ভাল আর মন্দ : এর সংগা বা পরিচয় কি চিরন্তন? শাশ্বত? না আপেক্ষিক?
আর আপেক্ষিক হলে কতটা? বিশ্বব্যাপী ধর্মমতের ভিন্নতা, বিশ্বাস আর মতাদর্শের হাজারও পার্থক্যের পরও খুবই ব্যাপক সাদৃশ্য দেখা যার কিছু মৌলিক বিষয়ে। অধিকাংশ বিশ্বাসেই একটা শুভ শক্তি আর একটা অশুভ শক্তির অস্তিত্ব পাওয়া যায় প্রায় সব ধর্ম বিশ্বাসেই।
বিশ্বের সর্বকালের শ্রেষ্ঠতম মহাপুরুষের নামে নোংরা মিথ্যাচার আর অবমাননাকর মুভি তৈরীর প্রতিক্রিয়ায় যখন বিশ্ব সমাজ অশান্ত, নিহত হচ্ছে অনেক নিরীহ এবং এবিষয়ের সাথে সম্পর্ক হীন মানব সন্তান, তখন ইসলামের পক্ষ- বিপক্ষ অধিকাংশ মানুষেরই মত - এই কাজ কোন বিশেষ মহতী উদ্দেশ্য নিয়ে, মানবতার কল্যান সাধনের ব্রতী নিয়ে সাধিত হয় নি। পুরা বিষয়টা: অনেকটাই অশান্ত আমাদের বাসস্হান এই গ্রহটাকে প্রায় পুরোটা অশান্ত করার একটা অপচেষ্টা। এর সাথে রয়েছে খুবই নীতিহীন, নিম্ন রুচী সম্পন্ন, উগ্র মানষিকতার অন্ধ আবেগ আর জঘন্য সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ। আরো আছে রাজনৈতিক চাল বাজির নোংরা কিছু হিসাব নিকাশ ।
চরম ব্যাতিক্রমধর্মী কোন বিশ্লষকও হয়ত এই বিষয়টিকে কোন শুভ উদ্দোগ হিসেবে চিন্হিত করেন নি, ভাল মন্দ আর শুভ অশুভের একটা চিরন্তন সংগা ঐ বিশ্লষকের কাছে না থাকার পরও! বিশ্ব মানবতার দৃষ্টিতে এটি একটি নির্ভেজাল অশুভ উদ্দোগ। ইসলাম ধর্মীর পরিভাষায় শয়তানী কাজ। আর যার ফলশ্রুতিতে অনেকটাই বিব্রত বহু ধর্ম নিরপেক্ষ ব্যাক্তি গোষ্ঠী সমাজ দেশ । বিরক্ত অনেক ইসলাম বিরোধী শক্তি। এমনিতেই অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও জাতিগত সমস্যায় বহুলাংশে নিমজ্জিত গ্রহটিতে সংকট উত্তরনের পথ খুজতে হিমশিম খেতে হচ্ছে পদে পদে।
সভাবতই প্রশ্ন জাগে কি দরকার ছিল এই অপচেষ্টার? মানবতাবাদীদের ভূমিকা কি হওয়া উচিত এই সময় ? বিশ্ব বিবেকের কাছে থেকেই যাচ্ছে এই প্রশ্ন একটা গভীর তীব্র ক্ষত হয়ে।
চলবে ....

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


