বল্টু সিদ্ধান্ত নিলো ছাদ থেকে ঝাপ দিবে। কারনটা একটাই সে আত্নহত্যা করবে। তো যাইহোক সে একটা ছাদের উপর উঠলো। ছাদটা দিলো ৪ তলা সমান উচু। সেই ছাদের উপর থেকে সেখানে কিছু সাংবাদিক, কিছু ফটোগ্রাফার , কিছু লেখক আর বল্টুর কিছু বন্ধু উপস্থিত ছিলো। বল্টু যখন ঝাপ মারবে তখন এক সাংবাদিক যেয়ে তাকে আটকালো। যেয়ে শুনতে চাইলো সে কেনো আত্নহত্যা করবে আর আত্নহত্যা করবে আর ঝাপ মারার আগে তার ফিলিংসটা কি? সাংবাদিককে সরিয়ে দিয়ে ফটোগ্রাফারদের একজন এসে বললো এদিক থেকে ঝাপ দিয়েন না ফোকাসিং ভালো হবে না। ফ্রন্ট সাইটে আমরা লাইটিং করে রেখেছি আপনি ওই দিক থেকে ঝাপ দিয়েন না তাহলে আপনার মুখ কেউ চিনতে পারবে না। আর দূর থেকে একজন কবি বন্টুর অংগভঙ্গি দেখে তার মনের ভেতর যে ফিলিংসটা কাজ করছে সেটা উপলব্ধি করার চেষ্টা করছে। আর সেটা দেখে তার লেখনির হাত জেগে উঠেছে। এখন বল্টুর ঝাপ মারার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন আর কেউ তার মৌলিক অধিকারের উপর হস্তক্ষেপ করবে না। প্রতিটা টেলিভিশন অনুষ্ঠানটা চ্যানেল সেটা লাইভ দেখানো শুরু করেছে। উপস্থিত জনতার ভেতর মানবিক দায়িত্ববোধ জেগে উঠলে তারা এম্বুলেন্সকে খবর দিয়ে রাখে।
"বল্টু ঝাপ দিলো আর তাকে এম্বুলেন্সে তোলা হলো। হাসপাতাল হলো ৪ মিনিটের পথ। তার বন্ধুরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলো আর ডাক্তার রোগীকে দেখে বললো আপনারা অনেক দেরি করে ফেলেছেন আধা ঘন্টা আগে আনলে রোগিকে বাচানো যেতো। বল্টু মারা গেলো।"
টেলিভিশনে ব্রেকিং নিউজঃ ছাদ থেকে ঝাপ দিয়ে আত্নহত্যা করলো বল্টু।টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করার পরও বাংলাদেশ পুলিশ পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিলে তাকে আর কোন বল্টুর অকালে জীবন হারাতে হবে না।
পত্রিকার শিরোনামঃ বল্টু মৃত্যু সরকারের ব্যার্থতাঃ বিরোধী দলীয় নেত্রী।
পত্রিকার শিরোনামঃ বল্টুর মৃত্যু বিরোধীদলীয় চক্রান্তের শিকার।
পত্রিকার শিরোনামঃ দেখার কেউ নেই। অকালে প্রান হারাচ্ছে বল্টুরা।
পত্রিকার শিরোনামঃ বল্টুর মৃত্যুতে মানববন্ধন।
পত্রিকার শিরোনামঃ বল্টুর আত্নহত্যা সংবিধানিক ভাবে হয়েছে।
কিছু দুর্লভ কালেকশনের জন্য ফটোগ্রাফার পল্টু ২০১৫ তে সেরা ফটোগ্রাফার নির্বাচিত।(বল্টুর মৃত্যুর সময় উপস্থিত ফটোগ্রাফারদের একজন)।
বল্টুর মৃত্যু নিয়ে অনেকে অনেক কলাম ও রচনা রচিত করে বিখ্যাত হতে গেছেন। বর্ষ সেরা লেখক মদন ২০১৬ তে বাংলা একাডেমি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
উপস্থিত বল্টুর বন্ধুরা সকলে ফেসবুক প্রফোইলে পিক চেঞ্জ করলো যাতে লেখা "আমার বন্ধু বল্টুর মৃত্যুর দৃস্টান্ত মুলক শাস্তি চায়। পরে তারা ফেসবুকীয় সেলিব্রেটি হয়ে গেলো।
যেই বল্টুর জন্য আজ সবাই সেলিব্রেটি হতে পেরেছে সে আজও বল্টুই থেকে থেকে গেলো। সে বল্টুটা যে কে সেটা কেউ জানে না। কিন্তু ততদিনে পৃথিবী মহত্বে ছেয়ে গেছে।
মোরালঃ এক ফকির একদিন ১০ টাকা
দিয়ে একটি লটারি কিনলো ৷
কিছুদিন পর এই লটারি থেকে
সে ৫০ লক্ষ টাকার পুরস্কার জিতলো ৷
এক মাস পর ঐ ফকিরটি এবার একটি
সোনার থালা নিয়ে ভিক্ষা করতে
বের হল ৷
মোরালঃ কয়লার ময়লা যাই না ধুলে মানুষের স্বভাব যাই না মরলে।
মোরালঃ আপনার দুর্দিনে আমি পাশে আছি মানে আমি আপনার দুর্দিনের অপেক্ষায় ছিলাম আপনার দুর্দিন আসলে নিজেকে মহৎ প্রমানের একটা সুযোগ পাবো।
মোরালঃ আপনি তো মরবেন ই আমাকে বিখ্যাত করে মরুন, সমস্যা কি?
মোরালঃ প্রকৃত বন্ধু কখনও সেলিব্রেটি বা ম্যাচিউড হয় না।
মোরালঃ ঢেকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে।
মোরালঃ কিছু কিছু ক্ষেত্র আছে যেখান শান্ত্বনা হলো জ্বলন্ত কয়লা ফু দিয়ে নেভানোর চেস্টা করার মতো।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৫