হুমায়ূন আহমেদের 'দেবী' উপন্যাসের কাহিনীটি চুরি করেছেন শিবাশীষ রায়। শিবাশীষ রায়ের সেই কাহিনী অবলম্বনে 'ইএসপি একটি রহস্য গল্প' নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন নির্মাতা শেখর দাশ। এই চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য করেছেন শেখর দাশ ও শিবাশীষ রায়।
এই চলচ্চিত্রে পলা চরিত্রে অভিনয় করেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, যেটি আসলে দেবী উপন্যাসের রানু চরিত্র। রানুকে পাল্টে করা হয়েছে পলা। আর মিসির আলীকে পাল্টে করা হয়েছে প্রফেসর ডক্টর মাঈতী। আর উপন্যাসের নীলু চরিত্রকে করা হয়েছে বন্যা। বন্যা চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাইমা সেন। উপন্যাসের কাহিনী একটু কাটছাট করে রাইমাকে করা হয়েছে পেয়িং গেস্ট। উপন্যাসের রানু ছিল বাড়িওয়ালার মেয়ে। যে কিনা সাইকোলজি'র স্টুডেন্ট। আর রানু'র মৃত্যু দৃশ্যকে পাল্টে গাড়ি দুর্ঘটনা দেখানো হয়েছে। কুমারী বলিকে দেখানো হয়েছে শৌল মাছ কেটে মন্তাজ করে।
এভাবেই কলকাতার বাংলা চলচ্চিত্র এগিয়ে যাচ্ছে। আর সেসব দেখার জন্য বাংলাদেশের ইয়াং জেনারেশান হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। মাঝখানের রহস্যটুকু, চুরিটুকু এই নিউ জেনারেশান ধরতে পারছে না।
হুমায়ূন আহমেদের পরিবারের উচিত মিস্টার শিবাশীষ রায় ও মিস্টার শেখর দাশের বিরুদ্ধে আইনগতভাবে লড়াইয়ে নামা। ইন্টারন্যাশনাল কপিরাইট আইনে এটা স্রেফ চুরি। দেবী উপন্যাসের কাহিনী চুরি করে কৌশলে যেটুকু পরিবর্তন করা হয়েছে, তা সবাই বুঝতে পারবেন। বিশেষ করে যারা হুমায়ূন আহমেদের 'দেবী' উপন্যাসটি পড়েছেন।
এই হলো একটা হাইপোথিসিস যে মিস্টার শিবাশীষ রায় হুমায়ূন আহমেদের 'দেবী' উপন্যাসের কাহিনী চুরি করেছেন। আর যদি উল্টো হয়, সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় হাইপোথিসিস হলো, হুমায়ূন মিস্টার শিবাশীষ রায়ের 'ইএসপি একটি রহস্য গল্প'-এর কাহিনী চুরি করে 'দেবী' উপন্যাসটি লিখেছেন। যে কোনো একটি হাইপোথিসিস সত্য। এখন আমাদের জানতে হবে কে কারটা চুরি করলেন? হুমায়ূন আহমেদ শিবাশীষ রায়ের কাহিনী নাকি শিবাশীষ রায় হুমায়ূন আহমেদের কাহিনী।
হুমায়ূন আহমেদ বেঁচে নাই, তাই তাঁর মুখ থেকে এই রহস্য জানার উপায় নাই। কিন্তু শিবাশীষ রায় ও শেখর দাশ বেঁচে আছেন। তাঁরা সত্যটা বলতে পারবেন। আমরা সত্যটা জানতে চাই।
------------------
৩ নভেম্বর ২০১৮