত আয়াতুল কুরসী। আমি আজই সকাল সন্ধ্যা দুইবেলা পাঠ করিব।
আমাদের প্রানপ্রিয় নবীজি প্রতিদিন রাতে ঘুমের আগে আয়াতুল কুরসী পাঠ করে ঘুমাতেন।
নবীজির আমলে রমজান মাসে যাকাতের মালামাল চুরী হয়ে যেতো। নবীজি আগেই পাহারাদারকে বলে দিতেন, আয়াতুল কুরসী পাঠ করতে ভুলিও না। একজন হিন্দু মানুষ আমাকে প্রশ্ন করেছিলেন, ভাইসাহেব আমি কি আপনাদের আয়াতুল কুরসী পড়তে পারবো? এর উত্তর আমার জানা নেই। তবুও আমি বলেছি, আগে মুসলমান হও। তারপর আয়াতুল কুরসী পড়বে। লোকটা মুসলমান হতে রাজী না। কিন্তু আয়াতুল কুরসী পড়তে রাজী। হিন্দু লোকটা বলেছি, আমরা তো তোমাদের গীতা, মহাভারত আর রামায়ণ পড়ি না। তোমরা কেন আমাদের কোরআন মাজিদ পড়তে চাও?
আয়াতুল কুরসীর ফজিলত নিয়ে তিনটা হাদিস আছে।
আয়াতুল কুরসী পাঠ করুন, ঘর থেকে শয়তান দূর করুন। মুসলিম শিশুদের আয়াতুল কুরসী শিখাতে হবে। প্রতিদিন নামাজ শেষে আয়াতুল কুরসী পাঠ করে দেখুন, শান্তি পাবেন। যদিও আমার প্রিয় সূরা ওয়াকিয়া। মানে 'নিশ্চিত ঘটনা'। এই সূরাতে ৯৬ টা আয়াত আছে। এই সূরাতে অনেক কিছু আছে। কেয়ামত, ভূমিকম্প, বজ্রপাত, ঝড় তুফান, শেষ বিচার এবং জাহান্নাম এর শাস্তি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আমি মনে করি, এই সূরা খুবই গুরুত্বপূর্ন।
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে আয়াতুল কুরসীর আমল করার এবং কোরআন হাদিসের নির্দেশ অনুযায়ী জীবন গড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১০:০৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




