আজ বেলা ঠিক সাড়ে ১১ টার দিকে একটা অচেনা মোবাইল নম্বর থেকে কল এলো
"হ্যালো!" বলার পর মেকী কর্কশ গলায় ওপাশ থেকে ভেসে এলো, "আসসালামু আলাইকুম"
উত্তর দিতেই শুনি ওদিক থেকে বলছেন, "বাবা, আমি তোমার সাথে পাঁচ মিনিট কথা বলতে চাই। তোমার কি সময় হবে?"
সঙ্গে সঙ্গে আশার একটি সোনালী মায়ামৃগ যেন আমার চোখের সামনে দিয়ে ছুটে গেলো। যাচাই করে নিশ্চিৎ হওয়ার জন্য বলি, "না আমার তো সময় হবে না। একটু ব্যস্ত আছি।"
ওপাশ থেকে কন্ঠস্বরের কর্কশতা আড়াই ডিগ্রী বেড়ে যায়, "কিসের জন্য ব্যস্ত তুই বাবা, বল! কি এমন ব্যস্ততা তোর যে তুই আমার সাথে পাঁচ মিনিটও কথা বলতে পারবি না?"
সঙ্গে সঙ্গে নিশ্চিত হলাম কে এই মহান কন্ঠস্বরের অধিকারীটি। নিজের অনাগত সৌভাগ্যকে নিজেরই বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিলো। প্রাপ্তির সন্নিকটে আগত অগাধ ধনসম্পদ অচিরেই নিজের করে পাবার আনন্দের আতিশয্যে আমি নিজের আবেগকে আর বশিভূত রাখতে পারলাম না। খুশিতে প্রায় চিৎকার দিয়ে বলে উঠলাম, "আরে, জ্বিনের বাদশাহ মামু না কি!"
"কুট!" করে ওপাশ থেকে একটা আওয়াজ এবং সাথে সাথে বাদশাহ কোন এক অজানা অভিমানেই যেন সুক্ষ দেহ ধারন করে হাওয়া হয়ে গেলেন। হ্যালো হ্যালো করে বারংবার আহ্ববান করেও আর উনার সাড়া পেলাম না। এই বিপুল ধনরত্ন হাতের এত কাছে এসেও ফসকে যাওয়াতে আমার তখন শোকে প্রায় শয্যাশায়ী হওয়ার অবস্থা।
এখন আমার কথা হলো, আমরা জানি জ্বীনকূল মহান জাতি। তাদের সৃষ্টি মানবজাতিরও পূর্বে। সেদিক দিয়ে চিন্তা করলে আদব-কায়দা (বয়সে ছোট হওয়া সত্বেও আমাকে সালাম দিয়ে কথা শুরু করা এর প্রমান), সভ্যতা, ধার্মিকতা ইত্যাদিতে তাদের আমাদের চেয়ে এগিয়ে থাকার কথা। রাগ একটু বেশি, সে তো হতেই পারে। হাজার হোক, আগুনের শরীর। একারনেই আমাকে তুই বলাতে আমি কিছুটা মনোক্ষুণ্ণ হলেও মেনে নিয়েছি। কিন্তু শেষে যে উনি নিজে থেকে যেচে আমার সাথে যোগাযোগ করেও গুপ্ত ধনসম্পদের হদিস না দিয়েই বিদায় নিলেন, এটি কি ডিজুস পোলাপানসূলভ ফাৎরামি না? এটা চ্যাংড়া কোন জ্বিনের কাছে আশা করা যায়, এত বড় একটা পদমর্যাদায় আসীন কারো কাছে নয়।
সমব্যথী ব্লগার ভাইবোনরা আমার সাথে সহমত না?
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৮:৩৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



