"প্রহরশেষের আলোয় রাঙা সেদিন চৈত্রমাস– তোমার *** দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ।"
বেলি সর্বনাশটা কোথায় দেখেছিল সেটা আপনারা একটু পরেই বুঝবেন! [
আমাদের কাহিনি'র শুরু দাপুনিয়া উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে থেকে...বেলি এই স্কুলের নবম শ্রেণীর মেধাবী(!) সুন্দরী ছাত্রী!এলাকার তরুণ সমাজের মাঝে তার বেশ ভালই সুনাম আছে!কিন্তু বেলি আজ পর্যন্ত তার মনের মানুষকে খুঁজে পায় নি!তার সব বান্ধবীরা বিয়ে করে ফেললেও তার একটাই শর্ত,"আমার জামাই-এর চামড়া সাদা হওন লাগবো!নাইলে আমার পড়ার টেবিলে মন বইব না!"
হ্যাঁ ভাই!সেদিন ছিল চৈত্র মাসের শেষ দিন!এলাকার বিখ্যাত রংবাজ পাউডার একড়াম অরফে আক্কু যথারীতি ফিল্ডিং মারছিল গার্লস স্কুলের বাইরে দাঁড়িয়ে!চোখে তার সানগ্লাস,হাতে তার আকিজ বিড়ি!সঙ্গে তার সাঙ্গ-পাঙ্গ!হঠাৎ তার এক চামচা চিৎকার করে বলে উঠল,"ভাই,ঠুলা আইল!পালান!"
মুখে এক চিলতে হাসি ফুটিয়ে,হাতের বিড়িটা ছুঁড়ে ফেলে আক্কু দিল দৌড়!কিন্তু বিধি বাম!ছাগলের ফেলে যাওয়া কলার ছুল্কায় উশটা খাইয়া সে ধরণীকে আলিঙ্গন করিল!
ঠুলা মামা তার কানে ধরে যখন তাকে টেনে তুলল তখন তার চামড়া পুরাই সাদা...পার্থক্য শুধু সাদা রঙের কারণটা পাউডার নয়,ধুলা!
"আমারে ঠুলা কস!আইজকা তোরে লুলা বানায়া দিমু!" ঠুলা মামা বাঘের মত গরজে উঠলেন!
কিছুক্ষণ পর...
স্কুল ছুটি...বেলি তার বেনি দুলিয়ে দুলিয়ে স্কুল থেকে বের হতেই দেখল এক অভাবনীয় দৃশ্য...
আক্কুর সারা শরীরে এক চিলতে কাপড় নেই,কিন্তু চোখে সানগ্লাস...সে কান ধরে উঠবস করছে আর বলছে,"আমি আর জীবনেও স্কুলের সামনে খারায়া থাকুম না!"
কিন্তু যা হওয়ার তা তো হয়ে গেছে...বেলি খুঁজে পেয়েছে তার বহু প্রতীক্ষিত সাদা চামড়ার জীবন সাথীকে...
আজব শিহরণ বয়ে যায় বেলি'র শরীরে...তার মাথায় ঘুরতে থাকে কবিতার লাইন...চোখ ছাড়া বাকি সবকিছুই(!) দেখে নিয়েছে সে তাই কবিতাও তার রঙ বদলায়...
""প্রহরশেষের আলোয় রাঙা সেদিন চৈত্রমাস– তোমার গায়েই দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ।"
To be continued...

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




