somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কানাডায় ৭০ দিন - ১৫ তম পর্ব

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার বাবা (তারেক-উল আলম) গত বছর কেনাডা বেড়াতে এসেছিলেন। কেনাডা থেকে দেশে ফিরে একটা বই লিখেছেন – ‘কানাডায় ৭০ দিন’। আজ পড়ুন এর ১৫ তম পর্বঃ

সি এন টাওয়ার

৭ জুলাই, আমাদের ভ্রমন তালিকায় রয়েছে কানাডা দর্শনের অন্যতম আকর্ষণ সি এন টাওয়ার। বিশ্বের তৃতীয় উচ্চতম টাওয়ার। একশ চৌদ্দ তলার সমান উচ্চতার স্পেস ডেকের বারান্দায় দাঁড়িয়ে টরন্টো শহরের নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখার দুর্লভ সুযোগ জীবনে কবারই বা আসে !

সকাল ন’টায় আমরা বাসা থেকে বেরিয়ে পড়লাম। বেলা ১০টায় ডলির একটি ইন্টারভিউ ছিলো কিন্তু পথ হারিয়ে ফেলায় বেটল ফোর্ড রোডের ইন্টারভিউ স্থলে পৌঁছতে বেলা ১১ টা। এদিকে কাইয়ূম ভুলে মোবাইল ফোন বাসায় ফেলে এসেছে আর ডলির মোবাইলের চার্জ শেষ ! মহাবিপদ ! যোগাযোগের উপায় থাকলো না কারো সাথে । এখন বাসায় যাওয়া ও সম্ভব নয়। অতএব ডলির ইন্টারভিউ শেষে আমরা টরন্টো রওনা দিলাম।

দুপুর ১টায় আমরা সি এন টাওয়ারের সামনে পৌঁছলাম। এখানে আরেক সমস্যা গাড়ি পার্কিং। কোথাও গাড়ি রাখার জায়গা নেই। এটা বাংলাদেশ নয় যে রাস্তার পাশে যে কোন স্থানে গাড়ি রেখে চলে গেলেন। পার্কিং ছাড়া কোথাও গাড়ি রাখা যাবে না, গাড়ি ঘোরানো যাবে না। খুঁজতে খুঁজতে অবশেষে পার্কিং এর জায়গা মিললো ২০ ডলারের বিনিময়ে বিকাল ৬টা পর্যন্ত রাখার। গাড়ি পার্কিংলটে রেখে আমরা দ্রুত সিআইবি বিল্ডিংয়ে গেলাম। সেখানে টিম হটনের ওয়াসরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে চা- নাস্তা খেয়ে

আমরা ‘রজার্স সেন্টার’ এর সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। সবিস্ময়ে লক্ষ্য করলাম বিশ্বের আধুনিকতম বৃহৎ ১টি নগরীর প্রাণকেন্দ্রের কর্ম চঞ্চলতা। মানুষ ছুটছে, গাড়ী ছুটছে--সবাই ব্যস্ত নিজ নিজ কাজে। কারোর কোন দিকে তাকাবার সময় নেই, গল্প করতে করতে আয়েশি ভঙ্গিতে পথ চলার সুযোগ নেই। কোন যানজট নেই, কোন হৈ চৈ নেই, হকারের যন্ত্রনা নেই, গাড়ির হর্নের যন্ত্রনাকর শব্দ নেই। ব্যস্ততম শহরের এতো সুন্দর নীরবতা !

রজার্স সেন্টার বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ থিয়েটার হল। টরন্টোর প্রাণকেন্দ্রে এর অবস্থান। রাস্তার অপর দিকে সিএন টাওয়ার। চারদিকে আকাশ চুম্বী সব দালান যেনো আকাশ ছোঁয়ার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত কে কতো উপরে উঠবে, কে কাকে ছাড়িয়ে যাবে। কাছ থেকে বিল্ডিংয়ের চূঁড়া দেখা কষ্ট সাধ্য, কিছু দূরে গিয়ে দেখতে হয়। এটাই টরন্টোর ডাউন টাউন।

আমাদের দেখে সবাই চিনতে পারছে আমরা এই শহরের অতিথি পাখি। ছবি তুলছি মানুষ জনের, দালান কোঠার, রাস্তা ঘাটের। কারো কোন বিরক্তি বোধ নেই, চাইলেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে, ছবি তুলতে দিচ্ছে, ছবি তুলে দিচ্ছে। লোকজন সহজ সরল, আন্তরিক।

সি এন টাওয়ারের সামনে এসে অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকলাম অনেকক্ষন, কি করে একটা মনুষ্য নির্মিত দালানের সর্বোচ্চ চূঁড়া ক্রমান্বয়ে সরু হয়ে আকাশ ছূঁয়েছে ! বাইরে একটা বড় পোকা কামড় দিয়ে ধরে উপরে ওঠে যাচ্ছে। এই পোকাটাই নাকি লিফ্ট এবং ওর ভেতরে মানুষ ! মানুষ এতো উঁচু টাওয়ার বানালো কিভাবে ভাবছিলাম। এ টাওয়ার নির্মানে নাকি হেলিকপ্টারও ব্যবহার করা হয়েছিলো। ১৯৭৬ সালে ১,৮১৫ ফুট উঁচু সিএন টাওয়ার যখন নির্মিত হয় তখন এটিই ছিলো পৃথিবীর উচ্চতম টাওয়ার। অবশ্য র্বতমানে বশ্বিরে র্সবোচ্চ ভবন আরব আমরিাতরে ‘র্বুজ খলফিা’। র্বুজ খলফিা’র উচ্চতা ২৭২২ ফুট। আজো সিএন টাওয়ার কানাডার প্রতীক হয়ে আছে।

আমরা টাওয়ার বিল্ডিংয়ে গেলাম। টিকেট চেক করলো, মানুষ চেক করলো (অবৈধ কিছু সাথে আছে কিনা), আমাদের ভিতরে যাওয়ার অনুমতি দিলো। লিফটের সামনে লম্বা লাইন। আমরা লাইনে গিয়ে দাঁড়ালাম। বিশ জন করে এক একবার লিফট ১১২২ ফুট উচ্চতায় বা একশ তলার উপরে টাওয়ারের স্কাই ডেকে নামিয়ে ফিরে আসছে। লিফ্ট ওঠানামায় ২ মিনিট সময় লাগে। বাইরে বিল্ডিংয়ের গায়ে কামড়ে থাকা পোকাটি আসলে লিফটেরই দৃশ্য !

অবশেষে আমরা লিফটে উঠলাম। লিফটের তিনদিক স্বচ্ছ মোটা গ্লাস দিয়ে ঘেরা। লিফট উপরের দিকে উঠছে আর নিচের বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, মানুষজন দ্রুত ছোট হয়ে যাচ্ছে। নিচের দিকে তাকাতে ভয়ে বুক দুরু দুরু করে। বিশাল রজার্স সেন্টার একটা ছোট্ট খেলনা। একটানে আমরা প্রায় হাজার ফুট উপরে উঠে গেলাম। লিফট থেকে নামলাম। এটাই টাওয়ারের স্কাই ডেক !

চারদিকে গোলাকার ব্যালকনি, ১৫-২০ ফুট চওড়া। ভেতরে কফি হাউজ, লিফট, স্টুডিও ইত্যাদি। বাইরের দিকটা স্বচ্ছ মোটা কাঁচ দিয়ে ঘেরা রেলিং থেকে কয়েক ফুট দূরে। নিচের দিকে তাকাতে বুক দুরু দুরু করে যদিও আমি নিজেকে অনেক সাহসি মনে করি। নিচে শহরের পুরো দৃশ্যই দৃষ্টি সীমার মধ্যে। পুরো টরন্টো শহর মনে হচ্ছে হাতের তালুর মধ্যে। ৫০-৬০ তলা বিল্ডিং মনে হচ্ছে কাগজ দিয়ে বানানো খেলনা বাড়ি ! নৌকা, জাহাজ, ছোট ছোট দ্বীপ সব কিছুই ক্ষুদ্র দেখাচ্ছে। আমরা যেনো বিরাটাকার দৈত্য, পুরো টরন্টো শহর হাতের তালুতে নিয়ে খেলতে পারি। টরন্টো শহরের অপূর্ব মনোরম দৃশ্য উপভোগ করার এতো সুন্দর জায়গা আর কি হতে পারে !

সব দর্শক ক্যামেরা হাতে এ দুর্লভ মুহূর্তের দৃশ্য ধারণে ব্যস্ত। স্বল্প সময়ে সব দৃশ্য ধারণ করে রাখতে হবে। স্মৃতির পাতা থেকে হারিয়ে গেলেও কম্পিউটারের ডিক্সে অক্ষয় হয়ে থাকবে। এই দুর্লভ দৃশ্য ধরে রাখতে হবে জীবনের জন্যে--অনন্তকালের জন্যে !

নদীর দৃশ্য, অন্টারিও লেকের ছোট ছোট দ্বীপমালার দৃশ্য, সেন্টার আইল্যান্ডের বিমান বন্দর, লেকে চলাচল জাহাজের দৃশ্য, দিগন্ত বিস্তৃত অন্টারিও লেকের অভূতপূর্ব দৃশ্য মন পাগল করে দেয় ! রেল লাইন, সেতু, রাস্তা-ঘাট, বাড়ি ঘর সব এক নিমেষেই দেখা হয়ে যায়। মনে হয় আসমান থেকে আমরা পৃথিবী দেখছি ! অপূর্ব অপরূপ সব দৃশ্যাবলী !

গ্লাস ফ্লোরে গেলাম। ডলি ভয়ে ফ্লোরের কাছে ধারেই গেলোনা। নোটিশে জানিয়ে দেয়া হয়েছে--দুর্বলচিত্ত, বৃদ্ধ এবং বাচ্চাদের ওখানে না যাওয়ার। কারণ ফ্লোরের উপর থেকে সরাসরি ৩৫০ মিটার নিচে তাকিয়ে দেখলে অন্তরাত্মা শুকিয়ে যায়। অনেকেরই মূর্চ্ছা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে ! আমি গেলাম কারণ আমি নিজেকে সাহসি মনে করি ! গ্লাসের উপর হাঁটলাম কিন্তু নিচের দিকে না তাকিয়ে ! আস্তে আস্তে সাহস সঞ্চয় করে আড় চোখে একটু তাকিয়ে দেখলাম। সত্যিই মাথা গুলিয়ে যায়--বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকা যায় না, বুকটা কেমন যেনো করে ওঠে ! আমি গ্লাসের উপর শুয়ে পড়লাম। ক্যামেরা ম্যান (আমার স্ত্রী) ভয়ে গ্লাসের উপর থেকে নিচের দিকে আমাকে নিয়ে ছবি তুলতে ভয় পেলো। নিরাপদ দূরত্বে থেকে কেবল ফ্লোরে রাখা চশমাটাসহ আমার দেহটা নিতে সক্ষম হলো !

স্টুডিওর লোকজন পেছন পেছন ঘুরছে ছবি তুলে দেবে বলে। বিভিন্ন পোজের ছবি-- টাওয়ার বেয়ে উপরে ওঠা, টাওয়ার থেকে পড়ে যাওয়া অথবা টাওয়ারে ঝোলা এসব সিনেমেটিক ছবি ! প্রতি পোস্টকার্ড সাইজ ২৫ ডলার এবং সাথে সাথে ডেলিভারি ! এসবই তো ক্যামেরার জারিজুরি আর এডিটিং এর কারসাজি ! বাংলাদেশে বসেও সি এন টাওয়ারের সাথে ছবি সংযুক্ত করে সুন্দর ছবি ওঠানো যায়। তবুও ডলির বায়না ছবি তোলার। আমি আর কাইয়ূম রাজী না হওয়ায় আমাদের উপর অভিমান করে থাকলো। ছেলে মানুষ আর কাকে বলে !

এরপর আমরা যাবো আরো উপরে--স্পেস ডেকে। স্কাই ডেকের চেয়ে আরো ১০-১৫ তলা উঁচুতে। ওখানে যেতে জন প্রতি আরো দশ ডলারের অতিরিক্ত টিকেট কাটতে হয়। আমাদের পাস থাকায় অতিরিক্ত টিকেট কাটার আর প্রয়োজন হয়নি। বন্ধু তারেকের কথা আবার মনে পড়লো যে আমাদের সি এন টাওয়ার পরিদর্শনের পাস দিয়েছিলো। আমরা তাকে সময় দিতে পারিনি। বেচারি আমাদের ফোনের অপেক্ষায় থাকবে। সব কিছুর জন্যে নিজের মধ্যে একটা অপরাধ বোধ হচ্ছে।

স্পেস ডেকে ওঠার জন্যে আমরা লাইনে দাঁড়ালাম। এখানেও লম্বা লাইন। প্রায় আধাঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে লিফটে উঠলাম। এখানেও লিফটম্যান বা টাওয়ার গাইড আমাদের কিছু দিক নির্দেশনা দিলো। গাইড ভিয়েৎনামি যুবক।

স্পেস ডেক থেকে টরন্টো শহর আরো ছোট হয়ে গেছে, ছোট হয়ে গেছে এর প্রকৃতি এবং জনপদ। বাড়ি গাড়ি, ট্রামবাস অতি ক্ষুদ্র দেখাচ্ছে। ছোট্ট খেলনার মতো বিমান অন্টারিও লেকে পড়লো ! অথচ বিমান নেমেছে সেন্টার আইল্যান্ড বিমান বন্দরে। সেন্টার আইল্যান্ড, ছোট ছোট দ্বীপমালা, অন্টারিও লেক সব কিছুই দেখাচ্ছে ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর। অন্যদিকে টরন্টোর বৃহৎ বৃহৎ অট্টালিকাসমূহ, রেল ব্রীজ, বনাঞ্চল সব কিছুই দেখাচ্ছে অতি ক্ষুদ্রকায়। পুরো টরন্টো শহর দু’ চোখের পর্দায়।

ক্যামেরা জুম করে ধারণ করা হলো পুরো টরন্টো শহর, এর নয়নাভিরাম দৃশ্য, নানানভাবে নানান এঙ্গেলে। স্মৃতির পর্দায় ভেসে বেড়াবে অনেক দিন। সঞ্চয়ের পরিধি বাড়লো আরো এক ধাপ ! আমরা নিচে নামলাম। সি এন টাওয়ারকে বিদায় জানিয়ে গাড়িতে উঠলাম।


ইন্ডিয়ান মার্কেট

টরেন্টো থেকে ফেরার পথে আমরা জেরাল্ড রোডে ইন্ডিয়ান মার্কেটে গেলাম ! রাস্তার দুই ধারে সারি সারি দোকান, হোটেল, রেস্তোরাঁ। মালিক ভারতীয়। তিন জেনারেশন ধরে তারা এখানে। ভারতীয়দের মধ্যে শিখ স¤প্রদায়ের প্রাধান্যই বেশি। বেশির ভাগ দোকানের মালিক শিখ।

আমরা শাড়ির দোকানে ঢুকলাম। মধ্যম মানের সু-পরিসর দোকান। তাকে তাকে সাজানো শাড়ি, সেলোয়ার কামিজ, লেহাংগা ইত্যাদি। প্রতিটির গায়ে দাম লেখা। বিক্রয় কর্মী সবই মহিলা। বাংলাদেশেরও আছে দুই একজন। ডিস প্লেতে রকমারি শাড়ি সাজিয়ে রাখা। নানা রকমের বাহারি শাড়ি। বোম্বে, মাদ্রাজী, ঢাকাই জামদানি, সিল্ক, কাতান বেনারসি-- হরেক রকমের শাড়ি অর্থাৎ ভারতীয় উপমহাদেশের রমনীকুলের পরিধেয় যাবতীয় সব ধরণের বস্ত্রই রয়েছে এখানে। আবার ‘সেলে’ ও আছে। ডলি তার বড় ছেলের বিয়ের শাড়ি নাকি কিনেছিলো এই দোকান থেকে দেড় লাখ টাকায় ! এবারও পছন্দ মতো কিছু শাড়ি কিনলো। উপহার দিলো কানাডা ভ্রমনে বর্তমানে তার সাথে থাকা বোনকে।

মাঝে মাঝে পাকিস্তানি এবং বাংলাদেশি দোকানও রয়েছে। ‘লিটল বাংলাদেশ’ নামে একটি বাংলাদেশি বস্ত্র দোকান ও দেখলাম।

টরন্টো শহরে বহু জাতির বাস। এক একটি জাতি বা কমিউনিটি এক এক এলাকায় থাকে সমষ্টিগতভাবে। দোকানের সাইনবোর্ডে বিশেষ করে খাবারের দোকানগুলোতে নিজ নিজ দেশের বিখ্যাত খাবারের ও স্বদেশের নাম সগৌরবে পরিচয় বহন করে। জেরাল্ড রোড ও এর আশে পাশের এলাকা ভারতীয়রা দখল করে আছে। ভিক্টোরিয়া পার্ক এবং ড্যানফোর্থ এলাকা বাংলাদেশিদের ! এখানে এলে আপনার মনে হবে বুঝি বাংলাদেশেই আছেন ! দোকানের নাম যেমন ঢাকা শাড়ি ঘর, আলাদিনের মিষ্টি, গুলিস্তান হোটেল এমন সব লেখা সাইন বোর্ড আবার বাংলাতেই লেখা ! খাবারের দোকানে পোলাও বিরানী ছাড়াও সাদা ভাত, আলু ভর্তা, শুটকি ভর্তা, পটল, কাঁকরোল, বেগুন ভাজা সব কিছুই পাবেন। মুখের স্বাদ পরিবর্তনে বাঙালিরা আসে ড্যানফোর্থে। পোষাকে, ভাষায়, আচরণে সব কিছুতেই পাবেন বাঙালিপনা। দেশ মাতৃকার খানিকটা পরশে আপনার মন ভরে যাবে। প্রতিদিন বিকেলে বাঙালিদের আড্ডা জমে মিষ্টি বা চায়ের দোকানে! মার্কেটের নাম ‘বাংলা টাউন’। উল্লেখ্য, টরন্টো শহরে প্রায় ত্রিশ হাজার বাঙালির বসবাস।

ফেরার পথে ইন্ডিয়ান দোকান থেকে ভূট্টা খেলাম ফুট পাতের পাশে বেঞ্চে বসে। মালিক পাঞ্জাবী মহিলা, সেলস্ গার্ল চট্টগ্রামের মেয়ে।

(ক্রমশ)
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:২৫
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×