somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সত্যকা
রাজু আহমেদ । এক গ্রাম্য বালক । অনেকটা বোকা প্রকৃতির । দুঃখ ছুঁয়ে দেখতে পারি নি ,তবে জীবনের সকল ক্ষেত্রে অনুভব করেছি । সবাইকে প্রচন্ড ভালবাসি কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে প্রকাশ করতে পারি না । বাবা এবং মাকে নিয়েই আমার ছোট্ট একটা পৃথিবী ।

মানসিকতায় অদল-বদল ঘটুক

১১ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


..
মেয়েটা একটা ছেলের বউ হতে অনায়াসে রাজি কিন্তু একটা পরিবারের বউ হতে কিছুতেই রাজি নয় । শ্বশুর-শ্বাশুরিকে বাবা-মায়ের স্থান দিতে বেশ শক্তভাবেই নারাজ অথচ এই মেয়েটাই তার পিতৃগৃহে বাবা-মায়ের দারুণ ভক্ত এবং তার ভ্রাতৃবধু শ্বশুর-শ্বাশুরির যত্ন করুক, এটা সে দারুণ ভাবেই কামনা করে । বৈবাহিক সূত্রে স্বামীর প্রতি স্ত্রী’ একক অধিকার ও আধিপত্য অর্জন করে বটে কিন্তু ভাবা উচিত, তার স্বামী একটি পরিবারের সন্তান । পরিবারের দান-অবদানে তার বেড়ে ওঠা এবং যা কিছু প্রাপ্তি তার সবটাই এদের কল্যানপুষ্টতায় অর্জন । বাবা-মা, ভাই-বোনের প্রতি তার দায়-কর্তব্য আছে এবং এদেরও তাদের সন্তান, ভাইয়ের প্রতি অধিকার-চাওয়া আছে । এসব কিছু না ভেবে স্ত্রী যদি তার স্বামীর সবকিছু একক দখলে নিতে চায় তাহলে হয় পরিবারের বন্ধন ভাঙবে নয়ত একরাশ কষ্ট দু’কূলকে ছাপিয়ে রাখবে । আজ যদি শুধু বর্তমান সময়ের সূখকে প্রধাণ্য দেয়া হয় তবে সেদিন কি খুব বেশি দূরে যেদিন আজকের বালিকা বধূটি হবে, তার সবটা জুড়ে বার্ধক্য ভর করবে এবং সেও অসহায় বোধ করবে । সেদিন যদি তার প্রিয় পূত্রের বধূ তার প্রতি বিতৃষ্ণা দেখায় তবে সেটা কিভাবে সহ্য করবেন ? নিশ্চিত ভবিষ্যতকে একটু বর্তমানে টেনে এনে ভাবুন এবং সিদ্ধান্ত নিন । তাতে ভালো রাখতে সচেষ্ট হবেন এবং ভালো থাকার গ্যারান্টি পাবেন ।
……
পুরুষ সকল ! বিবাহরে সূত্রে একটা মেয়েকে বউ হিসেবে পেয়ে যেমন ইচ্ছা তেমন আচরণ করার অধিকার তুমি রাখোনা । শুধু স্বামী নয় বরং নববধূর বন্ধু হতে চেষ্টা করো । ভুলেও কখনো প্রভূ হওয়ার চিন্তা করো না । অবশ্য প্রভূ কিংবা স্বামী হলেও তোমার জীবন কেটে যাবে, যান্ত্রিকভাবে তোমার চাওয়ার পূর্ণতাও ঘটবে কিন্তু এমন কিছু ব্যাপারের অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারবে না, যা তোমার জীবনকে নব আলোয় উদ্ভাসিত করতো । স্বামী হিসেবে একটা মেয়ের ত্যাগের মর্ম তোমাকে বুঝতে হবে । যে মেয়েটা তার চিরচেনা পরিবেশ, স্বজন, স্বাদ-আহ্লাদ বিসর্জন দিয়ে শুধু তোমাকে ভরসা করে যোজন যোজন পাড়ি দিয়েছে তাকে যদি বন্ধু বানাতে না পারো তবে পুরুষ হিসেবে তোমার স্বার্থকতা কোথায় ? নিজের মানসিকতা তার ওপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা আদৌ কাম্য নয় । বরং তার মনকে বুঝতে চেষ্টা করা আবশ্যকীয় কর্তব্য । তোমার সামান্য সামান্য ত্যাগ কিংবা কসুরে যদি তার হাসি দেখতে পাও তবে সেটায় কার্পণ্য করা উচিত নয় বরং অতীতের সাথে প্রতিযোগিতা করে এটার ব্যপ্তি বাড়ানো উচিত । একটু বেড়ানো, দু’দন্ড বসা, ছোট ছোট ব্যাপারে বিস্মিত করে দেয়া, হাতে হাত রেখে জ্যোস্না দেখাতেই নারীত্বের তৃপ্ততা । এসব উপায়ে স্ত্রীকে সন্তুষ্ট রাখতে শ্রম কিংবা অর্থের আধিক্যের প্রয়োজন হয়না বরং সুন্দর মনের গহীনে লুকিয়ে রাখা ভালোবাসার চর্চা করতে হয় শুধু । স্বার্থক পুরুষ হিসেবে স্ত্রী’র জন্য এটুকু অন্তত করা উচিত ।
…..
স্বামী-স্ত্রীর সমন্বয়েই উদ্ভব ঘটে একটি পরিবার, চিরায়ত বন্ধনের । গ্রাম কিংবা শহরের কোথাও আজ আর সেই আদিম অবস্থা নেই যেখানে শ্বাশুরি কর্তৃক বউয়ের চরমভাবে নিগৃহীত হয় । এখন যা আছে সেটা অতীতের ভীতি । এদেশের অনেক পরিবারে -পুত্রবধূর মধ্যে যে মধুর বন্ধুত্ব হয় বা হচ্ছে তা মা-কন্যার মধ্যেও হচ্ছে না । কাজেই বধূদের উচিত শ্বাশুরিদের বন্ধু ভাবা এবং শ্বাশুরিদের উচিত বধূদের ছায়া হয়ে আগলে রাখা । স্বামীসহ শ্বশুরকূলের সবার ভাবা উচিত, অন্য পরিবারের একটি মেয়ে যখন তাদের পরিবারের বউ হয়ে এসেছে তখন তার সবকিছু ত্যাগ করেই এসেছে । এটা মেয়েটি দ্বিতীয় জন্মের মত । কাজেই তাকে কিভাবে বড় করবে সে দায়িত্ব শ্বশুরকূলের । বর্তমানের ছেলেরা স্বামী হওয়ার পর কিছুটা দ্যোদূল্যতায় ভোগে, হতাশা ভর করে । কেননা স্ত্রী নাকি পরিবার-স্বার্থের কোন কূল রক্ষা করবে, কার মন তুষ্ট রাখবে । অবশ্য পুরুষের সামর্থ্যের কিছুটা সীমাবদ্ধতাও রয়েছে । তবে একটু কৌশলী হলে এবং স্ত্রী-পরিবারের সদস্যরা সহযোগীতা করলে দু’পক্ষকেই সমসন্তুষ্ট রাখা সম্ভব । শুধু সবার মানসিকতায় একটু অদল-বদল ঘটলে একেকটি পরিবার শান্তির আবাসস্থল হিসেবে গড়ে উঠতে পারে । অতিরিক্ত এবং শৈথিল্যের যা কিছু তার সবটুকু বর্জন করে বুদ্ধি-ত্যাগের শিক্ষা ধারণ করে তা বাস্তব জীবনে চর্চা করলে শান্তি-সূখের নীড়ে বাস করা সম্ভব, খুব সহজভাবে সম্ভব ।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:১৩
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×