আমার কথা বলি,
রান্না'তো করি অনেক দিন ধরে, সেই কৈশর পেরিয়ে যখন বধু হয়ে আসি শশুর বাড়ীতে।
মা ভাল রাঁধতেন, শাশুড়ী ভাল রাঁধতেন, আমিও পেয়ে যাই কোন কারণ ছাড়াই ভাল রান্নার সেই উত্তরাধিকার, সাথে নোয়াখালী অঞ্চলের ভাল রান্নার ঐতিহ্য, পিঠা... সব।
তারপর স্বামী'র চাকুরীর সুবাধে অনেকদিন, এখনো চট্টগাম থাকা। চট্টগ্রামের ভাল রান্না, চট্টলাবাসী'র খেতে জানা'র ঐতিহ্য, গরুর মাংস আর শুঁটকী'র সুস্বাদু দাপট, লাল করে ঝোল করা তরকারী... সবই শিখে ফেলি, নিজের মত করে রান্না করতে জেনে যাই। তারপর কেমন করে এমনি এমনি দুই ঐতিহ্যের সখ্যতা গড়ে উঠে অবধারিত ভাবেই।
রাঁধিতো নিজের পরিবার, স্বামী-সন্তানদের জন্যে, আপনজনেদের জন্যে। আর রাঁধি প্রতিবেশীদের জন্যে, প্রতিবেশীদের প্রশংসা শুনে। ভালবাসি সন্তানদের, স্বামীকে। ভালবাসি ভাল কিছু, ভাল মানুষ, ভাল রাঁধতে। ভাল লাগে নিজের হাতে আপন জনকে রেঁধে খাওয়াতে আর রান্নার প্রশংসা শুনতে, কার না ভাল লাগে বলুন? অবশ্য যেকোন নারীই এই দোষে হয়ত দোষী হবে...।
আমি রাঁধি আমার মত করে, রান্নার জন্য নাকি হাত লাগে, আমি বলি অন্তর লাগে। রেসিপি বলার মত কোন ছকে সেই রান্না গুলোকে কখনো ভাবি নাই। তবে কিছুদিন থেকে ছেলেমেয়েদের আগ্রহে তা কাগজে টুকে রাখার চেষ্টা করছি, ওরাই করে কাজটি। ওরাই বলল আপনাদের জন্য তা এই খানে প্রকাশ করতে, তাতে নাকি সারা পৃথিবী থেকে সবাই দেখতে পাবে। এইসব রেসিপি'তে কেউ যদি রান্না করে একটু মজা পান তাতেই আমি খুশী হব। ভাল লাগলে, খারাপ লাগলে জানাবেন, খুশী হব।
সবাই ভাল থাকবেন, ভাল খাবেন, মজা করে খাবেন... এই প্রত্যাশায়।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



