somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রাতের আঁধারের নন্দিনী (২য় অংশ)

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


পরথম মাসের বেতনডা লইয়াই আফার লগে আফার বাসায় উডলাম।
আমরা দুই জন এক লগেই খাইতাম। আফায় ই রান্দা বান্দা করতো।
আমি হের লগে সাদ দিতাম। আফার রান্দন ভালাই আছিলো।
খায়া মজা পাইতাম। ভয়ও পাইতাম। আফায় খালি দামি খাওন রান্ত।
তাই খাইতে বইয়া আফারে কইলাম আফা তুমি তো জাননা আমি কেন ডাহা আইছি।
আফায় কইল কেন ডাহা আইছ।
আমি সব গটনা আফারে খুইল্লা কইলাম।
আফায় কইলো তয় তো তোমার অনেক টেহা পয়সা লাগবো।
তাইলে কাইল থাইকা অভারটাইমে লাইগা যাও।
আমি আফারে কইলাম আফা কামডা কি হেইডা তো কইলা না।
আফায় কইলো দেখ বইন লজ্জা শরম নিয়া পইড়া থাকলে তোমার মায়েরে বাচাইতে পারবে না।
আমি আফারে কইলাম হাচা কথাই তো। তয় কামডা কি হেইডা কও।
আফায় আব্রাগর মতো তুতলাইয়া কইলো, রাইতে বেডা গো লগে রাইত কাডান।
আমি কইলাম কি কইলা আফা?
আফায় কইলো দেখ বইন আগেই কইছি লজ্জা শরম নিয়া পইরা থাকলে তোমার মায়েরে
বাচাইতে পারবা না।
আমি কইলাম আফা তাই বইলা.........
আফায় কইলো আইচ্চা আইজ থাইক্কা করন লাগবোনা। আইজকা ছুডির দিন ঘুমাও।
আমার আবার অহন অভারটাইমে যাওন লাগবো। ৬০০টেহা ফুরাইছি।
আইতে সইন্দা হইবো। যদি ভালালাগে রাইতের রান্দনডা কইরা নিও।
আমি কইলাম আইচ্ছা ঠিক আছে।
আফায় সুন্দর কইরা নাইকাগোর মতো সাইজ্জা বাইরইয়া গেল।
আমিও ঘুমাইয়া গেলাম।
ঘুম থাইক্কা উইড্ডা দেহি সইন্দা অয়া গেছে।
আমি চুলায় রান্দা বসাইলাম। আফায় আইলো।
আমায় আদর কইরা কইলো, আমার বইনে কি করে?
আমি হাইসা দিয়া কইলাম রান্দন বয়াইছি।
আফার হাতে একডা বেগ দেইক্কা কইলাম,আফা এইডায় কি?
আফায় বেগ থাইক্কা একটা সুন্দর জামা বাইর কইরা কইলো, আমার বইনের পচন্দ হইছে।
আমি খুসিতে হাইসা কইলাম অনেক পচন্দ হইছে, আফারে সুন্দর মানাইবো।
আফায় জামাডা আমার গায়ে জরাইয়া কইলো এইডা আমার বইনের লাইগা আনছি।
আমি আফার হাত থাইকা টান দিয়া জামাডা লইয়া কইলাম, আফা হাচা কইতাছো।
আফায় কইলো হয়রে বইন হয়।
আপার মোবাইলে কল আইলো।
আফায় আমার সামনে বইয়াই কতা কইতে লাগলো।
হ্যালো, জি নতুন একজন আছে, তয় রেইডডা বাড়ায়া দিতে হইবো।
ঐ দিকের লোকডা কি কইলো জানি না। তয় আফায় কইলো ২০০০ টেকা।
ঐ পাশের লোকডা আবার কি কইলো।
আফায় কইলো একদাম ১৮০০ টেকা। কইয়াই লাইনডা কাইট্টা দিলো।
আমি আফারে কইলাম, আফা কিসের এক দাম ১৮০০ টেকা।
আফায় কইলো আমার বইনডার।
আমি কইলাম কি?
আফায় কইলো তোমার গো বইন।
আমার মাথায় আকাশ বাইংগা পড়লো।
আবার লোভও হইলো, কারণ সারা মাস খাইড্ডা পাই ২৯০০ টেকা।
আর এক রাইতে পাইমু ১৮০০ টেকা।
মায়ের কথা মনে হইয়া গেলো।
আমার মায়েরে বাচাইতে হইবো।
আফার মোবাইলে আবার কল আইলো।
আমার ধ্যানডা ভাইংগা গেল।
আফায় হ্যালো কইলো।
ঐ পাশ থাইক্কা কি জেনো কইলো,
আফায় কইলো ঠিক আছে রাইতে ১০টার সময় আমি নিয়া আইমু।
কইয়াই লাইনডা কাইট্টা দিলো।
আফায় খুসিতে আমারে বুকে জরাইয়া ধরলো।
আমি কারনডা বুজতে পারলাম না। জিগাইলাম আফা কি হইছে কি?
আফায় কইলো আমি পরথম রেইট পাইছিলাম ১০০০ টেকা তুমি পাইছো ১৮০০ টেকা।
আমি লজ্জা পাইয়া মাথাডা নিছের দিক কইরা মুচকি হাসলাম।
আফায় মজা কইরা কইলো কি ফুসাইবো অহন।
আমি মাথা নাইরা কইলাম হয়।

সেই থাইকাই শুরু আমার এই বেশ............
শব্দটা বলার আগেই মনি বললো, রাইত তো ফুরাইয়া জাইতাছে।
মনিরাঃ আফনে কি জাইবেন গা?
মনিরঃ না সূর্য উডলে যাইমু। তয় পড়ে আফনের মায় কি ভালা হইছেন?
মনিরাঃ ৩মাস পর আফার মোবাইলে খবর আইলো মার আবার ব্যথা উডছে।
আমরা গারমেন্সেই আছিলাম, আফায় দৌড়াইয়া আইয়া কইলো মনিরা তোমার মায়ের ব্যথা
ঊডছে। তোমার কাকায় কইছে তারাতারি বাড়ি যাইতে।
আফায় ও আমার লগে ছুডি লইয়া বাসায় আইলো। সব কিছু গুছগাছ কইরা দেহি আফায় ও
তার সব কিছু গুছগাছ করতাছে।
আমি কইলাম আফা কি করতাছো?
আফায় কইলো, আমি ও তোমার লগে আইতাছি।
আমি কইলাম, আফা হাচা কইতাছো আমার লগে যাইবা?
আমার চোখে পানি আইসা গেলো।
আফায় আমার চউক্ষের পানি মুইচ্ছা দিয়া কইলো,
আমার বইনডারে আমি কেমনে একলা যাইতে দেই।
আমার তো দুনিয়াতে আর কেউ নাই। তুমি কোন দিন জানতে চাওনাই,
তাই আমিও কইনাই।
কইয়াই আফায় আমারে বুকে জরাইয়া ধইরা কানতে লাগলো।
আমি আফার চোখ মুচাইয়া খাডে বসাইলাম।
আফায় একটা কাপরের পুতলা থাইকা অনেক গুলা টেকা বাইর কইরা কইলো,
ধরো টেকা গুলা তোমার কাছে রাখ।
আমি কইলাম কেন আফা?
আফায় কইলো আমি কোন দিন টেহা পয়সা তেমন একটা জমাইনাই।
যেই দিন থাইক্কা তুমি তোমার ডাহা আয়োনের কাহিনি কইলা
সেই দিন থাইকা মন দিয়া টেকা গুলান জমাইছি। আগেরও কিছু আছিলো।
কাল রাইতে যহন তুমি অভারটাইমে গেছিলা, তহন আমি টেকা গুলান গুনছিলাম।
দেখলাম ৫২ হাজার। রাখো তোমার মায়ের চিকিৎসার কাজে লাগবো।
বইলাই আফায় আমার বেগের চেইন খুইল্লা পুটলিডা ডুকায়া দিলো।
আমারে জিগাইলো, তোমার কাছে কতো আছে।
আমি কইলাম আফা তুমি তো কোন দিন আমার থাইকা ঘর বাড়া খাওন খরছ নেউনি।
আমার জামা কাপর ও তুমি কিননা দিতা, তাই তোমার থাইকা বেশী আছে।
আফায় কইলো কতো?
আমি কইলাম ৬৪ হাজার।
আফা হুইন্না খুসি হইলো।

খুব শিগ্রই আসবে পরবর্তী অংশ............


প্রথম অংশ...............
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২৭
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×