অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানেন না সরকার রাষ্ট্রের পাহারাদার। তাই মহান সংসদে তোপের মুখে পতিত মুহিত দাঁড়িয়ে তার বেফাঁস মন্তব্যের জন্য দুঃখ ও ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন, অন্যদিকে বলেছেন, হলমার্কের অর্থ জালিয়াতির সঙ্গে তার মন্ত্রণালয় বা সরকার জড়িত নয়। সরকার বলতে অর্থমন্ত্রী কি শুধু তার মন্ত্রণালয়কে বোঝেন? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্যাবিনেটকেই বোঝেন? প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী বোঝেন? আমরা সাধারণ মানুষ মোটা দাগে বুঝি রাষ্ট্র যদি হয় উদ্যান, তবে সরকার তার মালি। বাগানের মালির দায়িত্ব গাছে পানি দেওয়া, নিবিড় পরিচর্যা, আগাছা পরিষ্কার করা, ফুল-ফল-সবুজ সুশোভিত বৃক্ষে বাগানকে মনোরম করে সাজিয়ে তোলা।বাগানের ফুল, ফল ও বৃক্ষ নষ্ট হলে মালির চাকরি চলে যায়। ঠিক তেমনি রাষ্ট্রের পাহারাদার হিসেবে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার রাষ্ট্রের জনগণ ও তার প্রতিষ্ঠানকে আইন, বিধিবিধান ও শপথবলে সুন্দরভাবে চালাতে ব্যর্থ হলে ভোটের লড়াইয়ে পরাজিত হয়ে বিরোধী দলে চলে যায়। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনগণ ক্ষমতার মালিক, সরকার তার পাহারাদার মাত্র। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনায় যাদের ওপর সাংবিধানিক দায়িত্ব অর্পণ করেছেন, তারা শপথ নিয়ে রাগ বা বিরাগের বশবর্তী না হয়ে রাষ্ট্রের কল্যাণে জনগণের দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন। যারা কাঁধে নিয়েছেন, তাদের অন্যতম একজন আমাদের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বাবা সিলেট জেলা মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এ এ এ হাফিজ। ছাত্রজীবনে মেধাবী আবুল মাল আবদুল মুহিত ছিলেন বামধারার সঙ্গে যুক্ত। ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে তার ভূমিকা গৌরবময়। একসময়ের জাঁদরেল সিএসপি আমলা আবুল মাল আবদুল মুহিত এরশাদ শাসনামলের মার্শাল ল সরকারের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছিলেন। বেশি দিন সেখানে থাকা হয়নি তার। অবসর জীবনে মুহিত ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে মূলধারার রাজনীতির স্লোগান তুলে আদর্শচ্যুত বামপন্থিদের নিয়ে গণফোরাম নামের রাজনৈতিক দলে প্রেসিডিয়ামে ঠাঁই নিয়েছিলেন। গণমানুষের সঙ্গে কষ্ট ও ত্যাগের যাত্রাপথে একাত্দ হয়ে সংগঠন করার যুদ্ধে রণেভঙ্গ দিয়ে বিশ্বব্যাংকের কনসালট্যান্সি নিয়ে চলে গিয়েছিলেন।
দক্ষিণ এশিয়ার জাঁদরেল কূটনীতিক মরহুম স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী ছিলেন সিলেটবাসীর নয়নের মণি। সিলেট সদর আসনে '৯৬ সালে সাইফুর রহমানকে হারিয়ে তিনি নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হয়েছিলেন। সিলেটের শাহজালাল (রহ.) বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোম্পানিগঞ্জ উপজেলাসহ সর্বত্র রয়েছে তার নির্মাণের ছোঁয়া। তার আকস্মিক মৃত্যুতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ভেতরে ভেতরে আওয়ামী লীগের কট্টর সমালোচক মুহিতকে এনে ২০০১ সালের নির্বাচনে মনোনয়ন দেন। সেবার পরাজিত হলেও ২০০৮ সালের গণজোয়ারে সিলেট সদরে মুহিতের নৌকাও ব্যালট বিপ্লবে ভেসে ওঠে। শেখ হাসিনার মহাজোট সরকারের অর্থমন্ত্রী হওয়ার পর মানুষ এই নির্লোভ, নিরহঙ্কারী, সৎ, সৃজনশীল, মেধাবী ব্যক্তিত্বের কাছে বিপুল প্রত্যাশা নিয়ে তাকিয়ে ছিল। আজকের বাংলাদেশে সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে প্রধানমন্ত্রীর ডানপাশে ঠাঁই পাওয়া মুহিতের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ না থাকলেও ব্যর্থতার অভিযোগে মানুষ সমালোচনার তীরে ক্ষতবিক্ষত করছে। অর্থনীতির তাত্তি্বক আলোচনা মানুষ বোঝে না। মানুষ বোঝে চাঙ্গা শেয়ারবাজার, স্বল্পসুদে ব্যাংক-ঋণ, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ, নিত্যনতুন কলকারখানা গড়ে ওঠা, কর্মসংস্থানসহ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, অর্থনীতিতে ব্যাপক সংস্কার। ওয়ান-ইলেভেনে সরকারকে নিয়মিত ট্যাঙ্ প্রদানকারী ব্যবসায়ীদের যৌথবাহিনী ধরে নিয়ে জোর করে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা নিয়ে গেলে গণতন্ত্রের অর্থমন্ত্রী মুহিত তা ফিরিয়ে দিয়ে অর্থনীতিকে গতিময় করতে ভূমিকা রাখেননি। এ নিয়ে সংবাদকর্মীরা যতবার প্রশ্ন করেছেন ততবার মুহিত বলেছেন, 'নো কমেন্ট'। এটা বাংলাদেশ ব্যাংকে আছে, সরকারের করার কিছু নেই। দিনবদলে মানুষের সঙ্গে নির্যাতিত ব্যবসায়ীরাও তাদের প্রতি জুলুমের বিচার চেয়েছিলেন। অর্থমন্ত্রী কি ন্যায়বিচার দিতে পেরেছেন? শেয়ার কেলেঙ্কারিতে ৩২ লাখ বিনিয়োগকারীর ৪০ হাজার কোটি টাকা চিহ্নিত সিন্ডিকেট লুটে নিয়ে গেল, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দূরে থাক, উল্টো অর্থমন্ত্রী ফটকাদের বাজার বলে রিক্ত-নিঃস্ব মানুষকেই ব্যথিত করলেন। ড. ইউনূস ইস্যুতে তার মতো পণ্ডিত মানুষের মুখে 'রাবিশ' শব্দ শুনে চমকে উঠেছে বাংলাদেশ। লজ্জায় জিভে কামড় দিয়েছেন তার বন্ধু-স্বজনেরা। তবুও বোধোদয় হয়নি। শেয়ারবাজার লুটেরাদের হাতে তুলে দেওয়ার পর বলেছেন, ওখানে দুষ্টুরা জড়িত। বাংলাদেশের ব্যাংক-ঋণের ইতিহাসে ভয়ঙ্কর জালিয়াতির ঘটনা সোনালী ব্যাংক থেকে হলমার্কসহ নানা অখ্যাত প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা প্রদান। গণমাধ্যম ঋণ জালিয়াতির তথ্য ফাঁস করার পর অর্থমন্ত্রী মুহিত বলেছেন, ৪ হাজার কোটি টাকার জালিয়াতি বড় ঘটনা নয়। এ নিয়ে এতটা হইচই করার কিছু নেই। গণমাধ্যম এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। হতাশায় ক্ষুব্ধ মানুষ তার এ বক্তব্যে সমালোচনার ঝড় তুলেছে।
ওপার বাংলার টেলিভিশন চ্যানেল জি বাংলায় 'সাত পাকে বাঁধা' সিরিয়াল দেখা গৃহিণীরা বলেছেন, ওই নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র মিষ্টি মেয়ে দুষ্টুর দুর্দান্ত অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে অর্থমন্ত্রী দুষ্টু-দুষ্টু বলছেন। কিন্তু কাজ করছেন না। খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ তার তদন্ত রিপোর্টে শেয়ার কেলেঙ্কারির নায়কদেরই নয়, প্রতিষ্ঠানগুলোও চিহ্নিত করেছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দূরে থাক, বিবেকের তাড়নায় দায় নিয়ে অর্থমন্ত্রী জীবনের পড়ন্ত বেলায় সরেও দাঁড়াননি। ব্যক্তিগতভাবে যতদূর আশা করেছিলাম, নীতিবান অর্থমন্ত্রী অন্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে না পারলে সরে যাবেন। আমার ভাবনার ঘোর শেয়ার কেলেঙ্কারির পরই কেটে গেছে।
একসময় সিনেমায় হাবা হাশমতের সংলাপ শুনে দর্শক মন খুলে হাসত। এখন মন্ত্রীদের কথায় হাসে। ঈদের সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ঢাকাবাসীকে ঘরে তালা মেরে যার যার দায়িত্বে বাড়ি যেতে বলেছিলেন। মা-খালারা এমনই বলেন। ঘরের ভেতরে সাগর-রুনি হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে ব্যর্থ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমন বললে তার থেকে অর্থমন্ত্রীর কথার দূরত্ব আর কতটাই বা বেশি আশা করতে পারি। তিনি শুধু দুষ্টু-দুষ্টু বলে যান।
অসহায় মানুষের ক্রন্দন শুনে বিরোধী দল সংসদে গিয়ে তাদের ঈমানি দায়িত্ব পালন করুক আর না-ই করুক, মন্ত্রীদের হুঁশ আসুক না আসুক আইয়ুববিরোধী ছাত্ররাজনীতির অলঙ্কার, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের নায়ক তোফায়েল আহমেদ ও তার আরেক সহকর্মী শেখ ফজলুল করিম সেলিম শাসক দলের প্রথম সারির নেতা হয়েও সংসদে দাঁড়িয়ে সোনালী ব্যাংকের অর্থ কেলেঙ্কারির জবাবদিহিতা চাইতে ভুল করেননি। প্রকৃত জনপ্রতিনিধি ও গণমানুষের নেতার ভাষায় দুজনে দাঁড়িয়ে রাজনীতিবিদদের মুখ রক্ষা করেছেন। জনগণের টাকায় চলা সংসদ জনগণের টাকা লুট হয়ে গেলে কথা বলে না! মানুষের ভেতরে জন্ম নেওয়া এ ক্ষোভ কিছুটা হলেও তারা প্রশমিত করেছেন। সেদিন সংসদে প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী ছিলেন না। পর দিন প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর উপস্থিতিতে জনগণের পক্ষে '৪ হাজার কোটি টাকার অর্থ জালিয়াতি বড় ঘটনা নয়' অর্থমন্ত্রীর এই দায়িত্বহীন বক্তব্যের প্রতিবাদে ফের কৈফিয়ত চাইলেন বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য পোড় খাওয়া প্রবীণ আওয়ামী লীগার আবদুল জলিল। তিনি তার ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানের অভিজ্ঞতা নিয়ে বলেন, পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন ছাড়া কোনো ঋণ দেওয়া হয় না। এ ঘটনায় মানুষের যে প্রতিক্রিয়া তা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যের ইঙ্গিত। ৪ হাজার কোটি টাকা কিছু না হলে কত টাকা হলে কিছু হবে বলে প্রশ্ন রাখেন জলিল। ২ হাজার কোটি টাকা পাওয়া যাবে অর্থমন্ত্রীর এ বক্তব্যের জবাবে জলিল জানতে চান, বাকি টাকার কী হবে? তিনি অর্থমন্ত্রীর বিবৃতি চান। যে প্রশ্ন মানুষের ঘরে ঘরে সেটিই করেন আবদুল মতিন খসরু। এত বড় ঘটনার পর এখন পর্যন্ত কেন একজনও গ্রেফতার হলেন না? ৪ হাজার কোটি টাকা কোথায় গেল জাতি জানতে চায়। তোফায়েল আহমেদ মানুষের ভাষা হৃদয়ে নিয়ে বলেন, এমন ঘটনার পর সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিচালনা পর্ষদকে কেন সরানো হয়নি? এ ঘটনার সঙ্গে সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ জড়িত। এ পর্ষদ রাখলে দায় সরকারের ওপর আসবে। কারণ পর্ষদ সরকারই নিয়োগ দিয়ে থাকে। জাপার মুজিবুল হক চুন্নু জানান, এলসির মাধ্যমে টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, 'এ মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে ঘৃণিত ব্যক্তি বোধহয় আমি। যারা ঘৃণা করেন তাদের ঘৃণা করার অধিকার আছে। কারণ এটা নিয়ে দেশে আলোড়ন চলছে। বিলম্বে হলেও অর্থমন্ত্রী উপলব্ধি করেছেন মানুষের গণরোষের ভাষা। তাই এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এমন চললে তিনি ফের ভোটে দাঁড়ালে মানুষ নৌকা রেখে বৈঠায় ভোট দেবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক যখন অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে বলেছিল সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিতে, তখন অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ এখতিয়ার নেই। অথচ, ব্যাংক কোম্পানি আইনে বাংলাদেশ ব্যাংকের এখতিয়ার পরিষ্কার উল্লেখ আছে। বাংলাদেশ ব্যাংক রাষ্ট্রায়ত্তসহ সব ব্যাংকের তদারকি, মনিটরিং করতে যে ব্যর্থ হয়েছে সেটিও ফুটে উঠেছে। মিডিয়ায় আসার আগে তারাও ঘুমিয়েছিলেন। অর্থমন্ত্রী সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ পূর্তি হওয়ার পরও তা ভেঙে দেননি। এটা মানুষকেই বিস্মিত করেনি, তার পাশে বসা প্রবীণ পার্লামেন্টারিয়ানদেরও হতবাক করেছে। অবাক ব্যাপার, বামপন্থিরা গণমানুষের ভাষা বোঝেন, জানেন ও সৎ দাবি করে এলেও আদর্শচ্যুত বামদের যারা নৌকায় উঠে সরকার ও সংসদে এসেছেন তাদের একজনও জনগণের টাকা জালিয়াতির এ ঘটনা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন তোলেননি। প্রধানমন্ত্রীর বাঁয়ে ঠাঁই পাওয়া সৎ তেলকন্যারাও জালিয়াতচক্রের বিরুদ্ধে নীরব, নিথর। সেই তোফায়েল, জলিল ও শেখ সেলিমের পর অন্তত ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন দাঁড়িয়ে শেষ মানটুকু রেখেছেন।
অর্থমন্ত্রী কেলেঙ্কারির সঙ্গে সরকার জড়িত নয় বলে কি অস্বীকার করতে পারবেন সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরকারের নয়? ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদ কি সরকার নিয়োগ দেয়নি? বরং কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে সরকার তার রাজনৈতিক অনুগতদের নিয়োগ দিয়ে আসছে। এটা সবাই জানেন। অর্থমন্ত্রী আরও বেশি জানেন। মোটা দাগে বললে মানুষের জানমাল নিরাপত্তার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। ব্যাংকের ঊধর্্বতন কর্মকর্তাসহ একদল কর্মচারীকে ওএসডি ও বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রভাবশালীদের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কের সখ্যে জড়ানো হলমার্ক গ্রুপের মালিকসহ পরিচালনা পর্ষদকে এখনো আইনের আওতায় আনা হয়নি। এখনো মুক্তভাবে এই কেলেঙ্কারি থেকে পার পাওয়ার শেষ চেষ্টা তারা করছে। তারা শ্রমিকদের রাস্তায় নামানোর সাহস পাচ্ছে। সর্বত্র দৌড়ঝাঁপ করছে। তাদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় না আনা পর্যন্ত মানুষ মনে করবে অতীত কেলেঙ্কারিগুলোর মতোই একসময় এদেরও ছাড় দেওয়া হবে।
সরকারের লোকজন জড়িত না থাকলে দেশে পাখি শিকারই সম্ভব নয়, সেখানে ৪ হাজার কোটি টাকা লুণ্ঠন কীভাবে সম্ভব? অর্থমন্ত্রীর বিবেকের কাছে প্রশ্ন, আপনার বাড়ির আসবাবপত্র বা মূল্যবান জিনিস চুরি হয়ে গেলে দারোয়ান যদি বলে চোর দেয়াল টপকে চলে গেছে চুরি করে, আমি জড়িত নই, তাহলে কি তার চাকরি বহাল রাখবেন? তাই একটি রাষ্ট্রের প্রতিটি জিনিসের দায়িত্ব সরকারের। মাঝে মাঝে মনে হয় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত হয়তো সাত পাকে বাঁধা দুষ্টুদের কবলে। অসহায়। তাহলে সরেন না কেন?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



