এক দিনের ক্রিকেটে ২৫ বছরে পা রেখেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৯৮৬ সালের ৩১ মার্চ নিজেদের প্রথম একদিনের ম্যাচ দিয়ে যাত্রা শুরু হয় বাংলাদেশের।
এশিয়া কাপের ওই ম্যাচে বাংলাদেশ হারে ৭ উইকেটে। ২ এপ্রিল পরের খেলায় একই ব্যবধানে হারে শ্রীলঙ্কার কাছেও।
১৯৮৮ সালে আবারো এশিয়া কাপে অংশ নেয় বাংলাদেশ। প্রথম বার দেশের মাটিতে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়। ওই আসরে খেলা তিন ম্যাচেই বড় ব্যবধানে হারে স্বাগতিকরা। ১৯৯০ সালে অস্ট্রেলেশিয়া কাপে অংশ নিয়ে উপমহাদেশের বাইরে কোনো দলের বিপক্ষে খেলার সুযোগ পায় বাংলাদেশ। যদিও সেবার খেলা চার ম্যাচেও হার মানতে হয় বাংলাদেশকে।
১৯৯৫ সালে আবারো এশিয়া কাপে অংশ নেয় বাংলাদেশ। ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলা তিন ম্যাচের সবকয়টিতেই হারে তারা। ১৯৯৭ সালে ৭টি ম্যাচে অংশ নিয়ে আবারো সবকয়টিতেই হারে বাংলাদেশ। এমনকি সমশক্তির কেনিয়ার বিপক্ষে দুটি ম্যাচ হারে ১৫০ রান ও ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
একদিনের ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম জয় আসে ১৯৯৮ সালে। ভারতে ক্রিদেশীয় সিরিজে কেনিয়াকে ২৮ রানে হারিয়ে প্রথম জয় পায় দলটি। অবশ্য বাকি ৫ ম্যাচের সবকয়টিতে হার মানতে হয় তাদের। পরের বছর বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম আসরে পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকে চমকে দেয় বাংলাদেশ। ওই আসরে স্কটল্যান্ডকেও হারায় তারা।
২০০০ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত ৪৫ ম্যাচ খেললেও জয় শূন্য থাকে বাংলাদেশ। এসময় কানাডা, কেনিয়ার মতো দলের কাছেও হারে তারা। ২০০৪ সালের মার্চে জিম্বাবুয়েকে ৮ রানে হারিয়ে দীর্ঘ জয় খরা কাটায় বাংলাদেশ। বছরের শেষ নাগাদ ভারতকে দেশের মাটিতে হারিয়ে বিশ্বকে চমকে দেয় দলটি। এর আগে অবশ্য হংকংয়ের বিপক্ষেও জয় পায় তারা।
২০০৫ সালে আরো উজ্জ্বল বাংলাদেশ। চার ম্যাচে জয় তুলে নেয় সেবার। টানা তিন ম্যাচ জেতার অভিজ্ঞতাও সেবারই প্রথম হয়। দেশের মাটিতে প্রথম দুই ম্যাচে হেরে পিছিয়ে পড়েও ৩-২ ব্যবধানে হারায় জিম্বাবুয়েকে। তবে এ সাফল্যকে ছাড়িয়ে যায় কার্ডিফ কীর্তি। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে আবারো পাদপ্রদীপের আলোয় আসে বাংলাদেশ।
২০০৬ সালকে বলা যেতে পারে বাংলাদেশের সাফল্যের বছর। ১৭ ম্যাচ জেতে সেবার। জিম্বাবুয়ে-কেনিয়াকে হারানো ততদিনে ডালভাতে পরিণত হয়েছে। তবে বছরের শুরুতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাওয়া ৪ উইকেটে জয় ছাড়িয়ে যায় সব সাফল্যকে। সেবারই প্রথম টানা ৮ ম্যাচ জেতার অভিজ্ঞতা হয় দলটির। পরের বছরের প্রথম ম্যাচ জিতে টানা জয়ের রেকর্ড নিয়ে যায় ৯ এ।
টানা জয়কে ছাপিয়ে ২০০৭ এর বিশ্বকাপে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাওয়া জয় বাংলাদেশের ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম মাইক ফলক হয়ে আছে। ২০০৮ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম জয় পায় তারা। পরের বছর আবারো হারায় শ্রীলঙ্কাকে। তবে ওই জয়কে ছাপিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিজয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ৩টি একদিনের ম্যাচের সবকটি জিতে বীরের বেশে দেশে ফেরে তারা।
টেস্ট খেলুড়ে অন্য সব দলকে হারালেও ইংল্যান্ডের সঙ্গে কোনো ভাবেই পেরে উঠছিলো না বাংলাদেশ। ২০১০ সালের জুলাইয়ে ইংল্যান্ডকে ব্রিস্টলে হারিয়ে চক্র পূর্ণ করে তারা। পরে দেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডকে ৪-০ ব্যবধানে হারিয়ে নিজেদের ক্রিকেটকে নিয়ে যায় নতুন এক উচ্চতায়।
২০১১ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পায় বাংলাদেশ। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫৮ ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭৮ রানে গুটিয়ে গিয়ে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দেয় তারা।
এখন পর্যন্ত ২৪৪টি একদিনের ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে জিতেছে ৬৭টিতে। হেরেছে ১৭৫টিতে। কোনো ফল আসেনি ২ ম্যাচে।
বাংলাদেশ ২৫ বছরে ১৭টি দেশের বিপক্ষে খেলেছে। এদের প্রত্যেকের বিপক্ষে অন্তত একটি করে জয় আছে বাংলাদেশের। বারমুডা, হংকং ও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় শতভাগ। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। ৫১ ম্যাচের মধ্যে জয় ২৮টিতে। এছাড়া কেনিয়ার বিপক্ষে ১৪ ম্যাচে ৮ জয় ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৭ ম্যাচের ৫টিতে জয় পেয়েছে দলটি।
এ পর্যন্ত ১৩টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ।
http://adf.ly/12qeX

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



