জীবনের মধ্যম আসনে দাঁড়িয়ে ছেলেটি
পলকহীন চোখে তাকিয়ে থাকে; তাঁর
অনিশ্চিত ভবিতব্যের পানে। যেখানে
দিগন্ত ধানের ক্ষেতের সাথে আর দোল
খায় না, যেখানে বাতাসের উৎসব চলে
নীরবে। যেখানে নতুন করে স্বপ্ন দেখার
ইচ্ছে জাগে।
ছেলেটা ছিল আবেগী। রাতের আকাশ
দেখে একটা গল্প বলতো রুপকথার পরীর
সাথে। ছেলেটা আজকাল বড্ড বেরসিক
আর খিটখিটে হয়ে গেছে। সময়ের প্রয়োজনে
তাঁর সমস্ত আবেগ শিকোয় তুলেছে। আজকাল
সে মধ্যরাতে জেগে থাকা অভিশাপ ছাড়া
আর কিছুই নয়।
স্বপ্ন দেখার সাহস অনেক আগেই হারিয়ে
ফেলেছে ছেলেটি। স্বপ্নগুলো তাঁর ফুসফুসকে
চেপে ধরে মেরে ফেলতে চায়, নেশার জগতে
বুঁদ হওয়া মাতালের মতো এলোমেলো ইশারায়
মুখ লুকোতে চায়। ইকারাসের মোমের পাখার
মতো খসে পড়া স্বপ্নগুলোর রঙ ধূসরই থেকে যায়।
জীবনের দৌড়ে হেরে যাওয়া ছেলেটি এখন শুধু
শান্তি খোঁজে। কিন্তু, হেরে যাওয়া ঘাসফড়িং এর
নাকি শান্তি খোঁজা মানা। ও শুধু পাখা খসিয়ে উড়তে
না পারার যন্ত্রণায় ব্যস্ত থাকে। কাতরানোর মাঝেও
নাকি শান্তি খুঁজে পায় নিঃসঙ্গ গাঙচিল।
আর তাই, ছেলেটি আর দাঁড়িয়ে থাকে না
ছাঁদে। নিজেকে ঝুলিয়ে দেয় অনন্তের পথে।
হেরে যাওয়া ছেলেটিকে সাদরে আমন্ত্রন জানায়
মৃত্যুপুরী। আর এভাবেই শেষ হয়ে যায়, ইতিহাস
হয়ে যাওয়া কোনো যুবকের আত্মকথা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




