১৬২০ এর ২৫ এ নভেম্বরে দূরদেশ থেকে আগত কয়েকজন লোক অপরিচিত একটি জায়গায় এসে সেই জায়গার চারপাশ দেখে প্রেমে পড়ে গিয়েছিল। চারপাশ ছিল জঙ্গলে ঘেরা যেখানে ছিল নানা ধরনের পশু পাখি। প্রথমবারের মতো তারা দেখেছিল মস্তো বড় বড় সব হাতি। হাতির কথা তারা শুনেছিল কিন্তু আগে সরাসরি দেখেনি কখনো। তারা দেখেছিল হরিণ। এতো হরিণ সারা জায়গা জুড়ে দৌড়াদৌড়ি করছে তা দেখে তারা সকলে বিস্মিত হয়ে গিয়েছিল। রাতের বেলায় শিয়ালের ডাক শুনে তাদের ঘুম থেকে ঘনঘন উঠতে হতো। তবে তারা একটি বিশেষ ধরনের পাখির ডাক শুনে মুগ্ধ হয়ে যেত। ভোর বেলায় যখনই পাখিগুলোর ডাক একসাথে শোনা যেত তারা আগ্রহ সহকারে শুনতে থাকতো যতক্ষণ না পর্যন্ত পাখিগুলো ডাকা বন্ধ না করতো। সেটা ছিল কোয়েল পাখির ডাক।
তবে তারা সেখানে বেশীদিন থাকতে পারিনি। বিশাল একটি প্রাণীর আক্রমণে একজন একজন করে তারা প্রাণ হারাতে থাকলো। বিশাল এই হিংস্র প্রাণিটি তারা আগে কখনই দেখিনি। বিশাল বড় লম্বা, ডোরা কাটা দাগ, নিশ্ঠুর তার চাহনি। হলুদ কালো রঙের মিশ্রনের এই প্রাণিটির নাম দেওয়া হয়েছিল রয়েল বেঙ্গল টাইগার।
তাদের মধ্যে একজন যে বেঁচে ছিল সে একটি কাগজে কিছু কথা লিখে চারকোনা একটি বক্সের মধ্যে রেখে মাটিতে গর্ত করে পুতে রেখেছিল। সেখানে সে লাতিন ভাষায় যা লিখেছিল তার বাংলা অর্থ হলো:
"বাঘের আক্রমণে হয়তো হারিয়েছি আমার সব সদস্যদের, কিন্তু অপূর্ব এই জায়গা আমি দুনিয়ার অন্য কোথাও দেখিনি। আমি ভয় পাচ্ছি বাঘকে নয়, ভয় পাচ্ছি ভবিষ্যতে মানুষ এই জায়গাকে নিয়ে কি করবে তা চিন্তা করে।'
কিছুদিন আগেই ঢাকার উত্তরার দক্ষিণখানের একটি জায়গা থেকে মাটি খোড়াখুড়ির সময় একটি বক্সের মধ্যে এমন লেখা আবিষ্কার করে এলাকার লোকজন।
যে লোকটি লিখেছিল তার কপালে কি জুটেছিল তা জানা হয়নি।
(লেখাটি কাল্পনিক)
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:২৬