আজ 21 শে ফেব্রয়ারী, সকাল থেকেই ইচ্ছা করছে শহিদ মিনারে যাই। কিন্তু আজ আমার বাবার চোখের অপারেশন হবে। তাই ভাবছি বাবাকে রেখে কি শহিদ মিনারে যাব না কি বাবার পাশে থাকব? কি করা যায়..... কিছুই বুঝতে পারছি না। একবার ভাবলাম প্রতি বছর ই তো শহিদ মিনারে যাই সুতরাং এবার না গিয়ে বাবার পাশে সময়টা কাটানো আনেক গুরূত্বপূর্ণ একটা বিষয়। কারন বাবার চোখের অপারেশন তা তো প্রতি বছর হবে না.... সিদ্্বান্ত তা নিয়েই ফেল্ললাম, বাবার পাশে থেকে সেব করে সময় কাটাবো। দেশর সেবা করা যেমন আমার একটা দায়িত্ব তেমনি বাবার সেবা করা আরো বেশি গুরূত্বপূর্ণ।
দুপুরে বাবাকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হল। গভীর টেনশন নিয়ে অপেক্ষা করছি কি হয়..... কিছুক্ষন পরে দেখি বাবা অপারেশন থিয়েটার থেকে বের হয়ে আসছেন..... কি ব্যাপার কি হল.... টেনশন আরো বেরে গেল..... সাথে একজন ডাক্তার.... ডাক্তার এসে আমাকে বললেন... আপনার বাবার ডায়াবেটিসটা আনেক বেশী তাই এই অবস্থায় অপারেশন করা যাবে ণা.....সুতরাং আজ বাসায় নিয়ে যান....ডায়াবেটিসটা নরমাল হলে আবার নিয়ে আসবেন...... কি আর কারা বাবা কে নিয়ে বাসায় আসলাম.... আসতে আসতে ভাবছিলাম... অপারেশনটা তো হলই না মাঝখান দিয়ে এবার শহিদ মিনারে যাওয়া হল না.... আবার ভাবছি... শহিদ মিনারে যাওয়া হল না তাতে কি বাবার জন্য তো কিছু একটা করার চেষ্টা করেছিলাম....কিন্তু আমার জন্য কোনটা ঠিক ছিল... শহিদ মিনারে যাওয়া না বাবার সাথে অপারেশনের সময় পাশে থাকা... প্রিয় পাঠক বলতে পারেন ওই সময় আমার কোনটা করা উচিত ছিল?
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




