দার্শনিক ভাবে বললে যেটা সৃষ্টি আছে - তার ধ্বংসও আছে ।
সুতরাং ধরে নেয়া যায় -- মানবজাতি একসময় ধ্বংস হয়ে যাবে।
(সায়েন্টিফিক্যালি কারেক্ট কোন ষ্টেটমেন্ট না -- হা হা করে ছুটে আসার দরকার নেই অমরতা প্রেয়সীদের)
আবারো একটু সুক্ষ ক্যাচেলের প্রশ্ন -- আমরা নাকি আমাদের ভবিষৎ জানি না । দুটা ব্যাপারে এখনই ভবিষৎ বানী করা যায় -- আমরা মারা যাবো -- আমাদের ভবিষৎ অনিশ্চিত ।
দেখা যাচ্ছে কিছু কিছু ব্যাপারে ভবিষৎবানি ঠিকই করা যাচ্ছে ।
যাক মূল বিষয়টা এটা না । ঠিক দিনক্ষন যদি স্থির করা যায় মহাবিশ্ব ধ্বংসের ?-- সবাই আমাকে পাগল বা আতেল দুটার একটা ঠাউরাবে নিশ্চিত ।
কিন্তু এমন একটা সঠিক সময় এমনকি মুহুর্ত নির্নয় এমন একটা মীথ আছে। আমি অবশ্য এটার স্রষ্টা নই ।
এই মীথের জন্যই এই পোষ্টের সুত্রপাত ।
মীথটা হলো :
মহান বৌদ্ধ দাশর্নিক চাক সান বং দিব্য দৃষ্টি লাভ করেছেন । তার শিষ্যদের দান করে তাদের মহাবিশ্ব ধ্বংসের কাজে নিয়োগ করে গেছেন । তাদের কাজ হচ্ছে একটা স্তম্ভ থেকে অন্য আরেকটা স্তম্ভে সোনার চাকতি গুলো প্রতিস্থাপন করা। মোট সোনার চাকতি হচ্ছে ৬৪ খানা । শর্ত হচ্ছে >
১। একবারে কেবল একটা চাকতি সরানো যাবে ।
২। প্রতিবার চাকতি সরানোর মানে হলো একটা স্তম্ভ সবচে উপর থেকে অন্য একটাতে নেয়া , যেখানে সরানো হলো সেখানে অন্য চাকতি থাকতে পারবে ।
৩। কোন ছোট চাকতি উপর বড় চাকতি বসতে পারবে না ।
প্রথম স্তম্ভ থেকে তৃতীয় স্তম্ভে শেষ চাকতি সরানো মাত্র --- সবশেষ । "লেট দেয়ার বি ডার্ক"!
মানে মহাবিশ্ব খতম ।
একটু আইডিয়া পাবার জন্য ছবিগুলো দেখুন ।
প্রতিটা চাকতি সরানোকে ১ ধরলে আমাদের হাতে সময় থাকে
(২ টু দি পাওয়ার ৬৪) - ১ । মানে 18,446,744,073,709,551,615 বার চাকতি সরাতে হবে । একটা চাকতি সরাতে ১ সেকেন্ড সময় লাগলে ৬০০ বিলিয়ন পৃথিবী বছর লাগবে ।
যাক মীথটা সতি মিথ্যা যাই হোক হাতে আমাদের অঢেল সময় আছে ।
Click This Link
http://en.wikipedia.org/wiki/Tower_of_Hanoi
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
অট: কম্পু বিজ্ঞানের ছাত্র হিসাবে এ্যালগরিদমকেই সবচে মজার লাগতো । মনে আছে প্রথম বার এর প্রোগার্মিং সলুশন করার পর বাসার ছোটদের এসে শিখিয়েছিলাম। ওরা বেশ মজা পেয়েছিলো । কম্পুবিজ্ঞানটা বেশ মজার সাবজেক্ট । এটা না থাকলে আমার অবস্থা শোচনীয় হতো ।
You do not really understand something unless you can explain it to your grandmother. - Albert Einstein
অট+: এই জাতীয় আরেকটা গল্প মনে পড়ে -- এক রাজাকে এক মন্ত্রী ঘোল খাওয়ানো জন্য তাকে ৬৪ দাবার ছক ভর্তি চাল দিতে বলেন । মানে প্রথম ঘরে একটা চাল -- পরেরটাই দুইটা -- এর পরে চারটা -- এরপর ষোল -- এভাবে বাড়তে থাকবে ।
কেউ যদি এখনো না বোঝেন তবে ৬৪ খোপ কেটে চাল রেখে চেষ্টা করতে পারেন ।
অট++: চাক সান বং নামে কোন ব্যক্তি থাকলে তার সাথে কোন মিল নেহাতই কাকতালীয় । আর তার শিষ্যদের এত দিন ধরে চাকতি সরানোর ফলে কি পেলো বা তাদের অমরতা বিষয়ে কোন প্রশ্নের ব্যাপারে নো কমেন্ত পলেসি নেয়া হয়েছে