মার্কিন আইনের বাংলাদেশে প্রয়োগ : আশুলিয়ায় নিহতরাই ষড়যন্ত্র করেছে।
মার্কিন জঙ্গি আইনের প্রয়োগ হচ্ছে বাংলাদেশে। সম্প্রতি নিউইয়র্কে নাফিস যে নাটকীয় আইনে এফবিআই গ্রেফতার করেছে সেই প্রক্রিয়া গার্মেন্টস শ্রমিকদের ফাসানো চেষ্টা হচ্ছে।
মূল ঘটনা হল গত ২৫ নভেম্বর আশুলিয়ার এক কারখানায় সুমি নামের এক শ্রমিক ২০ হাজার টাকার বিনিময় প্রতিষ্ঠানে আগুন দিয়েছে। এটা দিয়ে মালিকের প্রমান করতে চায় শ্রমিকেরা আসলেই খুব খারাপ। তারা টাকার বিনিময় আগুন দিয়েছে। মানে দাড়াচ্ছে তাজরিনেও এই ঘটনা হতে পারে। তদন্ত কমিটিতো তারাই করেছে। পুলিশ, আর্মি, রাষ্ট্রতো তাদেরই। কুছ চিন্তা নেহিহে। দোষ ওই গার্মেন্টস শ্রমিকদের।
খবরে প্রকাশ সাভারের আশুলিয়ায় একটি গার্মেন্টস কারখানায় ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন কারখানারই এক কর্মী। বিষয়টিতে মামলার পর আদালতে গড়ালে সোমবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে অপকর্মের কথা নিজেই স্বীকার করেন সুমি বেগম। ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে সুমি বেগম জানান, কারখানার কর্মকর্তা জাকির হোসেনের কাছ থেকে নগদ টাকা নিয়ে নিচ তলায় ফিনিশিং সেকশনের একাংশে আগুন ধরিয়ে দেন তিনি। আশুলিয়ার গোরাটে সরকার মার্কেট রোডে ডেবোনিয়ার নামের কারখানায় এই ঘটনাটি ঘটে ২৫ নভেম্বর রোববার দুপুর আড়াইটায়। বিষয়টি কর্তৃপক্ষ দ্রুত টের পেলে নিজেদের কর্মীদের দিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়। সিসি ক্যামেরায় ধারনকরা ভিডিও থেকে সুমি বেগমকে শনাক্ত করে তার বিরুদ্ধে মামলা করেন কারখানার মহাব্যবস্থাপক নিরোধ বড়ুয়া। মামলার জের ধরে পুলিশ সুমি বেগম ও জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। রিমান্ড শুনানিতে জাকিরের আইনজীবী ঘটনার সাথে জাকিরের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করলে ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াসিম শেখ বলেন, ‘সুমি বেগমতো স্বীকারোক্তিতে আপনার নাম বলেছে। আপনি তাকে আগুন দেওয়ার জন্য ২০ হাজার টাকা দিয়েছেন।’
প্রশ্ন হল কেন তাকে দিয়ে আগুন দেওয়ানো হল। তিনটি কারণ হতে পারে (১) মালিক ইন্সুরেন্স টাকা পাবেন অথবা ব্যাংক ঋণ মওকুফ হবে। (২) ব্যাক্তিগত শত্রুতা (মালিকের সঙ্গে পরামর্শ দাতা) (৩) তাজরীন ঘটনায় তদন্তে বেরিয়ে আসবে নিহতরাই ষড়যন্ত্র করেছে।
চমত্কার মিলে গেল মালিকেরা দায়ি হওয়ার কোন সুযোগ নেই।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



