স্বাধীনাত হীনতায় কে বাচিতে চাই? আসলে কেইবা চাই...
গত ২৫শে মার্চ রাতে সংসদ ভবনের সামনে কতই না আয়োজন... উদ্দেশ্য স্বাধীনতা দিবসের মর্ম সকলের মাঝে সঞ্চালন করা, বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের কাছে অবারিত করা...
খুব আগ্রহ নিয়ে কাছে গিয়ে দেখার চেষ্টা করি... দেখলাম হাজারো মানুষ খুব আগ্রহ ভরে অনুষ্ঠান উপভোগ করছে। হাজারো মানুষ, হাজারো...
অনুষ্ঠানের এক বিরাট অংশ জুড়ে দেখলাম আমাদের নতুন প্রজন্ম... বেশ উচ্ছল...বেশ আবেগ তাদের মাঝে... খুব ভাল লাগল...
কী করছে তারা?....... প্রায় হাজার খানেক তরুন, তরুনী... ব্যস্ত অনেক ব্যস্ত... কী করছে তারা? ব্যস্ততার মূলে রয়েছে এমন কিছু যা কখনই কাম্য নই... কী যে করছে তা তারা জানে না... কেন এখানে এসেছে তা তারা হয়তবা জানেনা, কী আসলে সেই রাতের মর্ম তা তারা জানেনা, অথচ তারা এসেছে নতুন নতুন শাড়ি, পাঞ্জাবী আরও কতকিছু পরিধান করে...ব্যস্ত অনেক ব্যস্ত...
খুব ইচ্ছে হয়েছিল... তাদের কাউকে জিজ্গেস করি... তারা কী জানে স্বাধীনাত কী... তাদের দ্বায়িত্ব কী দেশের প্রতি...? কেউ কী এটা অনুভব করে কী? যাই হোক হয়তা তারা তা অনুভব করে কিন্তু বহিঃপ্রকাশের মাধ্যমটা একটু ভিন্ন....
রাস্তার ঠিক বীপরিত দিকে চলছিল পাট পন্য প্রদর্শনী মেলা.. আমাদের দেশীয় পাট... দূর থেকেই লক্ষ্য করলাম সেটি একবারেই ফাঁকা... গেলাম দেখতে.. চোখ জুড়িয়ে গেল.. এত সুন্দর আমাদের নিজেদের পাট থেকে তৈরী সামগ্রী... না গেলে বিশ্বস হবে না... যাই হোক চেষ্টা করলাম পুরো অংশ ঘুরে দেখার... সুন্দর অসম্ভব সুন্দর .... তবুও ফাঁকা... কেন?
হাজারো মানুষ রাস্তার ঠিক বীপরিত দিকে... কিন্তু এপাশটা ফাঁকা... কেউ প্রয়োজন বোধ করেনি এদিকে এসে দেখার.... যে পাট একসময় সোনালী আঁশ ছিল আজ তা আন্তর্জাতিক কুচক্রে জর্জরিত... কেউ জানেনা? জানলেও তা অনুভব করেনা... শুধুই পাট? না শুধু পাট না... দেশ প্রেম কী শুধুই দিবস পালনের মধ্যে সীমাবদ্ধ? নতুন প্রজন্ম কীভাবে দেশকে সামলাবে? তারা কী পারবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে, যেমনটি পেরেছিল..৭১ এর নতুন প্রজন্ম... আসলে রাস্তার ব্যবধানটাই সবকিছূ না...তৈরি হয়েছে এক বিরাট ভাবনার ব্যবধান...
এখনও কি অামাদের ভাববার সময় আসেনি? কী করলে আমরা দেশটাকে সুন্দর করতে পারি? জানা নাই.....
কে দ্বায়িত্ব নিবে???

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




