তুমি পালাচ্ছো না কি অস' যাচ্ছো?
না কি তুমি ডুবে যাচ্ছো?
জানি আমি,
তুমি তোমার আঙ্গিনায় যাবে।
কিন' তোমার রং কেন ধূঁসর,
কেনই বা তোমার এত রঙ?
চারি ধারে খুঁজে মরি তোমাকে,
তবুও তুমি যাবে চলে তার কাছে,
এই কি তোমার নিয়ম বলো?
না তার ডাকে সারা দেওয়া,
সেই তো তোমাকে ডাকবে,
কেন না সে তোমার আমার স্রষ্টা।
এত রূপ কেন তোমার,
কি এক অপরূপ সাজ তোমাতে।
কিছুক্ষণ আগে তোমায় না পেয়ে,
আমি অন্ধকারে হুচট পেলাম,
তোমকে না পেয়ে পিদিম জ্বালাতেম,
তাতে যে হৃদয়ে অতৃপ্তি,
কেন তোমার এত ব্যাপ্তি।
তোমার শেষানে- ধব্বিণত হবে,
তোমরা আসো জমায়েত হও,
আমরা নত হয় তার কাছে।
কেউ ডাকে সারা দেয়,
কেউ বা জোঁয়ার আসরে,
কতেক আবার গপ্পে গপ্পে,
কিছুক আছে নিজেকে নিয়ে।
তোমায় চিনলেম না বলেই,
আমি অন্ধকার ভাবী,
স্ব-স্বীকার করি-নে তোমায়।
নেই কোন শরিক তোমার।
একটি কবরে চারটি কোণা,
মাঝখানে যার কঙ্কাল,
নাই যার ঈমান,
নাই যার নামাজ,
নেই যার রোজা,
নেই যার হজ্জ,
দেয়নি যে যাকাত,
এখন উপায় কি তোমার?
কি তোমার পরিচয়,
কে তোমার রব,
ইত্যাদি।
তোমাকে ঢেকে দিলেম,
তাই চলে যাচ্ছি,
চল্লিশ কদম যেতে না যেতেই,
তোমার সংযুক্তিকারী একদল,
আরেক দল হলো সংযুক্তবিহীন,
এখানে ভেবে কি পাবে?
কোন ক'ল নাই,
কোন কিনার।
কাল তুমি যা পেয়েছিলে
ক্ষনিকের আশ্রয়ে
তোমাকে ডাকবো
সেও তুমি জানতে।
ভেবেও তুমি সুখ টুকাও
সে সুখ তোমার ক্ষনিকে
লক্ষ কিংবা জজন,
জজন কিংবা কোশ,
কোশ কিংবা হিসেব নেই,
হায় নফসির দিনগুলোর
পূর্বানের- দিবসটিই যে শেষ,
তা কিন' নয়?
তার পরও দীর্ঘ-ক্ষন,
পাঁচ স'ম্ভের জন্যেই হয়তো
পাঁচশত বছর পর।
এবার তোমার হাত বলবে,
কান বলবে,
চোখ বলবে,
পা বলবে,
বলবে তোমার শরিরীরের
সেই অঙ্গ,
যেই অঙ্গ
ছিল তোমার আমার
কৃত কর্মের কর্মকার।
সেখানে নিজের হিসেব
মিলাতে পারবে কি?
তাই আমি ভাবী,
আগামীতে রয়ে গেলো,
তোমার উপর
বিশাল এক দাবী,
আজ ছাড়িবো তবো,
কালকে ছাড়িবো না সেথায়,
তাই সেরে নাও এখানেই,
ওখানের সেই কাজটা।
যেখানে থাকবে তুমি,
চিরন-ন থেকে চিরন-র।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




