রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ওবায়দুল কাদেরের ও ছিলো না, শেখ হাসিনারও ছিলো না।
ট্রল করে আমরা একটা কথা বলি- বাদ দেন ভাই, বেডি মানুষ।
কেন বলি? সৃষ্টিগত ভাবেই নারীরা অনুগত শ্রেণির। কিন্তু বড় দায়িত্ব দিবেন- নারীরা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে, চারদিক ব্যালেন্স করে, দূর্বলতা, সক্ষমতা পরিমাপ না করে দেশকে কোন যৌক্তিক সমাধান দিতে পারবে না। ভালো কোন আউটফুট দিতে পারবে না। নারীরা প্রশংসায় ভেসে যায়, সমালোচনায় ক্রোধ দেখায়।
একটা পুরুষ যতই উগ্র হোক, বড় দায়িত্বে বসিয়ে দিলে চারদিক হিসাব করে। ফ্লুট ফুল সমাধান খোঁজার চেষ্টা করে। পুরুষরা সমালোচনা নিতে পারে।
একটা পুরুষ রাষ্ট্র প্রধান হলে অন্তত একথা কখনোই বলতো না" খালেদা জিয়া আর ড. ইউনুস কে টুস করে পদ্মা ব্রিজ থেকে ফেলে দেওয়া উচিৎ।
অথবা একজন বয়োজ্যেষ্ঠ সাবেক নারী প্রধানমন্ত্রীকে লঘু অপরাধের দায় দিয়ে দীর্ঘদিন জেলে ভরে রাখতো না। (সজীব ওয়াজেদ জয়ও বলেছেন এটা করা ভুল সিদ্ধান্ত ছিলো)
অথবা, বেশি কথা বল্লে সব বন্ধ করে দিবো। পানি বিদ্যুৎ গ্যাস সব বন্ধ করে দিবো।
রাষ্ট্র পরিচালনার প্রধান দুই গুন আপনার থাকতেই হবে: এক- দেশের জনগনের মৌলিক চাহিদা পূরন, দুই- অপরাধের ক্ষেত্রে কঠোর হওয়া।
দুইটার কোনটাই শেখ হাসিনার ছিলো না।
দেশের ৩ কোটি মানুষ বেকার, মানুষ যথাযথ চিকিৎসা সেবা পেতো না, দেশে এখনো ৫০ লক্ষ + ভাসমান মানুষ আছে। খাদ্যের অভাব গ্রামের ভয়াবহ কথা বাদ দিলাম, আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোট ভাই নিরব পর্যন্ত মারা গেছে। দেশে কি পরিমান খাদ্য ভেজাল অথচ সরকার কার্যকরী কোন পদক্ষেপই নেয়নি। পরিবেশ দূষণ সারাবিশ্বে প্রথম দিকে বাংলাদেশ। আর অপরাধের প্রতি কঠোর হওয়া তো দূরে থাক টানা বারংবার করাপ্টেড লোকদের এমপি মন্ত্রী বানিয়েছে। প্রত্যেকটা আমলা ছিলো সর্বোচ্চ লেভেলের দুর্নীতিবাজ। এদের ২০-২৫ বছর পর্যন্ত স্বপদে এক্সটেনশন দিতো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, কি নাম জানি? আব্দুর রউফ তালুকদার। এই লোকের মতো মা/দা/র/চো/দ বাংলাদেশে ২য় কেউ আছে কিনা আমার জানা নাই। রিজার্ভ লুট, ব্যাংকের ভল্ট লুট, ১৫ ব্যাংক দেউলিয়া করা, সকল ব্যাংকের অবস্থা নাজুক করে ফেলা, ইসলামি ব্যাংক গুলো ধ্বংস করা, অসহনীয় মুদ্রাস্ফীতি, হিউজ এমাউন্ট নতুন নোট ছাপানো, বেনামে ঋন প্রদান, এস আলম গ্রুপ ও সালমান এফ রহমানকে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা বের করে দেয়া, খেলাপি ঋন রেকর্ড পরিমানে পৌছা। মানে কি করে নাই? আচ্ছা একে এখনো গ্রেফতার করছে না কেন? এই ধরনের বাস্টার্ড যদি বিচার ছাড়া বের হয়ে যায়, তাহলে মনে করবেন বাংলাদেশের আইন দিয়ে আসলে কিছুই সম্ভব না।
সরকার দেশে নাকি সব ভূমিহীনদের বাড়ি করে দিছে অথচ হাইকোর্ট থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এরিয়ার মধ্যেই ১ লাখ ভাসমান মানুষ আছে। ভাসমান মানুষ একটা দেশের জন্য কি পরিমাণ হুমকি এটা মাঠে থেকে অনুধাবন না করলে বুঝা যাবে না।
ঢাকাবাসী ২ কোটি মানুষের চিকিৎসা ব্যায়ের ৮০% হয় এই ভাসমান মানুষগুলোর জন্য। কেন? এটার উত্তর বিশদ হয়ে যাবে৷
ছোট করে বলি: ভাসমান মানুষের প্রায় সবাই HbsAg, STD, HPB, AIDS, Hepatitis-c, Covid-19 দ্বারা আক্রান্ত। এরা একটা সিরিঞ্জ ১০ জনেও ব্যবহার করে ১ মাস ধরে। মজার কথা এরা যেখানে চা- নাস্তা খায় আপনিও সেখানে চা-নাস্তা খান।
চায়ের কাপ পিরিজ কিন্তু এক বালতি পানিতেই ধোঁয়া হয়। মানে ভাইরাস সহজেই আপনার শরীরে ডুকে যাচ্ছে।
দৈনিক ঢাকা শহরের প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার অবকাঠামো, স্টিলের ভেড়া, ম্যান হলোর ডাকনা, রাস্তার ইট, রড এরা ভেঙে নিয়ে যায়। চুরি, ছিনতাই, হত্যা, ভাড়াটে খুন, এগুলো তো আছেই। অথচ আজ পর্যন্ত এদের পুনবাসনের কার্যকরী কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।