**এটা একটা আজাইরা কবিতা। আমার এক রাতের খেয়ালী স্বপ্নের বহিঃপ্রকাশ।**
হঠাৎ করেই বুকের বা পাশে ব্যথাটা উঠে।
হাত দিয়ে চেপে ধরে, মুখ আর কণ্ঠ
বিকৃত করে কখনো বের হয়ে আসে
" ও মা" আবার কখনো বা "ও আল্লাহ্"।
ইদানিং, এই ব্যথাটা বড় বেশি ভোগাচ্ছে
আমায়। কী হতে চলেছে বোঝা বড়ই
কঠিন।
আমারও কিন্তু ইচ্ছে করে সকালের মিষ্টি
রোদে নিজের সীমানাকে আলোকিত করতে।
ডাক্তার বলেছিল আমায়, এইটিই আপনার
বুকের ব্যথার একমাত্র ওষুধ। সকালে উঠে
হালকা পেট পুঁজো করে নিবেন। এ ছাড়া
আপনার আর কোন গতি নেই।
মাঝে মাঝে মনে হয়, খুব শীঘ্রই মারা
যাবো আমি। আর তাই, বেঁচে থাকার শেষ
আশাটুকু আর করি না। বন্ধুরা আজকাল
বড্ড বেশি উগ্র বলে আমায়। কিন্তু, ভেতরের
খবর নিতে কারো ইচ্ছে করে না।
বেঁচে থাকতে চাই এই সুন্দর পৃথিবীতে।
সূর্যাস্তের সময় রক্তিম আকাশের সুধা
পান করতে চাই। নিস্তব্ধ রাতে ঝিঁঝিঁ
পোকার একটানা ডাকে প্রকৃতিকে ডাকতে
চাই, তুমি অনন্যা তুমি অনন্যা, তুমি অনন্যা।
ঠিক তাঁর তিনদিন পরেই, নিজেকে দেখি
সাদা বিছানায় শুয়ে আছি। আশেপাশে সবাই
পরিচিত মুখ, কিন্তু; আমার ভেতরে প্রশান্তির
ছোপ। চলে যাচ্ছি না ফেরার দেশে, আহা; কী
শান্তি। চোখ বুঝতে যাবো, আর ঠিক তখনই;
ভেঙে গেলো ঘুমটা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




