বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সহ আয়োজক হিসেবে বাংলাদেশের খরচ হয়েছে ৪৭৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
সোমবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার এ হিসাব প্রকাশ করেন।
তবে সহ-আয়োজক দেশ হিসাবে এই ক্রীড়া আয়োজন থেকে বাংলাদেশ আর্থিকভাবে কী পরিমাণ লাভ পেয়েছে তা প্রতিমন্ত্রী জানাতে পারেননি।
তিনি ব্যায়ের হিসাব দিতে পারলেও আয়ের খাতগুলো সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, বাংলাদেশে বিশ্বকাপের আট ম্যাচ আয়োজনে কী পরিমাণ আয় বা ব্যায় হয়েছে তা জানাতে পারবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
ব্যয়ের হিসাব দিতে গিয়ে আহাদ আলী জানান, বিশ্বকাপ উপলক্ষে যুব ও ক্রীড়মন্ত্রণালয় পাঁচটি স্টেডিয়ামের সংষ্কার কাজে ব্যয় করেছে ৩০৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের জন্য ৩৫ কোটি ৮ লাখ টাকা, শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের জন্য ৭৮ কোটি ৪ লাখ টাকা, চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামের জন্য ৭১ কোটি ১৪ লাখ টাকা, ফতুল্লা স্টেডিয়ামের জন্য ৬২ কোটি ৮২ লাখ টাকা ও খুলনা স্টেডিয়ামের সংষ্কারে ৫৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যায় হয়েছে।
এছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৮৫ কোটি টাকা; জাতীয় নিরাপত্তা অধিদপ্তরের জন্য যন্ত্রপাতি কেনা বাবদ ১১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা; পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৫৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা; বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা; তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাজে ৫৪ লাখ টাকা এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১১ কোটি ৯১ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আবারো ক্রিকেট
ক্রিকেট আবারো বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ফিরছে জানিয়ে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, "ফুটবল ক্রিকেট যৌথভাবে স্টেডিয়ামটি ব্যবহার করতে পারবে।"
তিনি জানান, ২০১৪ সালে বাংলাদেশ টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন করবে। এ জন্য পাঁচটি স্টেডিয়াম প্রস্তুত রাখতে হবে। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম এর অন্যতম।
আহাদ আলী সরকার বলেন, "টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য রাজশাহী ও সিলেট স্টেডিয়ামেরও সংস্কার করা হবে। এছাড়া কক্সবাজার ও গোপালগঞ্জ স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ শিগগিরই শুরু করা হবে।"
http://adf.ly/10WI7

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



