তুরস্ক সরকার বাংলাদেশি মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিয়ে থাকে। ২০১০-২০১১ শিক্ষাবর্ষে তুরস্ক সরকারের এই বৃত্তি প্রদান প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আন্ডার গ্র্যাজুয়েশন, গ্র্যাজুয়েশন (মাস্টার্স, ডক্টরেট, রিসার্চ) পর্যায়ে এসব বৃত্তি দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের আবেদন করতে হবে আগামী ২৮ এপ্রিলের মধ্যে।
আন্ডার গ্র্যাজুয়েশন কোর্সে আবেদনের জন্য প্রার্থীদের হাইস্কুল বা সেকেন্ডারি পর্যায়ে ভালো নম্বর পেয়ে পাস করতে হবে। তবে কোনো প্রার্থীর যদি পড়াশোনায় দুই বছর বা তার চেয়ে বেশি ব্রেক থাকে, তবে তিনি এই পর্যায়ে বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন না। বয়স যদি ২৫ বছরের বেশি হয়, তবে তিনি আন্ডার গ্র্যাজুয়েশন কোর্সের বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
গ্র্যাজুয়েশন (মাস্টার্স, ডক্টরেট) পর্যায়ে আবেদনের জন্য প্রার্থীদের যথাক্রমে চার বছরের গ্র্যাজুয়েট এবং মাস্টার্স ডিগ্রিধারী হতে হবে। প্রার্থীর তুর্কি, ইংরেজি বা ফ্রেঞ্চ ভাষায় দক্ষতা থাকতে হবে এবং আবেদনের সময় প্রার্থীর বয়স ৪০ বছর হতে হবে। আর রিসার্চের ক্ষেত্রে প্রার্থীর চার বছরের গ্র্যাজুয়েশন থাকলেই আবেদন করতে পারবেন। প্রার্থীর ভাষাগত দক্ষতা থাকতে হবে।
সব পর্যায়ে আবেদনের জন্যই প্রার্থীদের দুই কপি আবেদনপত্র টাইপ করে জমা দিতে হবে। আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে http://digm.meb.gov.tr থেকে। প্রার্থীর ছবি, সরকারি চিকিত্সক কর্তৃক প্রদত্ত মেডিকেল রিপোর্ট বা শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নেই উল্লেখ করে প্রত্যয়নপত্র এবং সব সনদের সত্যায়িত কপি এবং নম্বরপত্র জমা দিতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ইংরেজিতে দুই কপি করে দাখিল করতে হবে। রিসার্চ প্রার্থীকে তাঁর সিভি আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে। আর মাস্টার্স, ডক্টরেট এবং রিসার্চ কোর্সে আবেদনকারী প্রার্থীরা সুপারিশপত্র বা স্বীকৃতিপত্র জমা দেবেন। আর কোনো প্রার্থীর যদি TOMER Turkish Diploma করা থাকে, তাঁকে আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
প্রার্থীর এইচআইভি, হেপাটাইটিস-সি বা শারীরিক অন্য কোনো সমস্যা থাকে, তবে তিনি বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন না। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার ঠিকানা: নাজমুল হক খান, উপসচিব, কক্ষ নম্বর: ১৭০৬, ভবন নম্বর: ৬, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা; ফোন: ৭১৬৫০৩২ অথবা সচিবালয়ের ৯ নম্বর কাউন্টারে সরাসরি জমা দেওয়া যাবে।
http://adf.ly/11HXa

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



