somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভারতভ্রমণঃ কোলকাতা

১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

[১৮ দিনের ট্যুর, সড়ক ও রেলপথ মিলিয়ে প্রায় ছয় হাজার কিঃমিঃ ভ্রমণ। এক ব্লগে সব লেখা অসম্ভব, তাই সিরিজ লিখতে বসলাম। নিতান্ত স্মৃতিচারণের উদ্দেশ্যে লেখা, কোন খরচের খতিয়ান থাকবে না। অফেন্সিভ কথাবার্তাগুলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয় বলে দাবি করলে তা মিথ্যাচার হবে, তাই কোন ডিসক্লেইমার দিচ্ছি না। মূল লেখা এখানে]

১৭.০৭.১৪

‘মুখে রুমাল দিয়ে কাশুন’- জায়গায় জায়গায় এমন দেয়ালিকা দেখে বুঝে গেলুম আমরা ওপার দাদাদের দেশে পৌঁছে গেছি। ইমিগ্রেশনের ভেজাল পার করে প্রথমেই সেদেশের মোবাইল সিম কিনলাম। এরপর বাসে চড়ে পেট্রাপোল থেকে কোলকাতার উদ্দেশ্যে যাত্রা করলাম। মুষলধারে বৃষ্টি দিয়ে কোলকাতা আমাদের স্বাগত জানালো। মার্কুইজ স্ট্রিটে যখন বাস থেকে নামলাম তখন দুপুর প্রায় পার হয়ে এসেছে।

শুরু হল অ্যাম্বাসেডরের সারি। রাবার তোলা

ঘটি দাদাদের দেশে এসে কিপ্টেমী না করলে কি চলে! অতএব শুরু হল সস্তা হোটেলের সন্ধান- শেষ হল হোটেল সোফিয়াতে। প্রথম দর্শনেই স্পেনের রাণীর জন্য প্রাণটা কেঁদে উঠলো। হোটেলটার কোন অংশে কখনো যে কোনপ্রকার ইঞ্জিনিয়ারের হাত পড়েনি তা অনুমান করে নিলাম। মানবতার প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে হোটেল-মালিক নিজেই সম্ভবত ডিজাইন করে ফেলেছিলেন সব। আয়াজ-শফিকের ভাগে যে রুমটা পড়ল সেটার শৌচাগার দেখে প্রথমেই ঢাকা সিটি কলেজের কথা মনে পড়ে গেল (যারা কখনো সিটি কলেজে যাননি তাদের জন্য বলে রাখি- সিটি কলেজে গেট পার হলেন মানেই আপনি কলেজ বিল্ডিঙে পৌঁছে গেলেন। বাকিটুকু বুঝে নিন)। আটজনের জন্য নেয়া হল তিন রুম। আদিব আর সেমি-ওপারের দাদা আজিম তখনো আমাদের জয়েন করেনি।

দুপুরের খাবার খেতে খেতে বিকেল হয়ে গেল। কস্তুরী নামক রেস্টুরেন্টে মুরগীর কাবাব আর কাচুরী বা কচুরী নামক এক বস্তু দিয়ে খাওয়া সারলাম। কাচুরী কচু আর চিংড়ীর তরকারি। কচু জিনিস টা যে এমন সুস্বাদু হতে পারে ধারণা ছিল না [বালকের দল তখনো জানিতো না যে অদূর ভবিষ্যতে আমিষ বস্তুটিকে তাহারা কিরূপ মিস করিতে চলিতেছে। জানিলে প্রতিবেলায় তাহারা দ্বিগুণ আড়ম্বরের সহিত আমিষ গ্রহণ করিতো।]। খাওয়া শেষে রাস্তার পাশে ভাড়ের চা খেলাম। জিনিসটা বেশ কুল, ডিসপোজেবল মাটির কাপ!

সন্ধ্যার দিকে হাজার রুপির ট্যাক্সি ভাড়া করে ধনকুবের আদিব আমাদের সাথে যোগ দিল।নয়জন মিলে রাতের বেলা বের হলাম সিনেমা হল খুঁজতে। কোলকাতা নিউমার্কেটের পাশে পেয়েও গেলাম একটা। সিনেমা হল “Hate Story 2” এর পোস্টারে ছাওয়া। নয়টার শো সবে শুরু হয়েছে। জলে অর্ধনিমগ্ন স্বল্পবসনা নায়িকাকে দেখে আর এক মুহূর্ত দেরী করলাম না, টিকেট কিনেই ছুটলাম সবাই গেটের দিকে। গেট খুললো, চোখে আলোর প্রথম ঝাপটা এসে লাগলো, ওহ নো(!), বিদ্যুৎবেগে সবাই পিছু হটলো। হেট স্টোরি টু-তে সুপ্রশস্ত বিদ্যা বালন কি করে এলো?! হতবুদ্ধি-ভাব কাটতেই ছুটলাম টিকেট কাউন্টারে। একটু পরেই সব পরিষ্কার হলো; দোষ আর কারো নয়- এই অধমের। টিকেট কাটতে গিয়েছিলাম আমি। কাউন্টারের লোক বাংলা বুঝে না, আর আমার মুখ দিয়ে কিছুতেই হিন্দি আসছিলো না। এই মিস কমিউনিকেশানের দরুন ব্যাটা আমাদের ভুল মুভির টিকেট ধরিয়ে দিয়েছে। টিকেটের রিফান্ড হবে না, অগত্যা পয়সা উসুল করতে ঘন্টাখানেক সিনেমা হলে ঝিম মেরে বসে রইলাম। ফেরার সময় করুন নয়নে আরেকবার পোস্টারগুলাতে চোখ বুলিয়ে নিলাম। পিঙ্ক লিপসের শোক ভুলতেই বোধকরি ধর্ম-উদাসীন বন্ধুগণ ৮% ইথানলের দুটো শিশি খরিদ করে হোটেলে ফিরলো(স্যরি গাইজ, মুভিটার ভালো প্রিন্ট আসলে নামিয়ে দিবো আমি)।

১৮.০৭.১৪

আয়াজ বেচারা তার বন্ধুদের উপর যথেষ্ট বিরক্ত হয়ে উঠেছে। গ্রুপে সবচেয়ে ফ্লুয়েন্ট হিন্দি বলতে পারে সে। অন্য দিকে বারবার বলেও বাকিদের মুখ দিয়ে একটা হিন্দি শব্দ বের করানো যাচ্ছিলো না। ফলস্বরূপ আমদের ‘বিদেশী’ পরিচয় পেয়ে দাদারা কেউ মাথায় কাঁঠাল ভাঙ্গার সুযোগটা ছাড়ছিল না। রাবা আবার এককাঠি সরেস! নাঁকি সুরে কোলকাতার বাংলা ঝাড়তে গিয়ে ভাষাগত কেলেঙ্কারি (অধ্যাপক মুখতার আহমেদের ভাষায়) ঘটাচ্ছিলো।

সকালের নাস্তা সেরে বের হলাম বিশ্বখ্যাত হাওড়া ব্রিজের উদ্দেশ্যে। যাওয়ার পথে মেট্রোতে চড়ার সখটা পূরণ করলাম। পাতালরেলে চড়ে সবাই একটু ঈর্ষান্বিত হা-হুতাশ না করে পারলাম না। কোন একদিন ঢাকায় মেট্রোতে চড়ার সুখস্বপ্নও দেখে ফেললাম। জিএস রোড়ে মেট্রো থেকে নেমে লোকাল বাসে চড়ে হাওড়া ব্রিজে পৌঁছুলাম। পৃথিবীর ব্যস্ততম ক্যান্টিলিভার ব্রিজ; দৈর্ঘ্যের দিক দিয়ে ষষ্ঠ। এক কথায়- জিনিসটা বিশাল!

ব্রীজের পাশেই হাওড়া স্টেশন। আমাদের ট্রেনের খোঁজ খবর নিতে গেলাম হেল্প ডেস্কে, সাথে নিলাম গ্রুপের মূক ও বধির সদস্য আলমকে। আলমের হিন্দিজ্ঞান ঈশ্বরসম। তাই ইন্ডিয়াতে থাকাকালীন সে যাতে সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ ছাড়া অন্য কোনভাবে কমিউনিকেট করার চেষ্টাও না করে তা ওকে আগেই বুঝিয়ে দেয়া হয়েছিল। ভাগ্যিস সাথে শুধু আলমই ছিল! নইলে হেল্প ডেস্কে বাংলা-হিন্দি-সংস্কৃত মিশিয়ে যে উপাখ্যান রচনা করে এসেছিলাম তা যদি গ্রুপের হিন্দি বুঝে এমন কেউ শুনতো তাহলে বাকি জীবনটা ওই এক পঁচানী খেয়ে কাটাতে হত। যাইহোক, টিকেটের সব ঠিকঠাক আছে দেখে আশ্বস্ত হলাম।

স্টেশনের বিপরীতে ছোট একটা লঞ্চ ঘাট। লঞ্চে চড়ে হুগলী নদীতে ছোট একটা নৌভ্রমণ করে ফেললাম। নামলাম ফেয়ারলি ঘাটে। ঘাটে বসে স্বাস্থ্যকর বায়ু গ্রহণ করলাম কিছুক্ষণ। ফেয়ারলি প্লেসে যাওয়ার উদ্দেশ্য ছিল জম্মু-কোলকাতা রিটার্ন টিকেটটা করে রাখা। টিকেট পেলাম না। দু হাজার কিলোমিটারের চিন্তা মাথায় নিয়ে হাঁটা শুরু হল।

লঞ্চ থেকে তোলা হাওড়া ব্রিজ আর স্টেশন

ফেয়ারলি প্লেস থেকে জিপিও হয়ে রাইটার্স বিল্ডিং পর্যন্ত হাঁটলাম। ঐতিহাসিক জায়গা। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর রাইটারদের অফিস ছিল এই দালান। রাস্তাটার মাঝে বেশ একটা খান্দানী ভাব আছে। রেনোভেট করা বলে নতুন দেখালেও দালানের আসল বয়স আড়াইশো বছর। ট্যুরের প্রথম দিকে সবার মাঝেই প্রচুর তেল থাকে- তাই কোন জায়গায় সেলফি তুলতে কার্পণ্য করা হচ্ছিলো না। রাইটার্স’ ও বাদ গেল না।

ফেয়ারলি প্লেস এবং রাইটার্স’

রাইটার্স’ থেকে ট্যাক্সি নিয়ে গেলাম সায়েন্স সিটি। হিন্দিভাষী ট্যাক্সি ড্রাইভারের সাথে রাবার কথোপকথন শুনে নিজের হিন্দির উপর কিছুটা কনফিডেন্স ফিরে পেলাম। সায়েন্স সিটি উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় সায়েন্স সেন্টার। পুরোটা ঘুরতে ঘরতে সন্ধ্যা হয়ে গেল। স্পেস থিয়েটারটা বেশ পয়সা উসুল করা জায়গা। গ্রিক মিথোলজি আর আর্কিওলোজি মিলিয়ে দারুন একটা ডকুমেন্টারি দেখালো। সেখান থেকে বের হয়ে মান্ধাতার আমলের একটা থ্রি ডি শো দেখলাম, আর শিশুতোষ একটা এভ্যুলুশন ট্যুরও দিলাম। তবে খুব বেশী ভালো লাগলো ডাইনামোশন হলটা। চারতলা একটা হল, উপরের ফ্লোরগুলা স্পাইরাল শেপে নীচে নেমেছে। হল ভর্তি অসংখ্য সায়েন্স প্রজেক্ট। ফিজিক্সের বেসিক সব থিওরিকে মজার মজার সব প্রজেক্টের সাহায্যে একেবারে হাতে কলমে শিখিয়ে দেয়ার ব্যাবস্থা। একটা ফ্লোর বায়োলজির জন্য ডেডিকেটেড। এই সাবজেক্ট টা এখনো ধাতে সয় না, তাই সেই ফ্লোরটা আমরা রীতিমত উড়াল দিয়ে স্কিপ করলাম। হলটা ঘুরে যা মনে হল, এখানে একটা স্কুলের বাচ্চাকে ছেড়ে দিলে সে অন্তত ফিজিক্স শিখে বের হবে।

সায়েন্স সিটি থেকে বের হয়ে প্রথমবার কোলকাতার স্ট্রিট-ফুড ট্রাই করলাম। পানিপুরি জিনিসটা এমনই বিভীষিকাময় ছিল যে এরপর থেকে ফুচকা খেতে গিয়েও এই ট্রমা-টা আমাকে তাড়া করে বেড়াবে। তবে পাপড়ি-চাট জিনিসটা বেশ উপাদেয় ছিল।

দেশে যখন ট্যুর প্ল্যানিং হচ্ছিলো তখন থেকেই নেটে সার্চ দিয়ে ম্যাকডোনাল্ডস, ডমিনোজের ম্যানু দেখে রেখেছিলাম। ৪০-৫০ রূপির লোভনীয় সব বার্গার, পিৎজার ছবির দিকে তাকিয়ে থাকা আদিবের চকচকে চোখের স্মৃতি এখনো মনে আছে। মনে মনে তখন দেশের চেইন শপগুলাকে কত গালিই না দিয়েছি। কিন্তু হায়! ম্যাকডোনাল্ডস- ডমিনোজে এই প্রাইস রেঞ্জে কিছুই পেলাম না [পিজ্জা হাটের কাহিনীটুকু শুধু আমাদের গ্রুপের মাঝেই সীমাবদ্ধ থাক। নিজেদের বার্ধক্যে এর প্রতিশোধ নিয়ে আসবো।]। ট্যুরের তখনো পুরোটাই বাকি, তাই কোন বিলাসিতার সাহস দেখালাম না। শেষে মনে একটা সান্ত্বনা নিয়েই ফিরে এলাম- সেখানকার মুরগীগুলো হালাল ছিলো না। অনুগত কাস্টমারের মত কস্তুরিতেই খাওয়া সারলাম।

আজকের দিনশেষে গর্ব করে বলতে চাই আমরা শফিক ইসলামের বন্ধু। এ সেই শফিক ইসলাম যে ঘটি দাদাদের দেশে বসে ঘটি দাদাদেরই তাদের নিজস্ব ঔষধ পান করিয়ে এসেছে। ঘটনাটা খুলেই বলি। রেস্টুরেন্টে খাবারের বিল মসলার প্লেটে দেয়া মনে হয় সব বাঙ্গালীর অঘোষিত নিয়ম। সেই মসলার প্লেটে বিস্বাদ জিরার সাথে কিছু মিছরি দানা দেয়া থাকে। জিরার প্রতি আমাদের কারো কোন আগ্রহ নেই, বেছে বেছে মিছরিদানা গুলাই খাই। এ ব্যাপারে শফিককে টেক্কা দেয়ার সাধ্য আর কারো নেই। শফিক একগাদা জিরার মধ্য থেকে শেষ মিছরিদানাটিও বের করে আনে শিকারী চিলের ন্যায়। কস্তুরি কর্তৃপক্ষ এমন আপদের সাথে পরিচিত নয়। শেষ পর্যন্ত ওরা বাধ্য হয়ে আমাদের বিলের সাথে মিছরিবিহীন প্লেইন জিরা দিতে থাকে। তাই দৃপ্ত কন্ঠে আবারো বলতে চাই, ওয়েল ডান দোস্ত!


১৯.০৭.১৪


মর্নিং ওয়াকটা ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল পর্যন্ত বিস্তৃত হল। মেমোরিয়ালের গেট খোলার জন্য অপেক্ষা করতে করতে নিম্বুপানি নামক পানীয় জিব আর মন দুইটাই বিষিয়ে দিল। টিকেট করতে গিয়ে বিবেক কঠিন এক পরীক্ষার সামনে ফেললো। বিদেশীদের টিকেটের দাম ইন্ডিয়ানদের টিকেটের দামের চেয়ে ১৫ গুন বেশী! শেষে অর্থের কাছে নিজেদের জাতিস্বত্বাকে শিকেয় তুলে ইন্ডিয়ানদের লাইনে ভিড়ে গেলাম( হ্যাঁ, এবার মনে মনে গালিটা দিয়ে ফেলুন।)। স্রষ্টাপ্রদত্ত চামড়ার অতিরিক্ত মেলানিনের দরুণ পারও পেয়ে গেলাম। বন্ধু জ্যোতি বিকাশকে বিশেষ ধন্যবাদ। দেশে থাকতে সে’ই শিখিয়ে দিয়েছিল যাতে টিকেট কাউন্টারে সম্ভব সর্বনিম্ন শব্দ ব্যায় করি। উপদেশটা বেশ কাজে দিয়েছিল।

টিকেট কেটে ভেতরে ঢুকার পরপরই বৃষ্টিতে ভিজে চুপসে গেলাম। সেটা ব্যাপার না, সাদা মার্বেলের বিল্ডিংটা মুড ভালো করে দিল। নিজেদের পয়সায় বানিয়ে জিনিসটার নাম কেন ভিক্টোরিয়ার নামে রাখা হল তা নিয়ে আদিত্য খিস্তি করতে থাকলো। দালানের ভেতরে ঢুকলাম। প্রথম রুমেই দেখা পেলাম লর্ড ক্লাইভের প্রতিমূর্তি আর মীর জাফরের তলোয়ারের। নিজের শব্দ ভান্ডারের সবচেয়ে বাজে গালিদুটো দুজনের প্রতি উৎসর্গ করে অন্য রুমগুলোর দিকে পা বাড়ালাম। দুপুরের আগেই বের হয়ে গেলাম ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল থেকে।

ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল। আয়াজের তোলা।

দুপুরের পর কোলকাতা নিউমার্কেট ভ্রমণে বের হলাম। কোলকাতা নিউমার্কেটের শৌচাগারে সারা জীবন মনের মধ্যে বয়ে বেড়ানোর মত একটা ক্ষত নিয়ে ফিরে এল নোয়েল। নোয়েলের সাথে দেখা হলে সবাই অবশ্যই অবশ্যই তাকে জিজ্ঞেস করে নিবেন- কি এমন জিনিস সে দেখেছিল!

স্টেশনে যাওয়ার সময় ঘনিয়ে এল। বিদগ্ধ মন নিয়ে আমরা হোটেল সোফিয়াকে বিদায় জানালাম। এ বিদায় যে শেষ বিদায় নয় তা আমাদের তখনো জানা ছিলনা। লম্বা সফরের সঙ্গী হিসেবে একটা 'ঘনাদা সমগ্র' কিনে চড়লাম যুবা(yuva আরকি) এক্সপ্রেসে......সেই যুবা এক্সপ্রেস, যেখানে যুবারা ঘুমায় না........

এরপরের লেখাঃ ভারতভ্রমণঃ দিল্লী
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মে, ২০১৫ রাত ৯:১১
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×